পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর هَيِّنٌ ও هَيْنٌ যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে যথাক্রমে لَيِّنٍ ও لَيْنٍ مَيِّتٍ ও مَيْتٍ এবং ضَيِّقٍ ও ضَيْقٍ এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
২৯৬৪।
মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বানূ
তামীমের একদল লোক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এল, তখন তিনি তাদের বললেন, হে তামীম সম্প্রদায়! সুসংবাদ গ্রহণ কর। তখন
তারা বলল, আপনি তো সুসংবাদ জানিয়েছেন, এবার দান করুন। এতে তাঁর মুখমন্ডল বিবর্ণ হয়ে
গেল। এ সময় তাঁর কাছে ইয়ামানের লোকজন আসল। তখন তিনি বললেন, হে ইয়ামানবাসী! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর।
কেননা তামীম সম্প্রদায়ের লোকেরা তা গ্রহণ করেনি। তারা বলল, আমরা গ্রহণ করলাম। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টির সূচনা এবং আরশ সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে একজন লোক
এসে বলল, হে ইমরান! তোমার উটনীটি
পালিয়ে গেছে। হায়! আমি যদি উঠে চলে না যেতাম।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই
সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে
আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি
করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী
(রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর
هَيِّنٌ
ও هَيْنٌ
যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে
যথাক্রমে لَيِّنٍ
ও لَيْنٍ مَيِّتٍ
ও مَيْتٍ
এবং ضَيِّقٍ
ও ضَيْقٍ
এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا
এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা
করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ
সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
২৯৬৫।
উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
আমার উটনীটি দরজার সাথে বেধে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে
উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে তামীম সম্প্রদায়ের কিছু লোক এল। তিনি বললেন, হে তামীম সম্প্রদায়! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর।
উত্তরে তারা বলল, আপনি তো আমাদের সুসংবাদ
দিয়েছেন, এবার আমাদেরকে কিছু দান
করুন। এ কথা দু’বার বলল। এরপর তাঁর কাছে ইয়ামানের কিছু লোক আসল। তিনি তাদের বললেন, হে ইয়ামানবাসী! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কারণ
বানূ তামীমগণ তা গ্রহণ করে নাই। তারা বলল, হে
আল্লাহর রাসূল! আমরা তা গ্রহণ করলাম। তারা আরো বলল, আমরা
দ্বীন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনার খেদমতে এসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, (শুরুতেই) একমাত্র আল্লাহই ছিলেন, আর তিনি ব্যতীত আর কোন কিছুই ছিল না। তাঁর
আরশ ছিল পানির উপরে।
এরপর
তিনি লাওহে মাহফুজে সব কিছু লিপিবদ্ধ করলেন এবং আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এ সময়
জনৈক ঘোষণাকারী ঘোষণা করল, হে ইবনু হুসাইন! আপনার
উটনী পালিয়ে গেছে। তখন আমি এর তালাশে চলে গেলাম। দেখলাম তা এত দূরে চলে গেছে যে, তার এবং আমার মধ্যে মরিচীকাময় ময়দান ব্যবধান
হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কসম! আমি তখন উটনীটিকে একেবারে ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা করলাম। ঈসা
(রহঃ) তারিক ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি উমর (রাঃ) কে বলতে
শুনেছি, এ সময় নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি আমাদের সৃষ্টির সূচনা
সম্পর্কে অবহিত করলেন। অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসী তাদের নিজ নিজ
স্থানে প্রবেশ করার কথাও উল্লেখ করলেন। যে ব্যাক্তি এ কথাটি স্মরণ রাখতে পেরেছে, সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে
গেছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই
সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে
আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি
করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী
(রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর
هَيِّنٌ
ও هَيْنٌ
যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে
যথাক্রমে لَيِّنٍ
ও لَيْنٍ مَيِّتٍ ও مَيْتٍ
এবং ضَيِّقٍ
ও ضَيْقٍ
এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا
এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা
করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ
সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
২৯৬৬।
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ শাইবা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান
আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমাকে গালমন্দ
করে অথচ আমাকে গালমন্দ করা তার উচিত নয়। আর সে আমাকে অস্বীকারকরে অথচ তার তা উচিত
নয়। আমাকে গালমন্দ করা হচ্ছে, তার এ উক্তি যে, আমার সন্তান আছে। আর তা অস্বীকার হচ্ছে, তার এ উক্তি, যেভাবে
আল্লাহ আমাকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন, সেভাবে
কখনো তিনি আমাকে পুনঃ সৃষ্টি করবেন না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই
সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে
আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি
করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী
(রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর
هَيِّنٌ
ও هَيْنٌ
যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে
যথাক্রমে لَيِّنٍ
ও لَيْنٍ مَيِّتٍ
ও مَيْتٍ
এবং ضَيِّقٍ
ও ضَيْقٍ
এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا
এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা
করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ
সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
২৯৬৭।
কুতাইবা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যখন সৃষ্টি কার্য
সমাধা করলেন, তখন তিনি তাঁর কিতাব লাওহে
মাহফুজে লিখেন, যা আরশের উপরতাঁর
কাছেবিদ্যমান। নিশ্চই আমার করুণা আমার ক্রোধের চেয়ে প্রবল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর
বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
আকাশ। سَمْكَهَا
এর ভিত্তি। الْحُبُكُ
তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং
তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের
স্থান
২৯৬৮।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ সালমা ইবনু আবদুর রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেন), কয়েকজন
লোকের সাথে একটি জমি নিয়ে তার বিবাদ ছিল। আয়িশা (রাঃ) এর নিকট এসে তা ব্যক্ত করল।
তিনি বললেন, হে আবূ সালমা! জমা-জমির
ঝামেলা হতে দূরে থাক। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি এক বিঘত
পরিমাণ অন্যের জমি জুলুম করে আত্মসাৎ করেছে, কিয়ামতের
দিন সাত তবক যমীনের হার তার গলায় পরানো হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর
বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
আকাশ। سَمْكَهَا
এর ভিত্তি। الْحُبُكُ
তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং
তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের
স্থান
২৯৬৯।
বিশর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... সালিম (রহঃ) এর পিতা ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে
ব্যাক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমির সামান্যতম অংশও আত্মসাৎ করে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের নীচে তাকে
ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর
বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
আকাশ। سَمْكَهَا
এর ভিত্তি। الْحُبُكُ
তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং
তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের
স্থান
২৯৭০।
মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি
করেছেন, সে দিন থেকে সময় যেরূপে
আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেরূপে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি
মাস সম্মানিত। যুল-কা‘দাহ, যূল-হিজ্জাহ ও মুহাররম
তিনটি মাস পরপর রয়েছে। আর এক মাস হল রজব-ই-মুযার যা জুমাদা ও শাবান মাসের মধ্যে
অবস্থিত।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর
বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
আকাশ। سَمْكَهَا
এর ভিত্তি। الْحُبُكُ
তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং
তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের
স্থান
২৯৭১।
উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু যায়িদ ইবনু আমর ইবনু নুফাইল (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, ‘আরওয়া’ নামক জনৈকা মহিলা
এক সাহাবীর (সাঈদের) বিরুদ্ধে মারওয়ানের নিকট (জমি সংক্রান্ত বিষয়ে) তার ঐ পাওনা
সম্পর্কে মামলা দায়ের করল, যা তার (মহিলাটির) ধারণায়
তিনি (সাঈদ) নষ্ট করেছেন। ব্যাপার শুনে সাঈদ (রাঃ) বললেন, আমি কি তার (মহিলাটির) সামান্য হকও নষ্ট করতে
পারি? আমি তো সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি জুলুম করে
অন্যের এক বিঘত যমিনও আত্মসাৎ করে, কিয়ামতের
দিন সাত তবক যমীনের শৃঙ্খল তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে। ইবনু আবূয যিনাদ (রহঃ) হিশাম
(রহঃ) থেকে, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা
করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি (হিশামের পিতা উরওয়া)
(রাঃ) বলেন, সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)
আমাকে বলেছেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হলাম (তখন তিনি এ হাদিস বর্ণনা করেন)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে
নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর
অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট
হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে
না। حُسْبَانٌ
হল حِسَابٍ
শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
بَاب فِي النُّجُومِ
وَقَالَ قَتَادَةُ وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ خَلَقَ هَذِهِ النُّجُومَ لِثَلَاثٍ جَعَلَهَا زِينَةً لِلسَّمَاءِ وَرُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ وَعَلَامَاتٍ يُهْتَدَى بِهَا فَمَنْ تَأَوَّلَ فِيهَا بِغَيْرِ ذَلِكَ أَخْطَأَ وَأَضَاعَ نَصِيبَهُ وَتَكَلَّفَ مَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَشِيمًا مُتَغَيِّرًا وَالْأَبُّ مَا يَأْكُلُ الْأَنْعَامُ وَالْأَنَامُ الْخَلْقُ بَرْزَخٌ حَاجِبٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَلْفَافًا مُلْتَفَّةً وَالْغُلْبُ الْمُلْتَفَّةُ فِرَاشًا مِهَادًا كَقَوْلِهِ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ نَكِدًا قَلِيلًا
১৯৮৫.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৫. নক্ষত্ররাজি প্রসঙ্গে।
কাতাদা
(রহঃ) বলেন, (আল্লাহ) তা’আলার বাণীঃ) আর
আমি দুনিয়ার নিকটতম আসমানকে উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। (৬৭ঃ ৫)
(এ সম্পর্কে কাতাদা (রহঃ) বলেন) এ সব নক্ষত্ররাজি তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা
হয়েছে। (১) বানিয়েছেন এদের আসমানের সৌন্দর্য (২) শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ
করার জন্য (৩) এবং পথ ও দিক নির্ণয়ের নিদর্শন হিসেবে। অতএব যে ব্যক্তি এদের
সম্পর্কে এছাড়া অন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় সে ভুল করে, নিক
প্রাপ্য হারায় এবং সে এমন বিষয়ে কষ্ট করে যে বিষয়ে তার জ্ঞান নেই। আর ইবন আব্বাস
(রাঃ) বলেন, هَشِيمًا অর্থ পরিবর্তন আর الأَبُّ তৃণ যা চতুষ্পদ জন্তু
ভক্ষন করে, الأَنَامُ অর্থ মাখলুক بَرْزَخٌ অর্থ প্রতিবন্ধক আর
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, أَلْفَافًا অর্থ জড়ানো আর الْغُلْبُ অর্থ ঘন ও সন্নিবেশিত
বাগান। فِرَاشًا অর্থ বিছানা। যেমন আল্লাহর
বাণীঃ আর তোমাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে অবস্থান স্থল। نَكِدًا অর্থ অল্প।
২৯৭২।
মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবূ যার (রাঃ) কে বললেন, তুমি কি জানো, সূর্য
কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি
বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে
গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া
হয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে তা কবূল করা
হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত
হবে--এটাই মর্ম হল আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর সূর্য গমন করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের
দিকে, এটাই পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬ঃ ৩৮)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে
নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর
অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট
হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে
না। حُسْبَانٌ
হল حِسَابٍ
শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৩।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্য় উভয়কে লেপটিয়ে
দেয়া হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত
কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের
আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয়
এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও
সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৪।
ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কারো
মৃত্যু এবং জন্মের কারণে সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ হয় না, বরং এ দুটোই আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে
দু’টি নিদর্শন মাত্র। অতএব যখন তোমরা তা সংঘটিত হতে দেখবে তখন সালাত (নামায/নামাজ)
আদায় করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে
নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর
অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট
হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে
না। حُسْبَانٌ
হল حِسَابٍ
শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৫।
ইসমাঈল ইবনু আবূ উওয়াইস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূর্য
ও চন্দ্র এ দু’টোই আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু এবং
জন্মের কারনে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন হয় না। অতএব যখন তোমরা তা সংঘটিত হতে দেখবে
তখন আল্লাহর যিকর করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে
নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর
অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট
হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে
না। حُسْبَانٌ
হল حِسَابٍ
শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৬।
ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, যেদিন সূর্যগ্রহণ হল, সেদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সালাতে দাঁড়ালেন। তারপর তাকবীর বললেন, এবং
দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। তারপর দীর্ঘ রুকু করলেন এরপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেনسَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
এবং তিনি পূর্বের ন্যায় দাঁড়ালেন। আর দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন কিন্তু তা প্রথম
কিরাআত থেকে কম ছিল। এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ রুকু‘ করলেন কিন্তু তা প্রথম রাকাআতের
তুলনায় কম ছিল। তারপর তিনি দীর্ঘ সিজদা করলেন। তিনি শেষ রাকাআতেও অনুরূপই করলেন, পরে সালাম ফিরালেন। এ সময় সূর্য উজ্জল হয়ে
গিয়েছে। তখন তিনি লোকজনকে লক্ষ্য করে খুতবা দিলেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ
সম্পর্কে বললেন, অবশ্যই এ দু’টি আল্লাহর
নিদর্শনাবলীর মধ্যে থেকে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে
সূর্যগ্রহণ-চন্দ্র গ্রহণ হয় না। অতএব যখনই তোমরা তা সংঘঠিত হতে দেখবে তখনই সালাতে
ভয়-ভীতি নিয়ে ধাবিত হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে
নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর
অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট
হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে
না। حُسْبَانٌ
হল حِسَابٍ
শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ
এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا
এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ
রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ
আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ
এবং وَهْيُهَا
এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে।
যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে
থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ
গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ
অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৭।
মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন কারো মৃত্যু বা
জন্মের কারণে হয় না বরং উভয়টি আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে থেকে দু’টি নিদর্শন।
অতএব যখন তোমরা তা সংঘটিত হতে দেখবে তখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৭. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তিনিই
আপন অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী রূপে বায়ূ প্রেরন করেন (২৫ঃ ৪৮) قَاصِفًا
অর্থ যা সব কিছু ভেঙ্গে দেয়। لَوَاقِحَ مَلاَقِحَ শব্দদ্বয় مُلْقِحَةً শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বর্ষণকারী। إِعْصَارٌ
ঝঞ্চা বায়ূ যা যমীন থেকে আকাশের দিকে স্তম্ভাকারে প্রবাহিত হতে থাকে, যাতে আগুন বিরাজ করে। صِرٌّ
অর্থ শীতল। نُشُرًا
অর্থ বিস্তৃত।
২৯৭৮।
আদম (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পূবালী
বায়ু দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে, আর
পশ্চিমের বায়ু দ্বারা আদ জাতিকে ধবংস করা হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৭. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তিনিই
আপন অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী রূপে বায়ূ প্রেরন করেন (২৫ঃ ৪৮) قَاصِفًا
অর্থ যা সব কিছু ভেঙ্গে দেয়। لَوَاقِحَ مَلاَقِحَ শব্দদ্বয় مُلْقِحَةً শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বর্ষণকারী। إِعْصَارٌ
ঝঞ্চা বায়ূ যা যমীন থেকে আকাশের দিকে স্তম্ভাকারে প্রবাহিত হতে থাকে, যাতে আগুন বিরাজ করে। صِرٌّ
অর্থ শীতল। نُشُرًا
অর্থ বিস্তৃত।
২৯৭৯।
মাক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আকাশে মেঘ দেখতেন, তখন একবার সামনে অগ্রসর হতেন, আবার পেছনে সরে যেতেন। আবার কখনো ঘরে প্রবেশ
করতেন, আবার বের হয়ে যেতেন আর
তাঁর মুখমন্ডল বিবর্ণ হয়ে যেত। পরে যখন আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করত তখন তাঁর এ অবস্থা
কেটে যেত। আয়িশা (রাঃ) এর কারণ জানতে চাইলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন, আমি জানিনা, এ মেঘ ঐ মেঘও হতে পারে যা দেখে আদ জাতি যেমন
বলেছিলঃ এরপর যখন তারা তাদের উপত্যকার অভিমুখে উক্ত মেঘমালা অগ্রসর হতে দেখল। (৪৬ঃ
২৪)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮০।
হুদবা ইবনু খালিদ ও খলিফা (ইবনু খাইয়াত) (রহঃ) ... মালিক ইবনু সা'সা'আ
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কাবা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু’
অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এরপর তিনি দু’ ব্যাক্তির মাঝে অপর এক ব্যাক্তি
অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার
নিকট স্বর্ণের একটি তশতরী নিয়ে আসা হল-যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তাপর আমার
বুক থেকে পেটের নীচ পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। এরপর আমার পেটে যমযমের পানি দ্বারা
ধুয়ে ফেলা হল।
তারপর
হিকমত ও ঈমান পরিপূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা থেকে বড় অর্থাৎ
বুরাক। এরপর তাতে আরোহণ করে আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) সহ চলতে চলতে পৃথিবীর
নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা হল, এ
কে? উত্তরে বলা হল, জিবরীল।
জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল, তাঁকে ধন্যবাদ, তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম।
তারপর
আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গেলাম। তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নাবী! তোমার প্রতি ধন্যবাদ। এরপর
আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ
কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ঈসা ও ইয়াহইয়া
(আলাইহিমুস সালাম) এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই
ও নাবী! আপনার প্রতি ধন্যবাদ।
তারপর
আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ
কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইউসুফ (আলাইহিস
সালাম) এর নিকট গেলাম। তাঁকো আমি সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর
আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ
কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইদ্রিস (আলাইহিস
সালাম) এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর
আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ
কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমরা হারুন (আলাইহিস
সালাম) এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
তারপর
ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ
কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি মূসা (আলাইহিস
সালাম) এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী আপনাকে ধন্যবাদ।
তারপর
আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন
তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বলেছেন, হে
রব! এ ব্যাক্তি যে আমার পর প্রেরিত, তাঁর
উম্মাত আমার উম্মাতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। এরপর আমরা সপ্তম আকাশে
পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি
জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইবরাহীম (আলাইহিস
সালাম) এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নাবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর
বায়তুল মা'মুরকে আমার সামনে প্রকাশ
করা হল। আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মামুর। প্রতিদিন এখানে সত্তর
হাজার ফিরিশতা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এরা এখান থেকে একবার বের হলে
দ্বিতীয় বার ফিরে আসে না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। তারপর আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা
দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন, হাজার নামক স্থানের মটকার ন্যায়। আর তার পাতা
যেন হাতীর কান। তার মূল দেশে চারটি ঝরনা প্রবাহিত।’ দু’টি অভ্যন্তরে আর দু’টি
বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিবরীলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অভ্যন্তরে দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের
দু’টির একটি হল (ইরাকের) ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ।
তারপর
আমি প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মূসা
(আলাইহিস সালাম) এর কাছে ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি
করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত
(নামায/নামাজ) ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি
আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট
চেষ্টা করেছি আর আপনার উম্মাত এত (সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ে) সমর্থ হবে না। অতএব
আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর অনুরোধ করুন।
আমি
ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) চল্লিশ ওয়াক্ত
করে দিলেন। পুনরায় অনুরূপ ঘটল। আর সালাত (নামায/নামাজ)ও ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেওয়া
হল। পুনরায় অনুরূপ ঘটলে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার
অনুরূপ হল। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) কে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর আমি মূসা
(আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, এবার আল্লাহ সালাত (নামায/নামাজ) কে পাঁচ
ওয়াক্ত ফরয করে দিলেন। আমি মূসার নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কি করে আসলেন? আমি
বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরয
করে দিয়েছেন।
এবারও
তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছে। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরয জারি করে দিয়েছি। আর আমার
বান্দাদের থেকে হালকা করে দিয়েছে। আর আমি প্রতিটি পূণ্যের জন্য দশ গুন সওয়াব দিব।
আর
বায়তুল মামুর সম্পর্কে হাম্মাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণণা করেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮১।
হাসান ইবনু রাবী (রহঃ) ... যায়দ ইবনু ওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সত্যবাদীরূপে স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, নিশ্চই তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপকরণ নিজ
নিজ মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্যরূপে অবস্থান করে, এরপর তা জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়।
অনুরূপভাবে চল্লিশ দিন অবস্থান করে। এরপর তা গোশতপিন্ডে পরিণত হয়ে (আগের ন্যায়
চল্লিশ দিন) থাকে। এরপর আল্লাহ একজন ফিরিশতা প্রেরণ করেন। আর তাঁকে চারটি বিষয়ে
নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে (ফিরিশতাকে) লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়, তার আমল, তার
রিযক, তার জীবনকাল এবং সে কি
পাপী হবে না পূণ্যবান হবে। এরপর তার মধ্যে আত্মা ফুকে দেওয়া হয়। কাজেই তোমাদের কোন
ব্যাক্তি আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার
এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকে, এমন
সময় তার আমলনামা তার উপর অগ্রগামী হয়। ফলে সে জান্নাতবাসীর মত আমল করে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮২।
মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন তিনি
জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে বলেন, নিশ্চই
আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালবাস।
তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) ও তাকে ভালবাসেন এবং জিবরীল (আলাইহিস সালাম)
আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ
অমুক বান্দাহকে ভালবাসেন। কাজেই তোমরা তাকে ভালবাস। তখন আকাশবাসী তাকে ভালবাসতে
থাকে। এরপর পৃথিবীতেও তাকে গ্রহণ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৩।
মুহাম্মদ (ইবনু ইয়াহইয়া) (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, ফিরিশতাগণ মেঘমালার উপরে অবতরণ করেন এবং
আকাশে (আল্লাহর) মীমাংসাকৃত বিধান আলোচনা করেন। তখন শয়তানেরা চুরি করে শোনার
চেষ্টা করে এবং তার কিছু শুনেও ফেলে। এরপর তারা তা গনকের কাছে পৌঁছিয়ে দেয় এবং
তারা তার সেই শোনা কথার সাথে নিজেদের পক্ষ থেকে আরো শত মিথ্যা মিলিয়ে (মানুষের
কাছে) বলে থাকে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২০৮৪।
আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জুমুআর দিন হয় তখন মসজিদের প্রতিটি দরজায় ফিরিশতা এসে
দাঁড়িয়ে যায় এবং যে ব্যাক্তি প্রথম মসজিদে এসে প্রবেশ করে, তার নাম লিখে নেয়। তারপর পরবর্তীদের
পর্যায়ক্রমে নাম। ইমাম যখন (মিম্বারে) বসে পড়ের তখন তারা এসব লিখিত পুস্তিকা বন্ধ
করে দেন এবং তারা মসজিদে এসে জিকর (খুতবা) শুনতে থাকেন।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৫।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু মূসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বীর্ণত, তিনি বলেন, একদা
উমর (রাঃ) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন
হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। (উমর (রাঃ) তাঁকে বাঁধা দিলেন)
তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম
ব্যাক্তি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপস্থিতিতেও আমি কবিতা
আবৃত্তি করতাম। তারপর তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি; আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, তুমি আমার পক্ষ থেকে জবাব
দাও। ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে রুহুল কুদ্দুস (জিবরীল (আলাইহিস সালাম) দ্বারা সাহায্য
করুন।’ তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৬।
হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হাসসান (রাঃ) কে বলেছেন, তুমি
তাদের (কাফিরদের) কুৎসা বর্ণনা কর অথবা তাদের কুৎসার উত্তর দাও। তোমার সাখে
(সাহায্যার্থে) জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৭।
ইসহাক (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি যেন বানূ গানমের গলিতে
ঊর্ধ্বে উত্থিত ধুলা স্বয়ং দেখতে পাচ্ছি আর (রাবী) মূসা এতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন, জিবরীলের বাহনের পদচালনা করান।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৮।
ফারওয়াহ্ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হারিস
ইবনু হিশাম (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার নিকট ওহয় কিরূপে আস? তিনি বললেন, ‘এর সব ধরণের ওহী নিয়ে ফিরিশ্তা আসেন। কোন কোন সময় ঘন্টার
আওয়াজের ন্যায় শব্দ করে (আসে) যখন ওহী আমার নিকট আসা শেষ হয়ে যায়, তখন তিনি যা বলেছেন আমি তা মুখস্ত করে ফেলি।
আর এরূপ শব্দ করে ওহী আসাটা আমার নিকট কঠিন মনে হয়। কখনও কখনও ফিরিশতা আমার কাছে
মানুষের আকৃতিতে আসেন এবং আমার সাথে কথা বলেন। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্ত করে
নেই।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৮৯।
আদম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে
ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু জোড়ায় জোড়ায় দান করবে, তাকে জান্নাতের তত্ত্বাবধায়কগণ ডাকতে থাকবে, হে অমুক ব্যাক্তি! এদিকে আস! তখন আবূ বকর
(রাঃ) বললেন, এমন ব্যাক্তি সে তো এমন
ব্যাক্তি যার কোন ধ্বংস নেই। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আশা করি, তুমি
তাদের একজন হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯০।
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাঁকে বললেন, হে আয়িশা! এই যে জিবরীল
(আলাইহিস সালামম) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, তাঁর প্রতি সালাম, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আপনি
তো এমন কিছু দেখেন যা আমি দেখতে পাই না। একথা দ্বারা তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উদ্দেশ্য করেছেন।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯১।
আবূ নু‘আইম (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইবনু জাফর (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে জিজ্ঞাসা
করলেন, আপনি আমার নিকট যতবার আসেন
তার চেয়ে বেশী কেন আমার সাথে দেখা করেন না? রাবী
বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ আর
আমরা আপনার রবের নির্দেশ ব্যতীত আসতে পারি না। আমাদের সামনে এবং আমাদের পিছনে যা
কিছু আছে সবই তাঁর নিয়ন্ত্রনে। (সূরা মারয়ামঃ ৬৪)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯২।
ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে এক আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পাঠ
করে শুনিয়েছেন। কিন্তু আমি সর্বদা তাঁর নিকট অধিক ভাষায় পাঠ করে শোনাতে চাইতাম।
অবশেষে তা সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় সমাপ্ত হয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯৩।
মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দানশীল ছিলেন আর রমযান
মাসে যখন জিবরীল (আলাইহি সালাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি আরো বেশী
দানশীল হয়ে যেতেন। জিবরীল (আলাইহি সালাম) রমযানের প্রত্যেক রাতে তাঁর সঙ্গে
সাক্ষাত করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন পাঠ
করে শোনাতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যখন জিবরীল
(আলাইহি সালাম) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে
প্রেরিত বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হতেন। আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। মা‘মার (রহঃ)
এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন আর আবূ হুরায়রা (রাঃ) এবং ফাতিমা (রাঃ) নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেفَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ এর স্থলেأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯৪।
কুতাইবা (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, একবার
উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) আসরের সালাত (নামায/নামাজ) কিছুটা দেরী করে আদায় করলেন।
তখন তাঁকে উরওয়া (রাঃ) বললেন, একবার জিবরীল (আলাইহিস
সালাম) আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইমাম হয়ে সালাত
আদায় করলেন। তা শুনে উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) বললেন, হে উরওয়া! কি বলছ, চিন্তা কর। উত্তরে তিনি বললেন, আমি বশীর ইবনু আবূ মাসউদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, একবার জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আসলেন, এরপর তিনি আমার ইমামতি করলেন এবং তাঁর সঙ্গে
সালাত আদায় করলাম। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে
সালাত আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। এ সময় তিনি তাঁর
আঙ্গুলে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত গুনছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯৫।
মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একবার
জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন, আপনার
উম্মাত থেকে যদি এমন ব্যাক্তি মারা যায়, যে
আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে নাই, তবে
সে ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে কিংবা তিনি বলেছেন, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদিও
সে যিনা করে এবং চুরি করে। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, যদিও (সে যিনা করে ও চুরি করে তবুও)।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন
মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)
নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল
(আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
২৯৯৬।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফিরিশতাগণ
এক দলের পেছনের আর একদল আগমন করেন। একদল ফিরিশতা রাতে আসেন আর একদল ফিরিশতা দিনে
আগমন করেন। তাঁরা ফজর ও আসর সালাতে একত্রিত হয়ে থাকেন। তারপর যারা তোমাদের কাছে রাত্রিযাপন
করছিল তারা আল্লাহর কাছে উর্ধ্বে চলে যান। তখন তিনি তাদেরকে মানুষের অবস্থা
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। অথচ তিনি তাদের চেয়ে এ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী অবহিত আছেন।
তখন তিনি বলেন, তোমরা আমার বান্দাহকে কি
অবস্থায় ছেড়ে এসেছো? উত্তরে তারা বলেন, আমরা তাদের সালাতের অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। আর
আমরা তাদের কাছে সালাত (নামায/নামাজ)-এর অবস্থাতেই পৌঁছেছিলাম।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৭।
মুহাম্মদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরী করেছিলাম। যেন তা
একটি ছোট গদী। এরপর তিনি এসে দু’দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ
হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কি
অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি
বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস
দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরী করেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, [হে আয়িশা] তুমি কি জানো না? যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যাক্তি প্রাণীর ছবি আকে তাকে
কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৮।
ইবনুু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে
ঘরে (রহমতের) ফিরিশ্তা প্রবেশ করেন না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৯।
আহমদ (রহঃ) ... আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ
করেন না।’ বুসর (রহঃ) বলেন, এরপর যায়িদ ইবনু খালিদ
(রাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাঁর শুশ্রুষার জন্য গেলাম। তখন আমরা তাঁর ঘরে একটি
পর্দায় কিছু ছবি দেখতে পেলাম। তখন আমি (বুসর) ওবায়দুল্লাহ খাওলানী (রাঃ) কে
জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কি আমাদের নিকট ছবি
সম্পর্কীয় হাদীস বর্ণনা করেননি? তখন তিনি বললেন, তিনি (যায়িদ ইবনু খালিদ (রহঃ) বলেছেন, প্রাণীর ছবি নিষিদ্ধ) তবে কাপড়ের মধ্যে কিছু
অঙ্কন করা নিষিদ্ধ নয়, তুমি কি তা শুননি? আমি (বুসর) বললাম, না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি
তা বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০০।
ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) ... সালিম (রাঃ) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরীল
(আলাইহি সালাম) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (সাক্ষাতে) ওয়াদা
দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সময় মত আসেন নি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০১।
ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (সালাতে) ইমাম যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন
তোমরা বলবে اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ
(হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক। আপনার জন্য সকল প্রশংসা) কেননা যার এ উক্তি
ফিরিশ্তাগণের উক্তির অনুরূপ হবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ
করে দেয়া হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০২।
ইব্রাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতরত থাকবে
ততক্ষণ পর্যন্ত ফিরিশ্তাগণ এ বলে দুআ করতে থাকে, হে
আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন; হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম
করুন (এ দুআ চলতে থাকবে) যতক্ষণ পর্যন্ত লোকটি সালাত (নামায/নামাজ) ছেড়ে না
দাঁড়াবে অথবা তার উযূ (ওজু/অজু/অযু) ভঙ্গ না হবে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৩।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে
মিম্বারে উঠে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনেছি; (আর তারা ডাকল, হে
মালিক) (মালিক জাহান্নামের তত্ত্ববধায়ক ফিরিশ্তার নাম)। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর ক্বিরাআতنَادَوْا يَا مَالِكُ
স্থলেنَادَوْا يَا مَالِ
রয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৪।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, উহুদের
দিনের চাইতে কঠিন কোন দিন আপনার উপর এসেছিল? তিনি
বললেন, আমি তোমার কওম থেকে যে
বিপদের সম্মুখিন হয়েছি, তা তো হয়েছি। তাদের চেয়ে
সবচেয়ে বেশী কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, আকাবার
দিন আমি যখন নিজেকে ইবনু আবদে ইয়ালীল ইবনু আবদের কলালের নিকট পেশ করেছিলাম। আমি যা
চেয়েছিলাম, সে তাঁর জবাব দেয়নি। তখন আমি
এমন বিষন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে এলাম যে, কারনুস
সাআলিবে পৌঁছা পর্যন্ত আমার চিন্তা লাঘব হয়নি। তখন আমি মাথা উপরে উঠালাম। হঠাৎ
দেখতে পেলাম এক টুকরা মেঘ আমাকে ছায়া দিচ্ছে। আমি সে দিকে দৃষ্টি দিলাম। তার মধ্যে
ছিলেন জিবরীল (আলাইহিস সালাম)।
তিনি
আমাকে ডেকে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা বলেছে
এবং তারা প্রতি উত্তরে যা বলেছে তা সবই আল্লাহ শুনেছেন। তিনি আপনার কাছে পাহাড়ের
(দায়িত্বে নিয়োজিত) ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন। এদের সম্পর্কে আপনার যা ইচ্ছা আপনি তাঁকে
হুকুম দিতে পারেন। তখন পাহাড়ের ফিরিশতা আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর
বললেন, হে মুহাম্মদ! এসব ব্যাপার
আপনার ইচ্ছাধীন। আপনি যদি চান, তাহলে আমি তাদের উপর
আখশাবাইন* কে চাপিয়ে দিব। উত্তরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (না, তা
হতে পারে না) বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশ থেকে এমন সন্তান জন্ম দেবেন
যে, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে আর তাঁর সাথে
কাউকে শরীক করবে না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৫।
কুতাইবা (রহঃ) ... আবূ ইসহাক শায়বানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
যির ইবনু হুবাইস (রাঃ) কে মহান আল্লাহ এ বাণীঃ "ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের
পরিমাণ বা তার চেয়েও কম ব্যবধান রইল। তখন আল্লাহ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা
ওহী করলেন" (৫৩ঃ ৯-১০) এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ইবনু মাসউদ (রাঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন
যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল
(আলাইহিস সালাম) কে দেখেছেন তাঁর ছয়শ’টি ডানা ছিল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৬।
হাফস ইবনু ইবনু উমর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এ আয়াতঃ "নিশ্চয়ই তিনি তাঁর রবের
মহান নিদর্শনাবলী দেখেছেন" (৫৩ঃ ১৮)-এর মর্মাথে বলেন, তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
সবুজ বর্ণের রফরফ* দেখেছেন, যা আকাশের দিগন্তকে ঢেকে
রেখেছিল।
* রফরফ অর্থ সবুজ কাপড়ের
বিছানা।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৭।
মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে
ব্যাক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মদ তাঁর রবকে
দেখেছেন, সে ব্যাক্তি বিরাট ভুল
করবে। বরং তিনি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে তাঁর আসল আকৃতি এবং অবয়বে দেখেছেন। তিনি
আকাশের দিগন্ত জুড়ে অবস্থান করছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৮।
মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
আয়িশা (রাঃ) কে আল্লাহর বাণীঃ "এরপর তিনি তাঁর নিকটবর্তী হলেন, অতি নিকটবর্তী। ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের
ব্যবধান অথবা তার চেয়েও কম। (৫৩ঃ ৮, ৯)-এর
মর্মার্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি
জিবরীল (আলাইহিস সালাম) ছিলেন। তিনি স্বভাবত মানুষের আকৃতিতে তাঁর কাছে আসতেন।
কিন্তু এবার তিনি কাছে এসেছিলেন তাঁর মূল আকৃতি ধারণ করে। তখন তিনি আকাশের
সম্পূর্ণ দিগন্ত ঢেকেছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৯।
মূসা (রহঃ) ... সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজ রাতে আমি দেখেছি, দু’ব্যাক্তি আমার কাছে এসেছে। তারা বলল, যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করছিল সে হল, দোযখের দারোগা মালিক আর আমি হলাম জিবরীল এবং
ইনি হলেন মীকাঈল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১০।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যাক্তি যদি স্বীয়
স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকেন আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যাক্তি স্ত্রীর উপর
ক্ষোভ নিয়ে রাত যাপন করে, তবে ফিরিশতাগন এমন স্ত্রীর
উপর ভোর পর্যন্ত লানত দিতে থাকে। শুবা, আবূ
হামযা, ইবনু দাউদ ও আবূ মুআযিয়া
(রহঃ) আ‘মশ (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আবূ আওয়ানা (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১১।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। (হেরা গুহায় ওহী নাযিলের পর)
আমার থেকে কিছু দিনের জন্য ওহী বন্ধ হয়ে গেল। (একদিন) আমি পথ চলতেছিলাম। এরই মধ্যে
আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমি আকাশের প্রতি দৃষ্টি উঠালাম। হঠাৎ
দেখতে পেলাম, হেরা পর্বতের গুহায় আমার
কাছে যে ফিরিশতা এসেছিলেন, তিনি আকাশ ও যমীনের
মাঝখানে একটি কুরসীর উপর বসে আছেন। আমি তাতে ভয় পেয়ে গেলাম, এমনকি মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। তারপর
আমি পরিবার-পরিজনের কাছে আসলাম এবং বললাম, আমাকে
কম্বল দ্বারা আবৃত কর, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত
কর। তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃيَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ হে বস্ত্রাচ্ছাদিত। উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর .... অপবিত্রতা থেকে
দুরে থাক। (৭৪ঃ ১-৫) আবূ সালামা (রাঃ) বলেন, অত্র
আয়াতেالرِّجْزُ
দ্বারা প্রতিমা বুঝানো হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ
"আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের
আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১২।
মুহাম্মদ ইবনু বাশশার ও খালীফা (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
চাচাতো ভাই ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মিরাজের
রাত্রিতে আমি মূসা (আলাইহিস সালাম) কে দেখেছি। তিনি গোধুম বর্ণের পুরুষ ছিলেন; দেহের গঠন ছিল লম্বা। মাথার চুল ছিল কুঞ্চিত।
যেন তিনি একজন শানুআ গোত্রের লোক। আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম) কে দেখতে পাই। তিনি
ছিলেন মধ্যম গঠনের লোক। তাঁর দেহবর্ণ ছিল সাদা লালে মিশ্রিত। তিনি ছিলেন মধ্যম
অবয়ব বিশিষ্ট। মাথার চুল ছিল অকুঞ্চিত। জাহান্নামের খাজাঞ্চি মালিক এবং দজ্জালকেও
আমি দেখেছি। (সে রাতে) আল্লাহ তা‘আলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে
বিশেষ করে যে সকল নিদর্শনাবলী দেখিছেন তন্মধ্যে এগুলোও ছিল। সুতরাং তাঁর সাথে
সাক্ষাতের ব্যাপারে তুমি সন্দেহ পোষণ করবে না। আনাস ইবনু আবূ বাকরা (রাঃ) নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, ফিরিশতাগণ
মদিনাকে দাজ্জাল থেকে পাহারা দিয়ে রাখবেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৩।
আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন
তোমাদের কেউ মারা যায় তখন সকাল সন্ধ্যায় তার পরকালের আবাসস্থল তার কাছে পেশকরা হয়।
সে যদি জান্নাতবাসী হয় তবে তাকে জান্নাতবাসীর আবাসস্থল আর যদি সে জাহান্নামবাসী হয়
তবে তাকে জাহান্নামবাসীর আবাসস্থল দেখানো হয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক
প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার
খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো
তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে
অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ
নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ
পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً
দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৪।
আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জান্নাতের অধিবাসী হিসাবে অবহিত হয়েছি।
আমি জানতে পারলাম, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী
হবে গরীব লোক। জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, আমি
জানতে পারলাম, এর অধিকাংশ অধিবাসী
মহিলা।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৫।
সাঈদ ইবনু আবূ মারয়ম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট
বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম। দেখলাম
আমি জান্নাতে অবস্থিত। হঠাৎ দেখলাম এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে উযূ
(ওজু/অজু/অযু) করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ
প্রাসাদটি কার? তারা উত্তরে বললেন, উমরের। তখন তাঁর (উমরের) আত্মমর্যাদাবোধের
কথা আমার স্মরণ হল। আমি পেছনের দিকে ফিরে চলে আসলাম।’ এ কথা শুনে উমর (রাঃ) কেঁদে
ফেললেন এবং বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার
সম্মুখে কি আমার মর্যাদাবোধ থাকতে পারে?
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৬।
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘(জান্নাতে মুমিনদের জন্য) গুনগত মোতির তাবু
থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মুমিনদের জন্য এমন স্ত্রী
থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি।’ আবূ আবদুস সামাদ ও হারিস ইবনু উবায়দ আবূ ইমরান
(রহঃ) থেকে (ত্রিশ মাইলের স্থলে) ষাট মাইল বলে বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৭।
হুমাইদী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার পূণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস
তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের
মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার,فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ কেউ জাননা তাদের জন্য তাদের চোখ জুড়ানো কি জিনিস লুক্কায়িত রাখা
হয়েছে। (সূরা ৩২ঃ ১৭)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৮।
মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতে প্রথম প্রবেশকারী দলের আকৃতি পূর্ণিমা রাতের
চাঁদের ন্যায় উজ্জল হবে। তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, নাক
ঝাড়বে না, পায়খানা করবে না। সেখানে
তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের; তাদের চিরুনী হবে স্বর্ণ ও
রৌপ্যের, তাদের ধুনুচিতে থাকবে
সুগন্ধ কাঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত হবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য
এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা
দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না; পরস্পর
হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর এক অন্তরের মত থাকবে। তারা
সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠে রত থাকবে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৯।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে
প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জল আকৃতি ধারণ করে প্রবেশ করবে
আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জল তারকার মত রূপ ধারণ করবে। তাদের
অন্তরগুলো এক ব্যাক্তির অন্তরের মত হয়ে থাকবে। তাদের মধ্যে কোনরূপ মতভেদ থাকবে না আর
পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দু’জন করে স্ত্রী থাকবে।
সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলাস্থি মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায়
আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে। তারা অসুস্থ হবে না, নাক
ঝাড়বে না, থুথু ফেলবে না তাদের
পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আর চিরুনীসমূহ হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে
সুগন্ধ কাঠ।’ আবূল ইয়ামান (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ
কাঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত হবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন,الإِبْكَارُ অর্থ উষাকালের প্রথম অংশالعَشِيُّ
অর্থ সূর্য ঢলে পড়ার সময় হতে তার অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সময়কাল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ
স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট
থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২০।
মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর মুকাদ্দামী (রহঃ) ... সাহল ইবনু সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক অথবা (বলেছেন)
সাত লক্ষ লোক একই সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের কেউ আগে কেউ পেছনে এভাবে নয় আর
তাদের মুখমন্ডল পূর্ণিমার রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জল থাকবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২১।
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ জুফী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একটি রেশমী জুব্বা হাদীয়া দেয়া হল। অথচ তিনি
রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন; লোকেরা
(এর সৌন্দর্যের কারণে) তা খুব পছন্দ করল। তখন তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, অবশ্যই জান্নাতে সাদ ইবনু মুআযের রুমাল এর
চেয়েও অধিক সুন্দর হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২২।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একখানি রেশমী কাপড় আনা হল। লোকজন এর
সৌন্দর্য় ও কমনীয়তার কারণে তা খুব পছন্দ করতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘অবশ্যই জান্নাতে সাদ ইবনু
মুআযের রুমাল এর চেয়েও অধিক উত্তম হবে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৩।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাহল ইবনু সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতে চাবুক পরিমাণ সামান্যতম স্থানও দুনিয়া ও এর মধ্যে
যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে
পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৪।
রাওহ ইবনু আবদুল মু‘মিন (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ
আছে, যার ছায়ায় কোন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত চললেও
তা অতিক্রম করতে পারবে না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৫।
মুহাম্মদ ইবনু সিনান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় কোন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত চলতে
পারবে। আর তোমরা ইচ্ছা করলে (কুরআনের এ আয়াত) তিলাওয়াত করতে পারوَظِلٍّ مَمْدُودٍ
এবং দীর্ঘ ছায়া। আর জান্নাতে তোমাদের কারো একটি ধনুকের পরিমাণ জায়গাও ঐ জায়গার
চেয়ে অনেক উত্তম যেখানে সুর্যোদয় হয় এবং সূর্যাস্ত যায় (অর্থাৎ পৃথিবীর চেয়ে)।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৬।
ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের
চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জল হবে আর তাদের অনুগামীদের দলের চেহারা
সুন্দর ও উজ্জলতায় আকাশের উজ্জল তারকার চেয়েও অধিক হবে। তাদের অন্তরসমুহ এক
ব্যাক্তির অন্তরের মত হবে। তাদের পরস্পর না থাকবে কোন বিদ্বেষ আর না থাকবে কোন
হিংসা আর প্রত্যেকের জন্য ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু’জন করে এমন স্ত্রী থাকবে, যাদের পায়ের নলার মজ্জা হাড় ও গোশত ভেদ করে
দেখা যাবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৭।
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এর
ছেলে) ইবরাহীম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, তখন
তিনি বলেন, জান্নাতে এর জন্য একজন
ধাত্রী রয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা
আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا
যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে।
তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই
আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে
বিভিন্ন। قُطُوفُهَا
তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ
মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ
পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ
-পানীয়। التَّسْنِيمُ
জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ
দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ
এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ
হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ
জীবিকা। الْمَنْضُودُ
কলা। الْمَخْضُودُ
কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ
প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ
এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০২৮।
আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীগণ তাদের উপরের বালাখানার
অধিবাসীদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব
অথবা পশ্চিম দিগন্তে উজ্জল দীপ্তমান তারকা দেখতে পাও। এটা হবে তাদের মধ্যে মর্যাদার
ব্যবধানের কারণে। সাহাবীগণ বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো
নাবীগণের জায়গা। তাদের ছাড়া তথায় অন্যরা সেখানে পৌঁছাতে পারবে না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে
সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যেসব লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, এবং রাসূলগণকে সত্য বলে স্বীকার করবে (তারা
সেখানে পৌঁছতে পারবে)।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯১. জান্নাতের দরজাসমূহের বিবরণ।
নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন জিনিস জোড়া
জোড়া দান করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে আহবান জানানো হবে। এ কথাটি উবাদা (রাঃ)
নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
৩০২৯।
সাঈদ ইবনু আবূ মারয়ম (রহঃ) ... সাহল ইবনু সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতে আটটি দরজা থাকবে। তন্মধ্যে একটি
দরজার নাম হবে রাইয়্যান। একমাত্র রোযাদারগণই এ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩০।
আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এক সফরে ছিলেন, তখন (যুহরের সালাতের
ওয়াক্ত হল) তিনি বললেন, ‘ঠান্ডা হতে দাও।’ পুনরায়
বললেন, ‘টিলাগুলোর ছায়া নীচে নেমে
আসা পর্যন্ত ঠান্ডা হতে দাও।’ আবার বললেন, ‘(যুহরের) সালাত (নামায/নামাজ) ঠান্ডা হলে পরে আদায় করবে।
কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের
উত্তপ থেকে হয়ে থাকে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা বলেছেন, حَاصِبًا অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ
অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩১।
মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, (যুহরের) সালাত (নামায/নামাজ) (রৌদ্রের উত্তাপ) ঠান্ডা হলে
পরে আদায় করবে। কেননা গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে বের হয়ে থাকে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের
দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল
কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩২।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তাঁর রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে।
তখন তিনি তাঁকে দু’টি নিঃশ্বাস ছাড়ার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে
আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। অতএব তোমরা যে শীতের তীব্রতা পেয়ে থাক (তা
নিঃশ্বাসের প্রভাব)।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৩।
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ জামরা যুবায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
মক্কায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে বসতাম। একবার আমি জ্বরে আক্রন্ত হই। তখন তিনি
আমাকে বললেন, ‘তুমি তোমার গায়ের জ্বর
যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।’ কেননা, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা
দোযখের উত্তাপ থেকেই হয়ে থাকে। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠান্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি ঠান্ডা কর। (এর কোনটা রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন) এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ
করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৪।
আমর ইবনু আব্বাস (রহঃ) ... রাফি ইবনু খাদিজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের প্রচন্ড উত্তাপ
থেকে। অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠান্ডা কর।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ
বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৫।
মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে।
সুতরাং তোমরা তা পানি দ্বারা ঠান্ডা কর।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৬।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। অতএব তোমরা তা
পানি দ্বারা ঠান্ডা কর।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর
এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ
নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি
এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে।
مَرِيجٍ
মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ
যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ
এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ
জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৭।
ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের
(ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য
দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল। তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন
বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার
সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৮।
কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইয়ালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে
মিম্বারে আরোহণ করে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন, "আর তারা ডাকবে, হে
মালিক।" (মালিক জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কের নাম)।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা
সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا
প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও
ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা
غَسْلِ
শব্দ থেকে فِعْلِينَ
এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা
বলেছেন, حَاصِبًا
অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে
ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ
পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ
মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا
তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا
পিপাসার্ত। غَيًّا
ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া
হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا
এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ
গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয়
আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ
অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৯।
আলী (রহঃ) ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, উসামা (রাঃ) কে বলা হল, কত ভাল হত! যদি আপনি ঐ ব্যাক্তির [উসমান)
(রাঃ)] এর কাছে যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের বিষয়ে) আলোচনা করতেন। উত্তরে
তিনি বললেন, আপনারা মনে করেছেন যে, আমি তার সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের ব্যাপারে)
আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে
আলোচনা করছি, যেন আমি (বিদ্রোহের) একটি
দ্বার খুলে না বসি। (এ বিদ্রোহের) আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যাক্তি হতে চাই
না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যাক্তিকে যিনি আমাদের আমীর
নির্বাচিত হয়েছেন সে জন্য তিনি আমাদের সর্বোত্তম ব্যাক্তি এ কথা বলতে পারি না।
লোকেরা
তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কি বলতে
শুনেছেন? উসামা (রাঃ) বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যাক্তিকে আনয়ন করা হবে।
এরপর তাকে জাহান্নামে ফেলা দেয়া হবে। তখন আগুনে পুঁড়ে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যাবে।
এ সময় সে এমন ভাবে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে।
তখন জাহান্নামবাসীরা তার সামনে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যাক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদিগকে সৎকাজের আদেশ করতে আর
অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎকাজোদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে
অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। এ
হাদীসটি গুনদার (রহঃ) শুবা (রহঃ) সূত্রে আমাশ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪০।
ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যাদু করা হয়েছিল। লায়স (রহঃ) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রাঃ) থেকে
হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখস্ত করেছেন। আয়িশা (রাঃ) বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যাদু
করা হয়। এমনকি যাদুর প্রভাবে তার খেয়াল হতো যে, তিনি
স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি
একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু’আ করলেন, এরপর
তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জানো? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার
কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ
ব্যাক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে।
প্রথম
লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ
ইবনু আ‘সাম। প্রথম ব্যাক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যাক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার
তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যাক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর
তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বললেন, কূপের কাছে খেজুর গাছগুলো
যেন এক একটা শয়তানের মুন্ড। তখন আমি [আয়িশা (রা)] জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে
পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার
আশংকা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই
কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪১।
ইসমাঈল ইবনু আবী উআইস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন নিদ্রা
যায় তখন শয়তার তার মাথার শেষাংশে তিনটি করে গিরা দিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিরার সময় এ
কথা বলে কুমন্ত্রণা দেয় যে, এখনো রাত অধিক রয়ে গেছে, অতএব শুয়ে থাক। এরপর সে লোক যদি জেগে উঠে এবং
আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। (অলসতা দুর হয়) তারপর সে যদি উযূ
(ওজু/অজু/অযু) করে তবে দ্বিতীয় গিরাটিও খুলে যায় (এটা অপবিত্রতার গিরা) আর যদি সে
সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তবে সব কয়টি গিরাই খুলে যায়। আর এ ব্যাক্তি খুশির
সাথে পবিত্র মনে ভোর উদযাপন করবে, অন্যথায় সে অপবিত্র মনে
অলসতার সাথে ভোর উদযাপন করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪২।
উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন এক ব্যাক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হল, যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল।
তখন তিনি বললেন, সে এমন ব্যাক্তি যার উভয়
কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৩।
মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দেখ, তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট আসে, আর তখন বলে, বিসমিল্লাহ।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের প্রভাব হতে দুরে রাখ। আর আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে
তাকেও শয়তানের প্রভাব হতে বাঁচিয়ে রাখ। এরপর তাদেরকে যে সন্তান দান করা হবে তাকে
শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৪।
মুহাম্মদ (ইবনু সালাম) (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন
সূর্যের এক কিনারা উদিত হবে, তখন তা পরিস্কারভাবে উদিত
না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা বন্ধ রাখ। আবার যখন সূর্যের
এক কিনারা অস্ত যাবে তখন তা সম্পূর্ণ অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা সালাত আদায় করা
বন্ধ রাখ। আর তোমরা সূর্যদয়ের সময়কে এবং সূর্যাস্তের সময়কে তোমাদের সালাতের জন্য
নির্ধারিত করো না। কেননা, তা শয়তানের দু’শিং এর
মাঝখান দিয়ে উদিত হয়। বর্ণণাকারী বলেন, হিশাম
(রহঃ) কি ‘শয়তান’ বলছেন না ‘আশ-শয়তান’ বলেছেন তা আমি জানিনা।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৫।
আবূ মা‘মার (রহঃ) ... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সালাত (নামায/নামাজ)
আদায়ের সময় তোমাদের কারো সম্মুখ দিয়ে যখন কেউ চলাচল করবে তখন সে তাকে অবশ্যই বাঁধা
দিবে। সে যদি অমান্য করে তবে আবারো তাকে বাঁধা দিবে। এরপরও যদি সে অমান্য করে তবে
অবশ্যই তার সাথে লড়াই করবে। কেননা সে শয়তান।
উসমান
ইবনু হাইসাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রমযানের যাকাত (সাদকায়ে ফিতরের) হেফাজতের
দায়িত্ব প্রদান করলেন। এরপর আমার নিকট এক আগন্তক আসলেন। সে তার দু’হাতের কোষ ভরে
খাদ্যশস্য গ্রহণ করতে লাগল। তখন আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে যাব। তখন সে একটি হাদীস উল্লেখ করল এবং বলল, যখন তুমি বিছানায় শুতে যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পড়বে। তাহলে সর্বদা আল্লাহর
পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন হেফাজতকারী থাকবে এবং ভোর হওয়া পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান
আসতে পারবে না। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমাকে সত্য বলেছে, অথচ সে মিথ্যাবাদী এবং শয়তান ছিল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৬।
ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের
কারো কাছে শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ
বস্তু কে সৃষ্টি করেছেন? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন বিষয়টি এ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তখন সে যেন
অবশ্যই আল্লাহর কাছে পানাহ চায় এবং বিরত হয়ে যায়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৭।
ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যখন রমযান মাস আরম্ভ হয়, জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং
জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৮।
হুমাইদী (রহঃ) ... উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর
সঙ্গীকে বললেন, আমাদের সকালের খাবার নিয়ে
আসো। তিনি বললেন, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন পাথরটির কাছে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তানই এর কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিলেন
(১৮ঃ ৬২, ৬৩)। আল্লাহ তা‘আলা মূসা
(আলাইহিস সালাম) কে যে স্থানটি সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে স্থানটি অতিক্রম করা পর্যন্ত তিনি কোন রূপ
ক্লান্তি বোধ করেন নি।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪৯।
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করে বলেছেন, সাবধান! ফিতনা এখানেই। সাবধান ফিতনা এখানেই।
যেখান হতে শয়তানের শিং উদিত হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫০।
ইয়াহইয়া ইবনু জাফর (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা বলেছেন, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা
তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন
রাতের কিছু অংশ চলে যাবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ
করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমাদের ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং আল্লাহর নাম
স্মরণ কর। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ বন্ধ রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার
বাসন পত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। সামান্য কিছু হলেও তার উপর দিয়ে
রেখে দাও।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫১।
মুহাম্মদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে নববীতে) ইতিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে
তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসলাম। এরপর তাঁর সাথে কিছু কথা বার্তা বললাম। তারপর আমি
ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। আর তাঁর (সাফিয়্যার) বাসস্থান ছিল উসামা ইবনু যায়দের
বাড়ীতে। এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখল তখন তারা তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগল। তখন
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা
একটু অপেক্ষা কর। এ মহিলাটি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবাহানাল্লা! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমরা কি
আপনার ব্যাপারে অন্যরূপ ধারণা করতে পারি?) তিনি বললেন, মানুষের
শরীরের রক্তধারায় শয়তান প্রবাহমান থাকে। আমি আশংকা করছিলাম, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন, অন্য কিছু সৃষ্টি করে না কি।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫২।
আবদান (রহঃ) ... সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন দু’জন লোক পরস্পর
গাল মন্দ করছিল। তাদের এক জনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে
গিয়েছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি দু‘আ জানি, যদি লোকটি পড়ে তবে সে যে রাগ অনুভব করছে তা
দুর হয়ে যাবে। (তিনি বললেন) সে যদি পড়ে "আউযূবিল্লাহি মিনাশ শায়তান" আমি
শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি যেন আল্লাহর কাছে শয়তান হতে আশ্রয় চাও।
সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি?
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৩।
আদম (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন তার
স্ত্রীর নিকট গমন করে এবং বলে ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে শয়তান হতে রক্ষা কর আর আমাকে এ
দ্বারা যে সন্মান দিবে তাকেও শয়তানের প্রভাব হতে হেফাজত কর। তাহলে যদি তাদের কোন সন্তান
জন্মায়, তবে শয়তান তার কোন ক্ষতি
করতে পারবে না এবং তার উপর কোন কর্তৃত্বও চলবে না। আসমা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস
(রাঃ) থেকে অনুরূপ রেওয়ায়েত করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৪।
মাহমুদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর বললেন, শয়তান আমার সামনে এসেছিল। সে আমার সালাত (নামায/নামাজ) নষ্ট
করবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা
দিয়েছিলেন। তারপর পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি উল্লেখ করেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৫।
মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন
সালাত (নামায/নামাজ)-এর উদ্দেশ্যে আযান দেওয়া তখন শয়তান (আযানের স্থান) স্বশব্দে
বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে। আযান শেষ হলে সামনে এগিয়ে আসে। আবার যখন (সালাত
(নামায/নামাজ)-এর জন্য) ইকামত দেওয়া হয় তখন আবার পালাতে থাকে। ইকামত শেষ হলে আবার
সামনে আসে এবং মানুষের মনে খটকা সৃষ্টি করতে থাকে আর বলতে থাকে অমুক অমুক বিষয় মনে
কর। এমনকি সে ব্যাক্তি আর স্মরণ রাখতে পারে না যে, সে
কি তিন রাকাআত পড়ল না চার রাকাআত পড়ল। এমন যদি কারো হয়ে যায়, সে মনে রাখতে পারে না তিন রাকাআত পড়ছে না চার
রাকাআত, তবে সে যেন দু’টি সাহু
সিজ্দা করে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৬।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক
আদম সন্তানের জন্মের সময় তার পার্শ্বদেশে শয়তান তার উভয় আঙ্গুল দ্বারা টোকা মারে।
ঈসা ইবনু মরয়াম (আলাইহিস সালাম) এর ব্যতীক্রম। সে তাঁকে টোকা মারতে গিয়েছিল।
(কিন্তু ব্যর্থ হয়) তখন সে পর্দার উপর টোকা মারে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৭।
মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
সিরিয়ায় গমন করলাম, লোকেরা বলল ইনি আবূ দারদা
(রাঃ)। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মাঝে কি সে লোক
আছে যাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৌখিক দু’আয় আল্লাহ শয়তান থেকে
রক্ষা করেছেন?
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৮।
সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... মুগীরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সেই
ব্যাক্তি যাকে আল্লাহ তার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৌখিক দু’আয়
শয়তান থেকে রক্ষা করেছেন তিনি হলেন, আম্মার
(রাঃ)।
লায়স
(রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ফিরিশতাগণ মেঘের মধ্যে এমন সব বিষয় আলোচনা করেন, যা পৃথিবীতে ঘটবে। তখন শয়তানেরা দু’ একটি কথা
শূনে ফেলে এবং তা গণকদের কানে এমনভাবে ঢেলে দেয় যেমন বোতলে পানি ঢালা হয়। তখন তারা
এ সত্য কথার সাথে শত প্রকারের মিথ্যা কথা বাড়িয়ে বলে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫৯।
আসিম ইবনু আলী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। সুতরাং
তোমাদের কারো যখন হাই আসবে তখন যথাসম্ভব দমন করবে। কেননা তোমাদের কেউ হাই তোলার
সময় যখন ‘হা’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬০।
যাকারিয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের
দিন যখন মুশরিকরা পরাজিত হল, তখন ইবলীস চিৎকার করে বলল, হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা তোমাদের পেছনের
লোকদের প্রতি সতর্ক হও। অতএব সামনের লোকেরা পেছনের লোকদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। ফলে উভয়
দলের মধ্যে নতুনভাবে সংঘর্ষ শুরু হল। হুযায়ফা (রাঃ) হঠাৎ তাঁর পিতা ইয়ামানকে দেখতে
পেলেন। (মুসলমানগণ তাঁর উপর আক্রমন করছে) তখন তিনি (হুযায়ফা) বললেন, হে আল্লাহর বান্দারা! আমার পিতা! আমার পিতা!
(তিনি মুসলিম) কিন্তু আল্লাহর কসম, তারা
বিরত হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁকে হত্যা করে ফেলল। তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। উরওয়া (রাঃ) বলেন, আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত হুযায়ফা
(রাঃ) (তাঁর পিতার হত্যাকারীদের জন্য) দু‘আ ও ইস্তিগফার করতে থাকেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬১।
হাসান ইবনু রাবী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাতের মধ্যে মানুষের এদিক-ওদিক তাকানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা
করলাম। তিনি বললেন, তা হল শয়তানের এক ধরণের
ছিনতাই, যা সে তোমাদের এক জনের সালাত
(নামায/নামাজ) থেকে ছিনিয়ে নেয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬২।
আবূল মুগীরা ও সুলাইমান ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ
ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে
থাকে। অতএব তোমাদের কেউ যখন ভীতিকর মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু
নিক্ষেপ করে আর শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্যয় প্রার্থনা করে। তা হলে
এরূপ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে
ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬৩।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি একশ বার এ দু’আটি পড়বেঃ আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; বাদশাহী একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান। তাহলে
দশটি গোলাম আযাদ করার পরিমাণ সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং
আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে মাহফুজ
থাকবে। কোন লোক তার চাইতে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে সক্ষম হবে না। তবে হ্যাঁ ঐ
ব্যাক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির আমল
অধিক পরিমাণ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬৪।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একদা
উমর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসার অনুমতি চাইলেন। তখন
তাঁর সঙ্গে কয়েকজন কুরায়শ মহিলা কথা বার্তা বলছিল। তারা খুব উচ্চস্বরে কথা বলছিল।
এরপর যখন উমর (রাঃ) অনুমতি চাইলেন, তারা
উঠে দ্রুত পর্দার আড়ালে চলে গেলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি প্রদান করলেন। তখন তিনি মুচকি হাসছিলেন। তখন উমর (রাঃ)
বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ
আপনাকে সর্বদা স্মীতহাস্যে রাখুন।’ তিনি বললেন, আমার
কাছে যে সব মহিলা ছিল তাদের ব্যাপারে আমি আশ্চার্যান্বিত হয়েছি। তারা যখনই তোমার
কণ্ঠস্বর শুনতে পেল তখনই দ্রুত পর্দার আড়ালে চলে গেল।
উমর
(রাঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকেই
তাদের অধিক ভয় করা উচিত ছিল।’ এরপর তিনি মহিলাদের লক্ষ্য করে বললেন, হে আত্মশত্রু মহিলাগণ! তোমরা আমাকে ভয় করছ
অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভয় করছ না? তারা জবাব দিল, হ্যাঁ, কারণ তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক কর্কশ ভাষী ও কঠোর হৃদয় ব্যাক্তি। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কসম ঐ সত্তার যাঁর হাতে
আমার প্রাণ, তুমি যে পথে গমন কর শয়তান
কখনো সেই পথে চলে না বরং সে তোমার পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ
তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا
বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ
যেমন صَاحِبٍ
এর বহুবচন صَحْبٍ
আর تَاجِرٍ
এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ
অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৬৫।
ইবরাহীম ইবনু হামযা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন নিদ্রা থেকে উঠল এবং উযূ
(ওজু/অজু/অযু) করল তখন তার নাক তিনবার ঝেড়ে ফেলা উচিত, কেননা, শয়তান
তার নাকের ছিদ্রে রাত যাপন করেছে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৪. জিন্ন জাতি এবং তাদের সাওয়াব
ও আযাবের বর্ণনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে জিন্ন ও মানব জাতি! তমাদেরই মধ্য থেকে
রাসুলগণ কি তোমাদের কাছে আসেন নি? তারা কি তোমাদের সামনে
আমার নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন নি? (সুরা আন’আমঃ ১৩০) بَخْسًا
ক্ষতি। وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا
(৩৭ঃ ১৫৮ আয়াতের তাফসীরে) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, কুরাইশ
কাফিররা ফিরিশতাগণকে আল্লাহর কন্যা এবং তাদের মাতাদেরকে জিন্নের নেতাদের কন্যা বলে
আখ্যায়িত করত। মহান আল্লাহ বলেনঃ জিন্নগন অবশ্যই জানে যে, তাদের হিসাবের সময় উপস্থিত করা হবে।
৩০৬৬।
কুতাইবা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) কে
বলেছেন, ‘আমি তোমাকে দেখেছি তুমি
ছাগপাল ও মরুভূমি পছন্দ করছ। অতএব তুমি যখন তোমার ছাগপাল নিয়ে মরুভূমিতে অবস্থান
করবে, সালাত (নামায/নামাজ)-এর
সময় হলে আযান দিবে, তখন তুমি উচ্চস্বরে আযান
দিবে। কেননা, মুআযযীনের কণ্ঠস্বর জ্বিন, মানুষ ও যে কোন বস্তু শুনে, তারা কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।’
আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর
আল্লাহ তথায় (যমীনে) প্রত্যেক প্রকারের প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ইবন আব্বাস (রাঃ)
বলেন, الثُّعْبَانُ
হলো পুরুষ সাপ। বলা হয় সাপ বিভিন্ন প্রকারের হয়, শ্বেত
সাপ, মাদী সাপ আর কাল সাপ, آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا অর্থ আল্লাহ তার রাজত্ব ও কর্তৃত্বে সকল
জীবকে রেখেছেন, صَافَّاتٍ
তাদের ডানাগুলো সম্প্রসারিত অবস্থায়। يَقْبِضْنَ তারা তাদের ডানাগুলো সংকুচিত করে।
بَاب قَوْلِهِ جَلَّ وَعَزَّ وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنْ الْجِنِّ إِلَى قَوْلِهِ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ مَصْرِفًا مَعْدِلًا صَرَفْنَا أَيْ وَجَّهْنَا
১৯৯৫.
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরণ করুন ঐ সময়কে যখন আমি জিন্নদের একদলকে আপনার
প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম ... তারা সুস্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে পর্যন্ত ... (সুরা
আহকাফঃ ২৯-৩২) مَصْرِفًا অর্থ ফিরিবার স্থান। صَرَفْنَا ফিরিয়ে দিলাম।
৩০৬৭।
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বারের উপর ভাষণ দান কালে বলতে শুনেছন, ‘সাপ মেরে ফেল। বিশেষ করে মেরে ফেল ঐ সাপ, যার মাথার উপর দু’টো রেখা আছে এবং লেজ কাটা
সাপ। কেননা, এ দু’প্রকারে সাপ চোখের
জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়।’ আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, একদিন আমি একটি সাপ মারার জন্য তার পেছনে
ধাওয়া করছিলাম। এমন সময় আবূ লুবাবা (রাঃ) আমাকে ডেকে বললেন, সাপটি মেরো না। তখন আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সাপ মারার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, এরপরে
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাপ ঘরে বাস করে যাকে ‘আওয়ামির’ বলা হয়
এমন সাপ মারতে নিষেধ করেছেন।
আবদুর
রাযযাক (রহঃ) মা‘মার (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমাকে দেখেছেন আবূ লুবাবা অথবা যায়দ ইবনু
খাত্তাব (রাঃ) আর অনুসরণ করেছেন মা‘মার (রহঃ) কে ইউনুস ইবনু উয়াইনা, ইসহাক কলবী ও যুবাইদী (রহঃ) এবং সালিহ, ইবনু আবূ হাফসা ও ইবনু মুজাম্মি‘ (রহঃ) ...
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, ‘আমাকে দেখেছেন আবূ লুবাবা ও যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ)।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৬৮।
ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে সময় অতি নিকট যখন একজন
মুসলিমের সর্বোত্তম সম্পদ হবে ছাগ-পাল। যা নিয়ে সে পাহাড়ের চুড়ায় এবং বৃষ্টির
এলাকায় (তৃণভূমিতে) চলে যাবে; সে ফিতনা থেকে স্বীয় দ্বীন
রক্ষার্থে পলায়ন করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৬৯।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুফুরীর মূল পূবদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের
মধ্যে এবং গ্রাম্য কৃষকদের মাঝে, আর শান্তি ছাগপালের
মালিকদের মাঝে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭০।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমর আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাতের দ্বারা ইয়ামানের দিকে ইশারা করে বললেন, ঈমান এদিকে। দেখ কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য
ঐ সব কৃষকদের মধ্যে যারা উটের লেজের কাছ থেকে চিৎকার করেঃ যেখান থেকে শয়তানের শিং
দু’টি উদয় হবে অর্থাৎ রাবীয়া ও মুযার গোত্রদ্বয়ের মধ্যে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭১।
কুতাইবা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর
অনুগ্রহ চেয়ে দু’আ কর। কেননা, এ মোরগ ফিরিশতাদের দেখে আর
যখন গাধার আওয়াজ শুনবে তখন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে, কেননা, এ
গাধাটি শয়তান দেখেছে।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭২।
ইসহাক (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন রাতের আধার নেমে আসবে বা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা তোমাদের
শিশুদেরকে (ঘরে) আটকিয়ে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু
অংশ অতিবাহিত হয়ে যাবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং
আল্লাহর নাম স্মরণ কর। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।
ইবনু
জুরাইজ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি আমর ইবনু দ্বীনার
(রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে আতা (রহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণণা করেছেন। তবে তিনিاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ
বলেন নি।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৩।
মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বনী ইসরাঈলদের একদল লোক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।
কেউ জাননা তাদের কি হল আর আমি তাদেরকে ইঁদুর বলেই মনে করি। কেননা তাদের সামনে যখন
উটের দুধ রাখা হয়, তারা তা পান করে না, আর তাদের সামনে ছাগলের দুধ রাখা হয় তারা তা
পান করে (আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন) আমি এ হাদীসটি কা‘বের নিকট বললাম, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন? আপনি কি এটা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি কয়েকবার আমাকে একথাটি
জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাওরাত কিতাব পড়েছি?
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৪।
সাঈদ ইবনু উফায়র (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিরগিট
বা রক্তচোষা টিকটিকিকে নিকৃষ্টতম ফাসিক বলে অভিহিত করেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একে হত্যা করার আদেশ দিতে শুনিনি। আর সাদ ইবনু
আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম একে হত্যা করা আদেশ দিয়েছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৫।
সাদকা ইবনু ফাযল (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু মূসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মে শারীক (রাঃ) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে
গিরগিট বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৬।
উবায়দা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠে
দু’টি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেল। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে নষ্ট
করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৭।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম লেজ কাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ
জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৮।
আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে
মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাতে তিন সাপের খোলস দেখতে পান।
তখন তিনি বললেন, দেখ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল (এবং তাঁকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেরতাম।
এরপর আবূ লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দু’টি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা
সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরা না। কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের
জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ
ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের
চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৯।
মালিক ইবনু উসমঈল (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সাপ মেরে ফেলতেন। এরপর আবূ লুবাবা তাঁকে
একটি হাদীস শোনালেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে
দেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮০।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ
প্রকার প্রাণী বেশী অনিষ্টকারী। এদেরকে হারাম শরীফেও হত্যা করা যায়। এগুলো হল
বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক
এবং পাগলা কুকুর।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮১।
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ
প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী যাদেরকে কেউ ইহরাম অবস্থায়ও যদি মেরে ফেলে, তা হলে তার কোন গুনাহ নেই। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, পাগলা
কুকুর, কাক এবং চিল।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮২।
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান-পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঝের বেলায়
তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকিয়ে রেখো। কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন
কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দিবে। কেননা অনেক সময় ছোট
ছোট অনিষ্টকারী ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’ ইবনু জুরাইজ এবং হাবীব (রহঃ) আতা (রহঃ) থেকে "কেননা এ
সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে" এর পরিবর্তে "শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে" বর্ণনা
করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮৩।
আবদা ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক গুহায় ছিলাম। তখনوَالْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا
সূরাটি অবতীর্ণ হয়। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকে
সূরাটি লিখে নিচ্ছিলাম। এমনি সময় একটি সাপ বেরিয়ে আসল তার গর্ত থেকে। আমরা তাকে
মারার জন্য দৌড়ে যাই। কিন্তু সে আমাদের আগেই ভেগে গিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে। তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে
তোমাদের অনিষ্ট থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে, তোমরাও
তেমন তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেয়েছো।
ইসরাঈর
(রহঃ) আমাশ, ইবরাহীম, আলকামা (রহঃ)-ও আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে অনুরূপ
বর্ণনা করেছেন। রাবী আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমরা
সুরাটি তাঁর মুখ থেকে বের হবার সাথে সাথে শিখে নিচ্ছিলাম। আবূ আওয়ানা মুগীরা (রাঃ)
থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন। আর হাফস, আবূ
মুআবিয়া ও সুলাইমান ইবনু কারম, আ‘মাশ, ইব্রাহীম, আসওয়াদ
(রহঃ)-ও আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮৪।
নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে
গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে
না তাকে খাবার দিয়েছিল, না তাকে ছেড়ে দিয়েছিল, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ
হুরায়রা (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস
বর্ণিত আছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী
প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
৩০৮৫।
ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নাবীগণের মধ্যে কোন এক নাবী
গাছের নীচে অবতরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি পিপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাঁর প্রয়োজনীয়
আসবাবপত্র সমন্ধে নির্দেশ দিলেন। এগুলো গাছের নীচ হতে বের করে দেওয়া হল। তারপর
তিনি নির্দেশ দিলে পিপড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। তখন আল্লাহ তাঁর
প্রতি ওহী নাযিল করলেন, ‘তুমি একটি মাত্র পিপড়াকে
কে কেন সাজা দিলে না?’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে
মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৮৬।
খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... ‘উবাইদ ইবনু হুনায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে তাকে তাতে ডুবিয়ে
দিবে। তারপর তাকে উঠিয়ে ফেলবে। কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে আর অপরটিতে
থাকে প্রতিষেধক।
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে
মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩৯৮৭।
আল হাসান ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘জনৈক ব্যাভিচারিণীকে (এ কারণে) ক্ষমা করে
দেওয়া হয় যে, একদা সে একটি কুকুরের কাছ
দিয়ে যাচ্ছিল। তখন দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসায় তাকে মৃতপ্রায় করে দিয়েছিল।
তখন ব্যাভিচারিণী মহিলাটি তার মোজা খুলে তাঁর উড়নার সাথে বাঁধল। তারপর সে (তা কূপে
ছেড়ে দিয়ে) কূপ হতে পানি তুলে আনল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে
ক্ষমা করে দেওয়া হল।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে
মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৮৮।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ তালহা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
থেকে বর্ণিত বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ঘরে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে ঘরে
ফিরিশতাগণ প্রবেশ করে না।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে
মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৮৯।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।’
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে
মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৯০।
মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি কুকুর রাখবে
প্রতিদিন তার আমলনামা হতে এক ক্বীরাত করে সাওয়াব কমতে থাকবে। তবে কৃষিখামার অথবা
পশুরপাল রক্ষার কাজে নিয়োজিত শিকারী কুকুর এর ব্যতীক্রম।