৫০৭১ ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বরকতের দু আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসা র বড় সন্তান।
৫০৭২ মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে তাহনীক করার জন্য এক শিশুকে আনা হলো, শিশুটি তার কোলে পেশাব করে দিল তিনি এতে পানি ঢেলে দিলেন।
৫০৭৩ ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্হায় আমি বেরিয়ে মদিনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে তাকে তার কোলে রাখলাম। তিনি একঁটি খেজুর আনতে বললেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই লালাই সর্ব প্রথম তার পেটে প্রবেশ করল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহনীক করলেন এবং তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন। (হিজরতের পরে) ইসলামে সেই ছিল প্রথম জন্মগ্রহনকারী। তাই তার জন্য মুসলিমরা অতন্তে খুশী হয়েছিলেন কারন, তাদের বলা হতো ইয়াহুদীরা তোমাদের যাদু করেছে তাই তোমাদের সন্তান হয় না।
৫০৭৪ মাতার ইবনু ফাযল (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আবূ তালহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লো। আবূ তালহা (রাঃ) বাইরে গেলেন তখন ছেলেটি মারা গেল। আবূ তালহা (রাঃ) ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ছেলেটি কি করছে? উম্মে সুলায়ম বললেনঃ সে আগের চাইতে শান্ত। তারপর তাকে রাতের খাবার দিলেন। তিনি আহার করলেন। তারপর উম্মে সুলায়মের সাথে সহবাস করলেন। সহবাস শেষে উম্মে সুলায়ম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আসা সকাল হলে আবূ তালহা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে তাকে এ ঘটনা বললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হা! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর। কিছু দিন পর উম্মে সুলায়ম একটি সন্তান প্রসব করলো (রাবী বলেনঃ) আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি দেখা শোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে নিয়ে যাই। তারপর তিনি তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে নিয়ে গেলেন। উম্মে সুলায়ম সাথে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (কোলে) নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন তার সাথে কিছু আছে? তারা বললেন হাঁ- আছে। তিনি তা নিয়ে চর্বণ করলেন তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহনীক করলেন এবং তার নাম রাখলেন আবদুল্লাহ।
৫০৭৫ মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি উক্ত হাদীসটই বর্ণনা করেন।
৫০৭৬ আবূ নুমান (রহঃ) সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে! সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ আকীকার জন্তু যবাহ) কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।
৫০৭৭ আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) হাবীব ইবনু শহীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- ইবনু সিরীন আমাকে আদেশ দিলেন, আমি যেন হাসানকে জিজ্ঞাসা করি তিনি আকীকার হাদীসটি কার থেকে শুনেছেন? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ সামূরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে।
৫০৭৮ আবদান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – বলেছেন- (ইসলামে) ফারা বা আতীরা নেই। ফারা হল উটের সে প্রথম বাচ্চা, যাতারা তাদের দের-দেবীর নামে যবাহ করত। আর আতীরা হলো রজবে যে জন্তু যবাহ দিত।
৫০৭৯ আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ইসলামে) ফারা ও আতীরা নেই। ফারা হল উটের প্রথম বাচ্চা যা তারা তাদের দের-দেবীর নাঁমে যবাহ দিত। আর আতীরা যা রজবে যবাহ করতো।