৪৩২১। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি লোকের দাবী অনুসারে তাদের প্রার্থিত বস্তু প্রদান করা হতো তবে কোন কোন লোক অপর ব্যক্তির জানমাল দাবী করে বসতো। তাই বিবাদীর জন্য শপথ নেওয়ার বিধান রয়েছে।
৪৩২২। আবূ বাকর ইবনু আবূ
শায়বা (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাদী থেকে (আল্লাহর নামে) শপথ নেওয়ার মাধ্যমে
ফায়সালা দিয়েছেন।
৪৩২৩। আবূ বাকর ইবনু আবূ
শায়বা (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাদী থেকে (কসম) শপথ গ্রহণ এবং একজন সাক্ষীর
মাধ্যমে মুকদ্দমা নিস্পত্তি করেছেন।
৪৩২৪। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
তামীমী (রহঃ) উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ তোমরা মুকাদ্দমা নিয়ে আমার কাছে আগমন করে থাক এবং তোমাদের একজন অপরজন
অপেক্ষা অধিক বাকপটূ হয়ে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে স্বীয় দাবী প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কর।
আমি কথা শুনে তার অনুকুলে রায় প্রদান করি। সূতরাং এতে যদি তার ভাইয়ের হকের কিছু
তাকে প্রদান করি (বাস্তবে হয়ত এতে তার কোন অধিকারই নেই) তখন তার কর্তব্য হবে তা
গ্রহণ না করা। কেননা, এতে যেন আমি তাকে
জাহান্নামের এক খন্ড অগ্নি প্রদান করলাম।
৪৩২৫। আবূ বাকর ইবনু আবূ
শায়বা ও আবূ কুরাইব হিশাম (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
৪৩২৬। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া
(রহঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিনা উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হুজরার দ্বার প্রাস্তে জনৈক ঝগড়াকারীর শোরগোল শুনতে পেলেন।
তখন তিনি তাদের কাছে বেরিয়ে এলেন এবং বললেনঃ, আমি
তো একজন মানুষ। তবে আমার কাছে যখন কোন ঝগড়াকারী আসে তখন হয়ত একজন অপরজন থেকে অধিক
যুক্তিসঙ্গত কথা বলে। আর আমি মনে করি যে, সেই
সত্যবাদী। আমি যার পক্ষে মুসলিমদের হকের ব্যাপারে রায় দেই, তা বস্তুত জাহান্নামের একটি টূকরা। সে চাই তা
গ্রহণ করাক কিংবা ছেড়ে দিক।
৪৩২৭। আমর আন নাকিদ আবদ ইবনু
হুমাইদ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে একই সুত্রে ইউনূস (রহঃ) এর হাদীসের অনুরুপ বর্ননা
করেছেন আর মামার (রহঃ) এর হাদীসে ‘যুলবাহ’ এর পরিবর্তে ‘লি যাবাতা খাসমিন বিবাবি
উম্মু’ উল্লেখ রয়েছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ঝগড়াকারীর শোরগোল
শুনতে পেলেন।
৪৩২৮। আলী ইবনু হুজর সা’দী
(রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিন্দা
বিনত উকবা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে
বললেনঃ, ইয়া রাসুলুল্লাহ আবূ সুফিয়ান
একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচাঁদি প্রদান
করেন না। তবে আমি তার অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাঁদি গ্রহণ করে থাকি।
এতে কি আমার কোন পাপ হবে? তখন রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার সম্পদ থেকে ততটুকু গ্রহণ করতে পার, যা তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয়।
৪৩২৯। মুহাম্মাদ ইবনু
আবদুল্লাহ ইবনু নূমাইর, আবূ কুরাইব, ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি
(রহঃ) হিশাম (রহঃ) এর সুত্রে উক্ত সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেন।
৪৩৩০। আবদ ইবনু হুমাইদ (রহঃ)
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হিন্দা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
-এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ আল্লাহর কসম আপনার পরিবারের মধ্যে আপনার
পরিবার পরিজন থেকে অন্য কোন পরিবার পরিজনের প্রতি আমার এত অধিক আকাঙ্ক্ষা ছিল না
যে, তাঁদের আল্লাহ লাঞ্ছিত করুন। আর এখন পৃথিবীর
মধ্যে আপনার পবিবার পরিজন থেকে কোন পরিবার পরিজনের প্রতি আমার এত অধিক আকাঙ্খা হয়
যে, আল্লাহ তাদের সম্মান প্রদান করুন। তখন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই মহান আল্লাহর শপথ! যার
হাতে আমার প্রাণ, তা আরো বৃদ্ধি পাবে। অতঃপর
বললেনঃ, ইয়া রাসুলুল্লাহ আবূ সূফিয়ান
কৃপন স্বভাবের লোক। তবে আমি যদি তার বিনা অনুমতিতে তার পরিবার পরিজনের জন্য তার
সম্পদ থেকে খরচ করি, এতে কি আমার কোন দোষ হবে? তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেনঃ তাদের জন্য তুমি যথাবিধি খরচ করলে কোন দোষ হবে না।
৪৩৩১। যুহায়র ইবনু হারব
(রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হিন্দা বিনত উকবা ইবনু এ রবীয়া, এসে বললেনঃ, ইয়া
রাসুলুল্লাহ পৃথিবীর মধ্যে আপনার পরিবার পরিজন থেকে অন্য কোন পরিবার এর প্রতি আমার
এত অধিক আগ্রহ ছিল না যে, তারা লাঞ্ছিত হউক। আর আজকের
দিনে পৃথিবীর মধ্যে আপনার পরিবার পরিজন থেকে অন্য কোন পরিবার পরিজনের প্রতি আমার
এত অধিক আগ্রহ আর নেই যে, তাঁরা সম্মানিত হউক। তখন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই মহান আল্লাহর কসম যার হাতে
আমার জীবন, তা আরো বৃদ্ধি পাবে। তারপর
হিন্দা বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আবূ সুফিয়ান একজন কঠিন ধরনের লোক। এমতাবস্হায় আমি
যদি আমাদের পরিঝর পরিজন যাদের খোর-পোষ তাতে দায়িত্বে তাদেরকে তার সম্পদ থেকে
খাবার প্রদান করি তবে কি এতে আমার কোন দোষ হবে? তিনি
বললেনঃ না। তবে তা যথাবিধি হতে হবে।
৪৩৩২। যুহায়র ইবনু হারব
(রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা তিনটি কাজ পছন্দ করেন এবং তিনটি কাজ অপন্দ করেন।
তোমাদের জন্য তিনি যা পছন্দ করেন, তা
হল ১। তোমরা তাঁরই ইবাদত করবে, ২। তাঁর সঙ্গে কিছুই শরীক
করবে না এবং ৩। তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জূ শক্তভাবে ধারণ করবে ও পরস্পর বিচ্ছিন্ন
হবে না। আর যে সকল বিষয় তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেনঃ ১। বাজে কথাবার্তা বলা, ২। অধিক প্রশ্ন করা এবং ৩। সম্পদ বিনষ্ট করা।
৪৩৩৩। শায়বান ইবনু ফাররুখ
(রহঃ) সূহাইল (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেনঃ এবং
তিনি তোমাদের প্রতি তিনটি কাজে রাগান্বিত হন। এবং তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো
না- কথাটা তিনি উল্লেখ করেননি।
৪৩৩৪। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম
হানযালী (রহঃ) মুগীরা ইবনু শুবা থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর
হারাম করেছেন মায়ের অবাধ্য হওয়া, কন্যা সন্তান জীবিত অবস্হায়
মাটিতে পুঁতে ফেলা এবং অন্যের হক আদায় না করা এবং না-হক কোন বস্তু প্রার্থনা করা।
আর তিনটি বিষয় তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেন। তা হল:১। অনর্থক কথাবার্তা বলা, ২। অধিক প্রশ্ন করা এবং ৩। সম্পদ বিনষ্ট করা।
৪৩৩৫। কাসিম ইবনু যাকারিয়া
(রহঃ) মানসূর (রহঃ) থেকে উক্ত সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তোমাদের উপর হারাম করেছেন”। আর “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর হারাম করেছেন” এই
বাক্যটি তিনি বলেন নি।
৪৩৩৬। আবূ বাকর ইবনু আবূ
শায়বা (রহঃ) শা’বি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এর
মুহাররির লেখক আমাকে বলেছেন যে, মুয়াবিয়া (রাঃ) মুগীরা
(রাঃ)-এর কাছে পত্র লিখলেন যে, আপনি রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন, এমন
কিছু বিষয় আমাকে লিখে জানান। তখন তিনি তাঁকে লিখলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য তিনটি কাজ
অপছন্দ করেনঃ ১। অনর্থক কথা বার্তা বলা, ২।
সম্পদ অপচয় করা এবং ৩। অধীক প্রশ্ন করা।
৪৩৩৭। ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ওয়াররাদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুগীরা (রাঃ) মুযাবিয়া (রহঃ) এর নিকট পত্র লেখেনঃ
“আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আম্মাবাদ, আমি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তিনটি বিষয় হারাম করেছেন
এবং তিনটি কাজ নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি হারাম করেছেনঃ পিতামাতার অবাধ্যতা, কন্যা সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখা এবং হক আদায়
না করা ও না-হক কিছু প্রার্থনা করা। আর তিনি তিনটি কাজ নিষিদ্ধ করেছেন, তা হলোঃ ১। অনর্থক কথাবার্তা বলা, ২। “ অধিক প্রশ্ন করা এবং ৩। মাল-সম্পদ বিনষ্ট
করা।
৪৩৩৮। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
তামিমী (রহঃ) আমর ইবনু আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ যদি কোন বিচারক
যথাযথ চিন্তা-গবেষণার পর রায় দেন, অতঃপর তিনি সঠিক সিদ্ধান্তে
উপনীত হন, তার জন্য রয়েছে দুটি
পুরস্কার। আর যদি তিনি চিন্তা-গবেষণা করে রায় প্রদানের সময় ভুল করেন, তবুও তার জন্য রয়েছে একটি পূরস্কার।
৪৩৩৯। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও
মূহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার (রহঃ) আব্দুল আযীয ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) এর সূত্রে উক্ত
সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসের শেষাংশে অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন, রাবী ইয়াযীদ বলেনঃ আমি-হাদীসটি আবূ বাকর ইবনু
আমর ইবনু হাযম (রহঃ) এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ যে, আমার কাছে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে আবূ সালমা
এরুপ বলেছেন।
৪৩৪০। আবদুল্লাহ ইবনু আব্দুর
রাহমান দারিমী (রহঃ) ইয়াযিদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) এর সূত্রে হাদীসটি উভয় সুত্রে
আবদুল আযীয ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) এর বর্ণিত রেওয়াতের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
৪৩৪১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ
(রহঃ) আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ, আমার পিতা আমাকে একটি পত্র লেখালেন। তখন আমি
সিজিস্তানের বিচারক আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ) কে লিখেন যে, আপনি রাগাম্বিত অবস্হায় দু-জনের মধ্যে বিচার
করবেন না। কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি
যে, কোন বিচারক যেন রাগাম্বিত অবস্হায় দু-জনের
মধ্যে বিচার না করেন।
৪৩৪২। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, শায়বান ইবনু ফাররুক, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না, উবায়দুল্লাহ ইবনু মুয়ায ও আবূ কুরাইব (রহঃ) আবূ
বাকরা (রহঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবূ আওয়ানা (রহঃ)
এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন।
৪৩৪৩। আবূ জাঁফর মুহাম্মদ
ইবনু সাব্বাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আওন হিলালী (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মীয় ব্যাপারে এমন বিষয় উদ্ভাবন
করে যা তাতে নেই তা পরিত্যাজ্য।
৪৩৪৪। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও
আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, আমি কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) কে এক ব্যক্তি
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যার তিনটি বাসস্হান ছিল।
অতঃপর, সে (মৃত্যুকালে) প্রত্যেক
বাসস্থানের এক তৃতীয়াংশ দান করার অছিয়ত করে যান। ১। তিনি বললেনঃ, এ সকল অংশকে এক বাসস্থানে একত্রিত করা হবে।
এরপর তিনি বললেনঃ, আমাকে আয়িশা (রাঃ) বলেছেনঃ
যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন কর্ম করলো যা আমাদের ধর্মে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।
৪৩৪৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
(রহঃ) যায়িদ ইবনু খালিদ জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
তোমাদের কি আমি উত্তম সাক্ষীদের সম্পর্কে অবহিত করব না? উত্তম সাক্ষী হল সেই ব্যক্তি, যে সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসে, তাকে সাক্ষ্যের জন্য ডাকার আগেই।
৪৩৪৬। যুহায়র ইবনু হারব
(রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদা দুজন মহিলা তাদের নিজ নিজ ছেলে নিয়ে
যাচ্ছিলো। হঠাৎ এক বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলেটিকে নিয়ে যায়। তখন তাদের একজন আপন
সঙ্গীনীকে বললো, তোমাদের ছেলেকে বাঘে নিয়েছে।
আর অন্য জন বললো, বরং তোমার ছেলেকে বাঘে নিয়েছে।
এই নিয়ে উভয়ে দাঊদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট নালিশ নিয়ে গেল। তিনি বয়সে বড়
মহিলার পক্ষে সন্তানের রায় দিলেন। তখন উভয়ে বেরিয়ে সূলায়মান ইবনু দাঊদ (আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সে ঘটনা বলল। তিনি বললেনঃ, তোমরা আমার কাছে একটি ছুরি নিয়ে এসো, আমি সন্তানটিকে কেটে উভয়ের মাঝে ভাগ করে দেবো।
তখন ছেটি মহিলাটি বললোঃ না আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন (আমি মেনে নিলাম)। ছেলেটি
ঐ মহিলারই। তখন তিনি ছোট মহিলার পক্ষে ছেলে প্রদানের রায় দিলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি ইতিপুর্বে ‘ছুরি’ শব্দটি সেদিন ব্যতীত
আর কখনও শুনিনি। আমরা উহাকে ‘মুদইয়াত’ বলতাম।
৪৩৪৭ সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ ও
উমাইয়া ইবনু বিসতাম (রহঃ) আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে এই সুত্রে ওয়ারকা (রাঃ) এর হাদীসের
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
৪৩৪৮ মুহাম্মাদ ইবনু রাফি
(রহঃ) হাম্মাম ইবনু মূসাব্বিহ বলেনঃ যে, আবূ
হুরায়রা (রাঃ) যে সকল হাদীস আমাদের বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে একটি এই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির নিকট থেকে এক খন্ড ভূমি ক্রয় করো যে ব্যক্তি
ভূমি ক্রয় করেছিল সে তার কেনা সম্পত্তিতে একটি কলসী পেল। তাতে স্বর্ণ ছিল। যে
সম্পত্তি ক্রয় করেছিল সে বিক্রেতাকে বলল, তুমি
আমার কাছ থেকে তোমার স্বর্ণ বুঝে নাও। আমি তো তোমার কাছে থেকে ভূমি ক্রয় করেছি, স্বর্ণ খরিদ করিনি। তখন যে ব্যক্তি সম্পতি
বিক্রি করেছিল সে বলল, আমি তো তোমার কাছে ভূমি এবং
ভূমির মধ্যে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি। তিনি বলেনঃ, তারপর উভয়েই এক ব্যক্তির কাছে গিয়ে এর ফয়সালা
চাইল। তখন, সে বলল, তোমাদের কি কোন সন্তান আছে? তাদের একজন বলল যে, আমার একটি ছেলে আছে এবং অপর জন বলল, আমার একটি মেয়ে আছে। তখন তিনি বললেনঃ, তোমার ছেলেটিকে মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে দাও এবং এ
উপলক্ষে তোমরা তোমাদের উপর তা খরচ কর এবং এ থেকে সাদাকাও কর।