২৬৫১। মুহাম্মদ ইবনু মিহরান রাযী (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবীরমযান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন।
২৬৫২। আবূত-তাহির (রহঃ)
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের শেয দশকে ইতিকাফ করতেন। নাফি (রহঃ)
বলেনঃ মসজিদের যে স্থানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) তা আমাকে দেখিয়েছেন।
২৬৫৩। সাহল ইবনু উসমান (রহঃ)
আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের শেয দশকে ইতিকাফ করতেন।
২৬৫৪। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
সাসূল ইবনু উসমান আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দাশ
দিন ইতিকাফ করতেন।
২৬৫৫। কুতায়বা ইবনু সা’দ
(রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের
পূর্ব পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকেই ইতিকাফ করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার
সমধর্মিগীগণও ইতিকাফ করতেন।
২৬৫৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া
(রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করার ইচ্ছা করলে ফজরের সালাত আদায়ের পর ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ
করতেন। একবার তিনি (মসজিদের অভ্যন্তরে) তাবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন এবং তদনূযায়ী
তা খাটান হল। তিনি রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করার সংকল্প করলেন। উম্মুল মুমিনীন
যয়নব (রাঃ)-ও তাঁর তার খাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তা খাটান হল। অতঃপর নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অপরাপর স্ত্রীগণও নিজ নিজ তাঁবু খাটানোর
নির্দেশ দিলেন এবং তা খাটানো হল। ফজরের সালাত শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকিয়ে তাঁবুগুলো দেখতে পেলেন এবং বললেন, এর পেছনে কি কোন সৎ উদ্দেশ্য আছে? অতঃপর তিনি তাবুগুলো খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন
এবং তা তুলে ফেলা হল। তিনি শেষ রমযানের ইতিকাফ ভংগ করলেন এবং শাওয়াল মাসের প্রথম
দশকে এর কাযা করলেন।
২৬৫৭। ইবনু আবূ উমর আমর ইবনু
সাওয়াদ মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ,সালামা ইবনু শাবীব ও যুহায়র
ইবনু হারব (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -থেকে
আবূ মু’আবিয়া (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থানূযায়ী বর্ণিত হয়েছে। ইবনু উয়ায়না আমর
ইবনুল হারিস ও ইবনু ইসহাকের বর্ণনায় আয়িশা (রাঃ), হাফসা
(রাঃ) ও যয়নব (রাঃ) সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে তারা ইতিকাফের উদ্দেশ্যে তাঁবু খাটিয়ে
ছিলেন।
২৬৫৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম
হানযালী ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত জেগে থাকতেন ও নিজ পরিবারের
সদস্যদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তিনি নিজেও ইবাদতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন।
২৬৫৯। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও
আবূ কামিল জাহদারী (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমযানের শেষ দিকে অধিক
পরিমানে এমনভাবে সচেষ্ট থাকতেন যা অন্য সময়ে থাকতেন না।
২৬৬০। আবূ বকর ইবনু আবূ
শায়বা, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক (রহঃ)
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (যিলহাজ্জের (হজ্জ) দশম তারিখে
কখনও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে দেখিনি।
২৬৬১। আবূ বকর ইবনু নাফি-
(রহঃ) আবদী (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (যিলহাজ্জের (হজ্জ) দশ তারিখে সাওম
(রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেননি।