৩৬০৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) সাহল ইবনু সা’দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উয়ায়মির আজলানী (রাঃ) আসিম ইবনু আদী আনসারী (রাঃ)-এর কাছে এসে তাকে বললেন, হে আসিম! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পূরুষকে (সঙ্গম করতে) পায়; তবে তোমার অভিমত কি? সে কি তাকে হত্যা করবে? আর তখন তো তোমরা তাকে (কিসাসের বিনিময়ে) হত্যা করবে। যদি তা না হয় তবে সে কী করবে? হে আসিম! তুমি আমার জন্য এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রকম প্রশ্ন করা অপছন্দ করলেন এবং এটি দূষনীয় মনে করলেন। আসিম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে যা শুনলেন এতে বড়ই দুঃখিত হলেন। যখন আসিম ফিরে এলেন, তখন উয়ায়মির তার কাছে এসে বললেন, হে আসিম! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কী বলেছেন? আসিম উয়ায়মিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে ভাল কাজ নিয়ে আস নি। তুমি যে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেছ তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই অপছন্দ করেছেন। উয়ায়মির (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হব না। তখন উয়ায়মির গেলেন এবং লোক সমাবেশে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে গিয়ে তাকে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সংগে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পাহা তাহলে সে কি তাকে কতল করে ফেলবে? এরপর তো (কিসাস হিসাবে) আপনারা তাকে কতল করে ফেলবেন। অথবা সে কী করবে? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে (আল্লাহর) হুকুম নাযিল হয়েছে। তুমি যাও, তোমার স্ত্রীকে নিয়ে এসো। সাহল বললেন, এরপর তারা উভয় (স্বামী -স্ত্রী লিআন করলেন। আর আমিও তখন লোকজনদের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্হিত ছিলাম। যখন তারা লিআন সমাধা করলেন তখন উয়ায়মির বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি আমি তাকে আমার স্ত্রীত্বে বহাল রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হবো। একথা বলেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দেওয়ার আগেই। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তখন থেকে লি আনকারীদের জন্য এটাই সূন্নাত হিসেবে সাব্যস্ত হল।
৩৬০৬। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) সা’দ ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আজলান
গোত্রের উয়ায়মির আনাসারী আসিম ইবনু আদীর কাছে এলেন পরবর্তী অংশ মালিক বর্ণিত
হাদীসের অনুরদপ বর্ণনা করেন। তিনি তার হাদীসে একথাও বলেছেন, ““উয়ায়ামির
তার স্ত্রীকে পৃথক করে দেওয়াতে পরবর্তীতে লি-আনকারীদ্বয়ের জন্য তা সূন্নাত রুপে পরিগণিত
হল।” তিনি তার বর্ণনায় আরও উল্লেখ করেছেন, “ সাহল বলেছেন- সে মহিলাটি ছিল গর্তবতী। সে
গর্ভজাত সন্তানটি পরবর্তীতে তারই পুত্র হিসেবে গণ্য হয়। ”এরপর এই বিধান প্রবর্তিত
হল যে, সে
তার মায়ের উত্তরাধিকারী হবে এবং তার মা আল্লাহর নির্ধারিত হিস্যা হিসেবে তার থেকে
মিরাসের অধিকারী হবে।
৩৬০৭। মুহাম্মদ ইবনু রাফি (রহঃ) ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে ইবনু
শিহাব (রহঃ) বনু সাঈদা গোত্রের সাহব ইবনু সা’দ বর্ণিত দুই লি আনকারী ও তার বিধান
সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি (সাহল) বলেন, জনৈক আনসারী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি কোন লোক তার স্ত্রীর
সংগে (সঙ্গম করতে) অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পায় তাহলে সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? এরপর পূরো
ঘটনাসহ হাদীস বর্ণনা করেন। এতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, উভয়ে (সামী-স্ত্রী
মসজিদের ভেতরে উভয়ে লিআন করলেন আর আমি উপস্হিত ছিলাম। আর তিনি এ হাদীসে বলেছেনঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন নির্দেশ দেওয়ার তিনি তার
স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সম্মুখেই তাকে
পৃথক করে দেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই উভয় লিআনকারীর
মধ্যকার বিচ্ছেদ।
৩৬০৮। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ)
সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মূসআরের স্ত্রীর ব্যাপারে আমাকে দুই লি-আনকারীর
মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাদের বিচ্ছিন্ন করা হবে কি না। তিনি বলেন, তখন আমি কী
বলব তা আমার ভাষা ছিল না এরপর আমি মক্কায় ইবনু উমর (রাঃ)-এর বাসভবনে গেলাম। আমি
তার গোলামকে বললাম,
আমার জন্য অনুমতি নিয়ে এসো। সে বলল, তিনি এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমার
কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, ইবনু জুবায়র? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, ভিতরে এসো। আল্লাহর কসম! এই সময় তোমার বিশেষ
প্রয়োজনই নিয়ে এসেছে। আমি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম তিনি একটি কম্বল বিছিয়ে একটি
বালিশের উপর হেলান দিয়ে আছেন। বালিশটি খেজুর ছোবড়ায় ভর্তি ছিলো। আমি বললাম, হে আবূ
আবদুর রহমান! দু-জন লি আনকারী- এদের কি পৃথক করা হবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ!
হাঁ। সর্বপ্রথম এই বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক জিজ্ঞাসা করেছিল। সে বলেছিল, ইয়া
রাসুলুল্লাহ! আপনি কী বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীকে অম্লীল কাজে
লিপ্ত দেখতে পায় তাহলে সে কী করবে? যদি সে বলাবলি করে তাহলে তো গুরুতর আকার ধারণ
করবে। যদি সে নীরব থাকে, তাহলে এমন সাংঘাতিক বিষয়ে কি করে নীরব থাকবে।
তিনি বলেন, তখন
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন; কোন উত্তর দিলেন না। সে ব্যক্তি আবার তার কাছে
এসে বলল, ইয়া
রাসুলুল্লাহ! যে বিষয়টি সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার
নিজের উপরই তা ঘটেছে। তখন আল্লাহ সূরা নূরের এই আয়াত গুলো নাযিল করেন- আর যারা
তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী
নেই- তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্যের ধরন হরে এই যে, সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, সে অবশ্যি
সত্যবাদী এবং পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত
হবে। আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত করা হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য
দেয় যে, তার
,(স্বামীই
মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে
আসবে আল্লাহর গযব” (সূরা নূর :৬-৯)। তিনি তাকে এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে শোনালেন।
এরপর তাকে নসীহত করলেন এবং স্বরণ করিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর।
সে বলল, না-।
সেই মহান সত্তার কসম- যিনি আপনাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিসেবে
সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি
তার (আমার স্ত্রীর) উপর কোন মিথ্যা আরোপ করি নি। এরপর তিনি মহিলাকে ডেকে পাঠালেন
এবং এবং তাকে নসীহার করলেন, তাকে পরকালের ভয় দেখালেন, সর্বোপরি
তাকে জানিয়ে দিলেন যে,
দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না সেই
মহান সত্তার কসম-যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন, নিশ্চয়ই সে মিথ্যাবাদী। এরপর পুরুষ লোকটির
দ্বারা লিআন বাক্য পাঠ করাতে শুরু করলেন। তখন সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে
সাক্ষ্য দিল যে, সে
তার কথায় সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে মিথ্যবাদী হয় তা হলে তার উপর আল্লাহর
অভিশাপ নেমে আসুক। এরপর তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকটিকে
ডেকে পাঠালেন। সে ও আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে
মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে (তার স্বামী) সত্যবাদী হয় তাহলে তার
(মহিলার) উপর আল্লাহর গযব পতিত হোক। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাদের উভয়কে পৃথক করে দিলেন।
৩৬০৯। আলী ইবনু হুজর সা’দ (রহঃ) সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) বললেন, মুসআব ইবনু
যুবায়র (রাঃ)-এর শাসনামলে দুই লি-আনকারী সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি ভেবে
পাচ্ছিলাম না কি উত্তর দেব। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-এর কাছে এলাম এবং সে দুই
লিআনকারী সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ তাদের বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে আপনার মত কি? এরপর তিনি
ইবনু নুমায়র (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন।
৩৬১০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু শায়বা ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ)
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ লিংআনকারীদূয়ের (লি”আন বাক্য পাঠের ব্যাপারে) হিসাব আল্লাহর দায়িত্ব।
তোমাদের দু-জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী তার (তোমার স্ত্রীর) উপর তোমার কোন
অধিকার নেই। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার মালের (প্রদত্ত মাহর) কি
হবে। তিনি বললেন, তুমি
তোমার মাল পাবে না। যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্যবাদী হও তাহলে তোমার দেওয়া সস্পদ
ঐ বস্তুর বিনিময়ে বলে গণ্য হবে যা দ্বারা তুমি তার লজ্জাস্থান হালাল করেছ। আর যদি
তুমি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাক তাহলে তার থেকে মাল ফেরত পাওয়া দুরের কথা।
যুহায়র (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন যে, সুফিয়ান (রহঃ) সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ)-এর
সুত্রে ইবনু উমর (রাঃ)-কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বলতে
শুনেছেন।
৩৬১১। আবূর রাবী যাহরানী (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী আজলান
গোত্রের দুই জনকে (সামী-স্ত্রী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ ভাল ভাবেই জালেন যে, নিশ্চয়ই
তোমাদের দু-জনের একজন মিথ্যাবাদী। এরপর তোমাদের কেউ কি তাওবার জন্য প্রস্তুত আছ? ইবনু আবূ
উমর (রহঃ) সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) বলেন যে, আমি লিআন সম্পর্কে ইবনু উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা
করলাম। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ বর্ণনা করলেন।
৩৬১২। আবূ গাসনান মিসমাঈ, মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ)
সাঈদ ইবনু জ্যুায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসঁআব ইবনু যুবায়র) (রাঃ) তার শাসনামলে
লি-আনকারীদের বিচ্ছিন্ন করেননি। সাঈদ বলেন, এরপর বিষয়টি আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-এর
কাছে উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আজলান
গোত্রের দু-জনকে (স্বামী-স্ত্রীকে) বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন।
৩৬১৩। সাঈদ ইবনু মানসূর, কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
(রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তার স্ত্রীর উপর লি-আন করেছিল। তখন রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু-জনকে পৃথক করে দেন এবং সন্তানের বংশ
পরিচয় তার মায়ের সাথে যূক্ত করেন। রাবী ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াইয়া (রহঃ) মালিককে
জিজ্ঞাসা করলেন, আপনাকে
নাফি (রহঃ) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন? তিনি (মালিক) বলেন, হাঁ।
৩৬১৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন আনসারী পুরুষ ও তার স্ত্রীর
মধ্যে লি আন করালেন এবং তাদের আলাদা করে দেন। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও
উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) উবায়দুল্লাহ (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন।
৩৬১৫। যুহায়র ইবনু হারব, উসমান ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম
(রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একবার
জুমুআর রাতে মসজিদে ছিলাম। তখন জনৈক আনসারী সেখানে উপস্হিত হল। সে বলল, যদি কোন
ব্যক্তি তার স্ত্রীর সংগে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পায়, সে যদি এ
নিয়ে কথা বলে, তাহলে
আপনারা তো তাকে কোড়া লাগাবেন? অথবা যদি সে যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো
আপনারা তাকে কতল করবেন। যদি সে নীরব থাকে তাহলে তো তাকে সংঘাতিক গোস্যা (হযম) করে
নীরব থাকতে হবে। আল্লাহর কসম! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর
নিকট এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবই। পরদিন সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে সে প্রশ্ন করল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সংগে অন্য কোন
পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় এবং সেই এ নিয়ে কথা বলে তাহলে আপনারা তাকে কতল করে
ফেলবেন। আর যদি নীরব থাকে তবে তো তাকে গোস্যা চেপে নীরব থাকতে হবে। (সুতরাং তার
উপায় কি?) তখন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি এর
ফয়সালা দাও এবং তিনি দুআ করতে লাগলেন। তখন লি-আনের আয়াত অবতীর্ন হলঃ “আর যারা
তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয় অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেইঁ- এই
আয়াতগুলো। (সূরা নূরঃ ৬-৯)। এরপর সে ব্যক্তি লোকজনের সামনে লি-আনের পরীক্ষার
সম্মুখীন হল। তারপর সে তার স্ত্রীসহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
-এর কাছে এল এবং তারা উভয়ে লি-আন করল। লোকটি আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য
দিল যে, সে
সত্যবাদী। এরপর পঞ্চমবারে বলল, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার উপরে আল্লাহর
লানত বর্ষিত হোক। এরপর মহিলাটি লিআনের জন্য অগ্রসর হল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ থাম (যদি তোমার স্বামীর উক্তি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তুমি তা
স্বীকার করে নাও)। কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং লি আন করে ফেলল। যখন তারা দু-জন
ফিরে চলল তখন তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সম্ভবত এই
মহিলা কৃষ্ণকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তান প্রসব করবে। অবশেষে তার গর্ভে একটি
ফৃষ্ণকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তানই জন্ম নিল। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবূ বকর ইবনু
আবূ শায়বা (রহঃ) আমাশ (রহঃ) থেকে এই একই সনদে অনুরুপ বর্ণিত আছে।
৩৫১৬। মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন
যে, আমি
একটি বিষয়ে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমার ধারণা ছিল যে, আমার
জিজ্ঞাসিত বিষয়ের জ্ঞান তার কাছে আছে। আনাস (রাঃ) বলেন, হিলাল ইবনু
উমায়্যা (রাঃ) শরীক ইবনু সাহমার সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্কে ব্যভিচারের অভিযোগ
আনলেন। তিনি ছিলেন বারা ইবনু মালিকের বৈপিত্রেয় ভাই। ইসলামে ইনই সর্বপ্রথম লি-আন
করেন। রাবী বলেন, তিনি
তার স্ত্রীর সংগে লি-আন সম্পন্ন করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ঐ মহিলার প্রতি নযর রাখবে। যদি সে সরল কেশধারী গৌর
বর্ণের লালচোখ বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তাহলে সে হল ইবনু উমায়্যার ঔরষজাত সন্তান।
আর যদি সে (মহিলা সুরমা চোখ বিশিষ্ট কুঞ্চিত কেশ, সরু নাক বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তাহলে সে
শরীক ইবনু সাহমার সন্তান। রাবী আনাস (রাঃ) বলেন, আমি জানতে পারলাম যে, ঐ মহিলাটি
সুরমা চোখ বিশিষ্ট কুঞ্চিত কেশধারী সরু নলা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করেছে।
৩৬১৭। মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ইবনু মুহাজির ও ঈসা ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) ইবনু আব্বাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট লিআনের আলোচনা করা হয়। তখন আসিম ইবনু আদী (রাঃ) ঐ বিষয়ে কিছু কথা বলে ফিরে
গেলেন। তখন তার গোত্রের একজন লোক তার কাছে এসে অতিযোগ করল যে, সে তার
স্ত্রীর সঙ্গে এক (অপিরিচিত) লোককে দেখতে পেয়েছে তখন আসিম (রাঃ) বললেন, আমি আমার
উক্তির (বক্তর্বের) কারণে এই মুসীবতে পতিত হলাম। তখন তিনি তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এলেন। এরপর সে তাকে (রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে) সেই ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করল যাকে সে তার
স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পেয়েছিল। এ লোকটি ছিল হরিৎ বর্ণ বিশিষ্ট কৃষ্ণকায় ও সরল
কেশধারী। আর সে যাকে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পেয়েছিল সে ছিল সূঠাম দেহী, ছোটা নলা ও
বাদামী রুং বিশিষ্ট। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইয়া
আল্লাহ তুমি বিষয়টি সমাধা করে দাও। সে মহিলা এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যে ছিল ঐ
লোকটির মত যাকে স্বামী তার সঙ্গে দেখতে পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে লি আন করালেন। তখন জনৈক ব্যক্তি
সে মজলিসেই ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বলল, এই কি সেই মহিলা যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, “যদি আমি বিনা প্রমাণে কাউকে রজম- করতাম তবে
একেই রজম করতাম।” তখন ইবনু আববাস (রাঃ) বললেন, না- সে ছিল অপর এক মহিলা যার অম্লীলতা
মুসলমানদের মাঝে প্রকাশিত ছিল।
৩৬১৮। আহমাদ ইবনু ইউসূফ আযদী (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরঁ কাছে দুজন লি-আনকারীর প্রসংগে আলোচনা করা হল।
পরবর্তী অংশ লায়সের হাদীসের অনুরুপ। অবশ্য এতে সুঠাম দেহী উল্লেখ করার পর তিনি
অতিরিক্ত বলেছেন,”সে
ছিল কুঞ্চিত কেশধারী।”
৩৬১৯। আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) থেকে
বর্ণিত। যে, ইবনু
আব্বাস (রাঃ)-এর নিকটে দুই লি-আনকারীর বিষয় আলোচনা করা হল। তখন ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ)
বললেন, এরা
কি ঐ দু-জন যাদের সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আমি যদি
কাউকে বিনা প্রমাণে “রজম- করতাম তবে ঐ মহিলাকে রজম” করতাম। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ)বললেন, না” এ সে
মহিলা নয়। সে ছিল অপর এক মহিলা যার ব্যাপার প্রকাশ্য ছিল। ইবনু আবূ উমর (রহঃ) তার
বর্ণনায় কাসিম ইবনু মুহাম্মদের সুত্রে বলেন যে, আমি এ হাদীস ইবনু আব্বাসের কাছে শুনেছি। “
৩৬২০। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মা’ন ইবনু
উবাদা আনসারী (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সে লোকটি সম্পর্কে আপনার
অভিমত কি যে তার স্ত্রীর সাথে অপর পুরুষকে পায়? সে কি তাকে কতল করে ফেলবে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না। সা’দ (রাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই
(সে তাকে কতল করবে),
সেই সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বারা সম্মানিত করেছেন। তখন রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা শোন তোমাদের সরদার কী বলছেন।
৩৬২১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, সা’দ ইবনু
উবাদা (রাঃ) বলেছেন,
ইয়া রাসুলুল্লাহ! আাম যদি আমার স্ত্রীর সংগে কাউকে দেখতে পাহ তাহলে চারজন
সাক্ষি যোগার করা পর্যন্ত আমি কি তাকে অবকাশ দেব? তিনি বললেন, হাঁ।
৩৬২২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবূ হুতায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু
উবাদা (রী) বললেন, ইয়া
রাসুলুল্লাহ! যদি আমি আমার স্ত্রীর সংগে কোন পুরুষকে দেখতে পাই তবে চারজন সাক্ষী
হাযির না করা পর্যন্ত আমি কি তাকে স্পর্শ করতে পারব না? রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ, পারবে না। তিনি (সা দ) বললেন, কখন নয়, সেই মহান
সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন অবশ্যই আমি তার (চারজন সাক্ষী হাযিল
করার) আগেই দ্রুত তার প্রতি তলোয়ার ব্যবহার করব। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা মনযোগ দিয়ে শোন, তোমাদের
সরদার কী বলছেন। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আত্নমর্যাদার অধিকারী। আর আমি তার চাইতেও
অধিকতর আত্নমর্যাদাশীল এবং আল্লাহ আমার চাইতেও অধিক মর্যাদাবান।
৩৬২৩। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর কাওয়ারীরী ও আবূ কামিল ফুযায়ল ইবনু হুসায়ন জাহদারী
(রহঃ) মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু
উবাদা (রাঃ) বললেন,
যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে অপর কোন পুরুষকে দেখতে পাই তবে নিশ্চয়ই আমি তাকে
আমার তরবারীর ধার দিয়ে তার উপর আঘাত হানব- পার্শ দিয়ে নয়। একথা নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে পৌলে। তিনি বললেন, তোমরা কি সা’দর আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে
আশ্চর্য হয়েছে? আল্লাহর
কসম! আমি তার চাইতে অধিকতর আত্নমর্যাদাবোধ সস্পন্ন। আর আল্লাহ আমার তুলনায় অধিকতর
মর্যাদাবান। আল্লাহ তাঁর আত্নমর্যাদার কারণে প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় অশ্নীল কর্ম
হারাম করে দিয়েছেন। আর আল্লাহর তুলনায় অধিক আত্নমর্যাদা সম্পন্ন কেউ নেই এবং
আল্লাহর চাইতে অধিকতর ওযর পছন্দকারী কেউ নেই। এ কারণেই আল্লাহ তাঁর নাবী-রাসুলদের
সুসংবাদদাতা ও তীতি প্রদর্শক রুপে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহর চাইতে অধিকতর প্রশংসা
পছন্দকারী কেউ নেই। এই কারণে তিনি জান্নাতের অঙ্গীকার করেছেন।
৩৬২৪। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবদুল মালিক ইবনু উমায়র (রহঃ) সুত্রে এই
সনদে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি তার বর্ণনার অনুরুপ তরবারীর পার্শ দিয়ে নয়-
শব্দটির উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তা থেকে- শব্দটি বলেন নি।
৩৬২৫। কুতায়বা ইবনু সাঈদ, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন
নাকিদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনূ ফাযারা
গোত্রের এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এল। এরপর সে বলল, আমার
স্ত্রী একটি কালোসন্তান প্রসব করেছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাকে বললেন, তোমার
নিকট কি কোন উট আছে?
সে বলল, হাঁ, আমার উট
আছে। তিনি বললেন, সে
উটলোর রং কি রকম? সে
বলল, নাল
রং এর উটও আছে। তিনি বললেন, এই মেটে রং কোত্থেকে এল? সে বলল, সম্ভবত তা
পূর্ববতী বংশদ্বারা থেকে নিয়ে এসেছে। তখন তিনি বললেন, তোমার এই
কালো সন্তানটির ব্যাপারে ও সম্ভবত পুর্ববর্তী বংশ থেকে নিয়ে এসেছে।
৩৬২৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি- ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ)
যুহরী (রহঃ) সুত্রে ইবনু উয়ায়না (রহঃ) হাদীসের অনুররূপ বর্ণনা করেছেন। তবে মামার
(রহঃ) বর্ণিত হাদীসে এতটুকু পার্থক্য রয়েছে যে, “সে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার স্ত্রী একটি কালো সন্তান
প্রসব করেছে। এই উক্তি সে ঐ সময় তার পিতৃত্ব প্রত্যাখ্যানের দিকে ইঙ্গিত করেছিল।
আর হাদীসের শেষ ভাগে এতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন, -তারপর তিনি তাকে ঐ সন্তানের পিতৃত্ব
প্রত্যাখ্যানের অমুমতি দেননি।
৩৬২৭। আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
যে, জনৈক
বেদুইন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ!
আমার স্ত্রী একটি কালো সন্তান প্রসব করেছে এবং তাকে আমার অন্তর গ্রহন করে না। তখন
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার কাছে উঠ আছে কি? সে বলল, আছে। তিনি
বললেন, সে
গুলোর রং কী? সে
বলল, লাল।
তিনি বললেন, সে
গুলো মধ্যে কি মেটে (কালো) রং এর ও আছে? সে বলল, হ্যা। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, এই
রং কোথেকে এল? সে
বলল, সম্ভবত
তার বংশধারার কোন শিকড় থেকে এসেছে। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার এই কালো সন্তানের ক্ষেত্রে ও হয়ত সে তার
পূর্ব পূরুষের কোন শিকড় এসেছে।
৩৬২৮। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের
নিকট এ বিবরণ পৌছেছে যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী অংশ তাদের হাদীসের অনুরুপ।