সাপ ইত্যাদি নিধন

৫৬২৮। ইয়াহিয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বাকর ইবনু শায়বা (রহঃ) আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাকীফ গোত্রীয় প্রতিনিধি দলের মাঝে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে (সংবাদ) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বায়আত করে নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও।

৫৬২৯। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট বিষধর সাপ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তা দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয় এবং গর্ভস্থ সন্তানের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

৫৬৩০। ইসহাক ইবরাহীম (রহঃ) হিশাম (রহঃ) উল্লেখিত সনদে হাদীস বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেছেন, ‘লেজ খসে যাওয়া ও পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপ।

৫৬৩১। আমর ইবনু মুহাম্মদ নাকিদ (রহঃ) সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সব সাপ, বিশেষত পিঠে দুটি সাদা রেখাবিশিষ্ট ও লেজ কাটা সাপ মেরে ফেল। কেননা এ দুটি গর্ভপাত ঘটায় এবং দৃষ্টিশক্তি খুয়ে নেয়। রাবী বলেনঃ তাই ইবনু উমার (রাঃ) যে কোন সাপ পেলে তাকে মেরে ফেলতেন। (একদিন) আবূ লুবাবা ইবনু আবদুল মুনযির (রহঃ) অথবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রহঃ) তাকে দেখলেন যে, তিনি একটি সাপ ধাওয়া করছেন। তখন তিনি আবূ লূবাবা বা যায়দ (রহঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি-ঘরে অবস্হানকারী (সাপ) মারতে নিষেধ করেছেন।

৫৬৩২। হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি কুকুর নিধনের হুকুম জারী করতে শুনেছি তিনি বলতেন, সাপগুলি আর কুকুরগুলি মেরে ফেল। আর (বিশেষত) পিঠে দুসাদা রেখাবিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেল। কেননা এ দুটি মানুষের দূষ্টিশক্তি নিয়ে নেয় এবং গর্ডবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। (সনদের মধ্যবর্তী) রাবী যুহরী (রহঃ) বলেনঃ আমাদের ধারণায় তা এদের বিষের কারণে; তবে আল্লাহ তাআলাই সমধিক অবগত। রাবী সালিম (রহঃ) বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন, এরপরে আমার অবস্থা দাঁড়াল এই যে, কোন সাপ দেখতে পেলে তাকে আমি কতল না করে ছেড়ে দিতাম না। একদিনের ঘটনা, আমি বাড়ি-ঘরে অবস্হানকারী ধরনের একটি সাপ তাড়া করছিলাম। সে সময় যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বা আবূ লূবাবা (রাঃ)আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি তাড়া করে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেন, থামো! হে আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এদের মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছেন। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধও করেছেন। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া, আবদ ইবনু হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে (শেষ সনদের) রাবী সালিহ (রহঃ) বলেছেনঃ অবশেষে আবূ লূবাবা ইবনু আবদুল মুনযির (রাঃ) এবং যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে দেখলেন এবং তাঁরা দুাজন বললেন যে, ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধ করেছেন। আর (প্রথম সনদের) রাবী ইউনূস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে-সেব সাপ মেরে ফেল। তিনি পিঠে দু-সাদারেখা বিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ’ কথাটি বলেন নি।

৫৬৩৩। মুহাম্মদ ইবনু রুমহ ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ লূবাবা (রাঃ) ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাথে তার বাড়িতে তার জন্য একটি দরজা খুলে নেয়ার ব্যাপারে কথা বলছিলেন, যা দিয়ে তিনি মসজিদের দিকে যাতায়াতের পথ নিকটবর্তী করতে পারবেন। তখন কিশোররা (দেয়াল খুড়তে গিয়ে) একটি সাপের খোলস পেল। তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, ওটিকে বের করে মেরে ফেল। তখন আবূ লূবাবা (রাঃ) বললেন, তোমরা সেটিকে মেরে ফেল না। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী সাপগুলিকে মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন।

৫৬৩৪। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইবনু উমার (রাঃ) সব ধরনের সাপ মেরে ফেলতেন। অবশেষে আবূ লূবাবা ইবনু আব্দুল মুনযির আলবাদরী (রাঃ) আমাদের হাদীস শুনালেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি-ঘরের সাপগুলিকে মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন। পরে তিনি ইবনু উমার (রাঃ) বিরত রইলেন।

৫৬৩৫। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) নাফি (রহঃ) খবর দিয়েছেন যে, আবূ লুবাবা (রাঃ)-কে ইবনু উমার (রাঃ)-এর কাছে (হাদীসের) খবর দিতে শুনেছেন এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরের (ছোটখাট) সাপগুলি মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন।

৫৬৩৬। ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আবূ লূবাবা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, (অন্য সনদে) আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা যাবাঈ (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে এ মর্মে বর্ণিত যে, আবূ লুবাবা (রাঃ) তাকে (হাদীসের) খবর দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী সাপগুলি মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন।

৫৬৩৭। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) নাফি (রহঃ) খবর দিয়েছেন, যে, আবূ লূবাবা ইবনু আবদা মুনযির আনসারী (রাঃ) তাঁর বাসস্হান ছিল কুবায়। তিনি মদিনায় (মসজিদে নববীর কাছে) স্হানান্তরিত হলেন-এমন অবস্হায় যে, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাঁর আবূ লূবাবা (রাঃ) -এর সাথে বসা ছিলেন এবং তাঁর জন্য একটি ছোট দরজা খুলছিলেন। তখন হঠাৎ তাঁরা বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী প্রকৃতির একটি সাপ দেখতে পেলেন। তারা সেটিকে মেরে ফেলতে উদ্যত হলে আবূ লুবাবা (রাঃ) বললেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওগুলি নিধন করতে নিষেধ করেছেন। তিনি (ওগুলি বলে) বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী সাপ বুঝাতে চেয়েছেন। আর লেজ খসা ও পিঠে দুটি সাদা রেখাবিশিষ্ট সাপ মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছেন। বলা হয়েছে যে, সে দুটি হল এমন, যারা দৃষ্টিশক্তি ঝলসিয়ে দেয় এবং মহিলাদের গর্তপাত ঘটায়।

৫৬৩৮। ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) একদিন তাঁর একটি ভেঙ্গে ফেলা দেয়ালের কাছে একটি সাপের খোলস দেখতে পেয়ে বললেন, একে খুজে বের করে মেরে ফেল। আবূ লুবানা আনসারী (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, সে সব সাপ মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন যেগুলি বাড়ি-ঘরে থাকে; তবে লেজকাটা ও পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপ মেরে ফেলতে বলেছেন। কেননা এ দুটো এমন, যারা দৃষ্টিশক্তি ঝলসিয়ে দেয় এবং মহিলাদের গর্ভপাত ঘঢায়।

৫৬৩৯। হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আবূ লূবাবা (রাঃ) ইবনু উমার (রাঃ)-এর পাশ দিয়ে গেলেন। তখন তিনি উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) -এর বাড়ির কাছে অবস্হিত প্রাসা’দর নিকটে ছিলেন। তখন তিনি একটি সাপ মেরে ফেলার জন্য উৎ পেতে ছিলেন। অবশিষ্ট অংশ লায়স ইবনু সা’দ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ।

৫৬৪০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে একটি (পাহাড়ী) শুহায় ছিলাম। তখন মাত্র (সুরা আল মুরসালাত) তাঁর উপরে নাযিল হয়েছিল। আর আমরা তার মুখ থেকে তা তরতাজা শুনছিলাম। হথাৎ একটি সাপ আমাদের সামনে বেরিয়ে এল। তিনি বললেন তোমরা ওটিকে মেরে ফেল। আমরা সেটিকে মেরে ফেলার জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু করলাম। কিন্তু সে আমাদের হারিয়ে দিয়ে ছুটে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তাকে তোমাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন, যেমন তোমাদের রক্ষা করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।

৫৬৪১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আমাশ (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৬৪২। আবূ কুরায়ব (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে মিনায় একটি সাপ মেরে ফেলতে হুকুম করেছিলেন।

৫৬৪৩। উমার ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে একটি (পাহাড়ী) গুহায় ছিলাম। পরবর্তী অংশ জারীর (রহঃ) ও আবূ মুআবিয়া বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ।

৫৬৪৪। আবূ তাহির আহমদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) হিশাম ইবনু যুহরা (রহঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আবূ সাইব (রহঃ) সায়ফী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে,তিনি (একদিন) আবূ সাঈদ খূদরী (রাঃ)-এর কাছে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তখন তাঁকে সালাতরত অবস্হায় পেলাম এবং তাঁর সালাত সমাপ্ত করা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষায় বসে রইলাম। তখন ঘরের কোণে রাখা খেজুর ডালের স্তূপের মাঝে কোন নড়াচড়ার আওয়ায শুনতে পেলাম। লক্ষ্য করে দেখতে পেলাম যে এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে মেরে ফেলার জন্য লাফ দিতে উদ্যত হলাম। তখন তিনি (সালাতে থেকেই) ইশারা করলেন যে, বসে থাক। সালাত শেষে বাড়ির একটি ঘরের দিকে ইংগিত করে বললেন, তুমি কি এ ঘরটি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যা। তিনি বললেন, সেখানে নতূন বিয়ে করা আমাদের এক তকণ থাকত। রাবী বলেনঃ এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে খন্দক যুদ্ধে বেরিয়ে গেলাম। ঐ তরুণ দুপুরের দিকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের কাছে ফিরে যেত। একদিন সে (যথারীতি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুমতি চাইলে তিনি তাকে বললেন, তোমার যূদ্ধাস্ত্র তোমার সাথে নিয়ে যাও। কেননা আমি তোমার উপরে বনূ কুরায়যা (ইয়াহুদীদের আক্রমণ)-এর আশংকা করছি। লোকটি তার হাতিয়ার নিয়ে (বাড়িতে) ফিরে গেল। সেখানে সে তার (নব পরিনীতা) স্ত্রীকে দুদরজার মাঝে দাঁড়ান অবস্হায় দেখতে পেল এবং (তার প্রতি সন্দিহান হয়ে) বল্লম দিয়ে তাকে যখম করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তা তার দিকে তাক করে ধরল। মর্যাদাবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে (স্ত্রী বলল, তোমার বল্লমটি নিজের কাছে থামিয়ে রাখ এবং ঘরে প্রবেশ কর। যাতে তুমি তা দেখতে পার, যা আমাকে বের করে দিয়েছে সে ঘরে ঢুকেই দেখতে পেল যে, এক বিরাটকায় সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর দিকে বল্লম তাক করে তার দ্বারা এটিকে গেথে ফেলল। তারপর বের হয়ে তা (বল্লমটি) বাড়ির মধ্যে গেঁড়ে রাখল। তখন সেটি নড়ে চড়ে তার দিকে ধাবিত হল এবং (মুহূর্তের মধ্যে) সাপ কিংবা তরুণ এ দু’জনের কে অধিক দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল, তা টের পাওয়া গেল না। রাবী আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গিয়ে ব্যাপারটি বর্ণনা করলাম এবং তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর দরবারে দুআকরুন, তিনি যেন আমাদের খাতিরে তাকে জীবিত করে দেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জন্য ইসতিগফার কর। এরপর বললেন, মদিনায় কতক জ্বীন্ন রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে তাই (সাপ ইত্যাদিরুপে) তাদের কোন কিছু তোমরা দেখতে পেলে তাকে তিন দিন সতর্ক সং-কেত দিবে; এরপরেও তোমাদের সামনে (তা) প্রকাশ পেলে তাকে মেরে ফেলবে। কেননা সে একটি (অবাধ্য) শয়তান, (অর্থাৎ সে মুসলমান নয়)।

৫৬৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) (আবূ) সাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। আমরা বসা ছিলাম, এমতাবস্হায় হঠাৎ তাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার আওয়ায শুনতে পেলাম। লক্ষ্য করে দেখি যে, সেটা একটা সাপ কিসসাসহ হাদীসখানি (পূর্বোল্লেখিত) সায়ফী (রহঃ) থেকে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বিবৃত করেছেন। তবে এতে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ সব বাড়ি-ঘরে আরও কতক বসবাসকারী রয়েছে। অতএবঁ সে ধরনের কোন কিছু তোমরা দেখতে পেলে তাদের প্রতি তিনবার সতর্ক সংকেত উচ্চারণ করবে। এতে যদি (তারা) চলে যায় তো উত্তম, অন্যথায় তাকে তোমরা মেরে ফেলবে। কেননা সে কাফির (অবাধ্য)। আর তিনি তাদের (মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের) বললেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সাথীকে দাফন কর।

৫৬৪৬। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদিনায় জ্বীনদের একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে। তাই যে ব্যক্তি এ সব বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী (সাপ ইত্যাদির রুপধারী)-দের কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সতর্ক সংকেত দেয়; এরপরও যদি তার সামনে তা প্রকাশ পায়, তবে সে যেন তাকে মেরে ফেলে, কেননা সে একটা (অবাধ্য) শয়তান।

৫৬৪৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমূরুন-নাকিদ, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কাকলাস মেরে ফেলতে হুকুম করেছেন। তবে ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে (শুধু) আদেশ করেছেন রয়েছে (অর্থাৎ ‘তাকে’ শব্দটি নেই)।

৫৬৪৮। আবূ তাহির, মুহাম্মদ ইবনু আহমদ ইবনু আবূ খানাফ ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট কাকলাস মেরে ফেলার ব্যাপারে হুকুম চাইলেন, তখন তিনি তাকে তা মেরে ফেলার হুকুম দিলেন। উম্মু শারীক (রাঃ) হলেন বনূ আমির ইবনু লুআই গোত্রের একজন মহিলা। এ হাদীসের বর্ণনায় ইবনু আবূ খালাফ ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) -এর শব্দ অভিন্ন। আর ইবনু ওয়াহব (রহঃ) (প্রথম সনদে)-এর বর্ণিত হাদীস (-এর শব্দ) এর কাছাকাছি।

৫৬৪৯। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) আমির ইবনু সাঈদ (রহঃ)-এর পিতা সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাকলাস মেরে ফেলার হুকুম করেছেন এবং তাকে ছোট ফাসিক, ক্ষুদে দুস্কৃতকারী নাম দিয়েছেন।

৫৬৫০। আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাকলাসকে ‘ছোট ফাসিক’ (ক্ষুদে দুষ্ট) বলেছেন। হারামালা (রহঃ) অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাঃ) বলেছেন যে, (তবে) আমি তাঁকে তা মেরে ফেলার হুকুম দিতে শুনিনি।

৫৬৫১। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে ব্যক্তি কাকলাস মেরে ফেলবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে ব্যক্তি দুই আঘাতে তাকে মেরে ফেলবে, তার জন্য এত এত পরিমান সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর যদি তৃতীয় আঘাতে মেরে ফেলে, তা হলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব তবে দ্বিতীয়বারের চাইতে কম।

৫৬৫২। কুতায়রা ইবনু সাঈদ, যুহায়র ইবনু হারব, মুহাম্মদ ইবনু সাব্বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সুহায়ল (রহঃ) থেকে গৃহীত খালিদ (রহঃ) বর্নিত হাদীসের অর্থ সম্পন্ন হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে একমাত্র (বিকল্প সনদ-এর) রাবী জারীর (রহঃ) (এর রিওয়ায়াভে ব্যক্তিক্রম রয়েছে), তাঁর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতে কাকলাস মেরে ফেলবে, তার জন্য একশ সাওয়াব লেখা হয়, আর আঘাতে এর চাইতে কম আর তৃতীয় আঘাতে তার চেয়ে কম (সাওয়াব লিখা হয়)।

৫৬৫৩। মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ প্রথম আঘাতে (মেরে ফেললে) সত্তরটি সাওয়াব।

৫৬৫৪। আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, একটি পিঁপড়া নাবী কুলের কোন নাবীকে কামড়ে দিলে তিনি পিঁপড়ার বাসা সম্পর্কে হুকুম দিলেন, ফলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হল। তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর কাছে এ মর্মে ওহী পাঠালেন যে, একটি (মাত্র) পিঁপড়া তোমাকে কামড়ে দিল, তাতে কিনা তুমি উম্মাত ও সৃষ্টি কুলের এমন একটি সৃষ্টি দলকে জ্বালিয়ে দিলে যারা তাসবীহ পাঠ করছিল?

৫৬৫৫। কুতায়রা ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাবী কুলের কোন একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গাছের নিচে অবস্হান নিলেন, তখন একটি পিপিলিকা তাঁকে কামড়ে দিল। তখন তিনি তাদের বাসা (বের করে ফেলা)-র ব্যাপারে হুকুম দিলে, তা (মাটির) নিচ থেকে বের করা হল। অতঃপর তাদের সম্পর্কে হুকুম দিলে তাদের জ্বালিয়ে দেয়া হল। তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর কাছে ওহী পাঠালেন তা হলে একটিমাত্র (অপরাধী) পিপড়াকে নয় কেন?

৫৬৫৬। মুহাম্মদ ইবনু রাফি (রহঃ) হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ হল সে সব হাদিস যা আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -থেকে আমাদের কাছে বর্ননা করেছেন। এই বলে তিনি কয়েক খানি হাদীস উল্লেখ করলেন (সেসবের একখানি হল) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাবীকুলের একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গাছের নিচে অবতরণ করলেন, তখন একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড়ে দিল, তখন তিনি তার বাসাটি (বের করা)-র ব্যাপারে হুকুম দিলে তা গাছের নিচ থেকে বের করা হল এবং তিনি সে সম্পর্কে হুকুম দিলে তা আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হল। তিনি বলেনঃ তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর কাছে ওহী পাঠালেন, তাহলে একটি মাত্র পিঁপড়া নয় কেন?

৫৬৫৭। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আসমা যুবাঈ (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক স্ত্রীলোককে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেয়া হয় যে, সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখে ছিল, অবশেষে সেটি মারা গেল। এ কারণে সে জাহান্নামে গেল। যে স্ত্রীলোকটি বিড়ালটিকে আটকে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে সে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বাচতে পারে।

৫৬৫৮। নাসর ইবনু আলী জাহযামী (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উপরোল্লেখিত হাদীসের অর্থের অনুরুপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৬৫৯। হামীন ইবনু আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু জাফার (রহঃ) উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৬৬০। আবূ কুরায়ব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একটি স্ত্রীলোককে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেওয়া হয়। সে নিজেও বিড়ালটিকে পানাহার করায় নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি যাতে সে (নিজে) যমীনের পোকা-মাকড় খেতে পারে।

৫৬৬১। আবূ কুরায়ব ও মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) হিশাম (রহঃ) উল্লেখিত সনদে হাদীস রিওয়াত করেছেন। তাঁদের দু-জনের বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- ‘সে তাকে বেঁধে রাখল’। (এছাড়া প্রথম সনদের) রাবী আবূ মুআবিয়া (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যমীনের কীট-পতঙ্গ (অর্থাৎ ‘খাশাশি’ শব্দের স্হলে ‘খাশারাতে’ শব্দ রয়েছে)।

৫৬৬২। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (উপরোল্লেখিত সনদের) রাবী হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৬৬৩। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৬৬৪। কুতায়রা ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি কোন পথ ধরে চলছিল, এমতাবস্হায় তার খুব পিপাসা পেল। সে একটি কুপ দেখতে পেয়ে তাতে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। এরপর সে বেরিয়ে এল। তখন সে দেখতে পেল যে, একটি কুকুর (পিপাসায়) জিব বের করে হাঁপাচ্ছে আর মাটি চাটছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, কুকুরটির আমার মত তীব্র পিপাসা পেয়েছে। তখন সে কুয়ায় নামল এবং তার (চামড়ার) মোজায় পানি ভরল পরে সে তার মুখ আটকে ধরে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পান করালো, মহান আল্লাহ তার (এ আমলের) কদর করলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। (সাহাবীগণ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তা হলে কি আমাদের জন্য এসব প্রানীর ব্যাপারে (সদাচরণে)-ও সাওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, প্রতিটি তাজা কলিজার সাওয়াব রয়েছে।

৫৬৬৫। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, এক পতিতা রমনী কোন এক গরমের দিনে একটি কুকুরকে একটি কুপের পাশে চক্কর দিতে দেখতে পেল, সেটি পিপাসায় তার জিভ বের করে হাঁপাচ্ছিলো। তখন সে তার (চামড়ার) মোজা দিয়ে তার জন্য পানি তুলে আনল এবং পান করাল। ফলে তাকে মাফ করে দেয়া হল।

৫৬৬৬। আবূ তাহির (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একটি কুকুর একটি (পানি ভর্তি) কুপের পাশে চক্কর দিচ্ছিল। পিপাসায় তার প্রায় জীবন নাশের উপক্রম হয়েছিল। তখন বনা ইসরাঈলের পতিতাদের এক পতিতা তাকে দেখতে পেল এবং (দয়ালু হয়ে) সে তার (চামড়ার) মোজা খুলে ফেলল এবং তার জন্য পানি তুলে এনে তাকে পান করিয়ে দিল। এর ফলে তাকে মাফ করে দেয়া হল।

 

নাম

আর্টিকেল,25,ডাউনলোড,1,বুখারী,81,মাসায়ালা,16,মুসলিম,54,
ltr
item
সহী আকীদা: সাপ ইত্যাদি নিধন
সাপ ইত্যাদি নিধন
সহী আকীদা
https://soheeaqida.blogspot.com/2020/11/killingsnakes.html
https://soheeaqida.blogspot.com/
http://soheeaqida.blogspot.com/
http://soheeaqida.blogspot.com/2020/11/killingsnakes.html
true
2725583972515071055
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy