পরিচ্ছেদঃ ১৫৮২. গোলাম আযাদ করা ও তার ফযীলত এবং আল্লাহ তা’আলার এ বাণী: গোলাম আযাদ কিংবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান ইয়াতীম আত্মীয়কে ।( ৯০:১৩-১৫)।
২৩৫১।
আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ
কোন মুসলিম গোলাম আযাদ করলে আল্লাহ সেই গোলামের প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে তার
একেকটি অঙ্গ (জাহান্নামের) আগুন থেকে মুক্ত করবেন। সাঈদ ইবনু মারজানা (রাঃ) বলেন, এ হাদীসটি আমি আলী ইবনু হুসায়নের খিদমতে পেশ
করলাম। তখন আলী ইবনু হুসায়ন (রাঃ) তার এক গোলামের কাছে উঠে গেলেন যার বিনিময়ে
আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রাঃ) তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দ্বীনার দিতে
চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে আযাদ করে দিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৩. কোন ধরণের গোলাম আযাদ করা
উত্তম?
২৩৫২।
উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন আমল উত্তম? তিনি
বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা
এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন
ধরণের গোলাম আযাদ করা উত্তম?
তিনি
বললেন, যে গোলামের মূল্য অধিক এবং
যে গোলাম তার মনিবের কাছে অধিক আকর্ষণীয়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ যদি আমি করতে না পারি? তিনি বললেন, তাহলে
কাজের লোককে (তার কাজে) সাহায্য করবে কিংবা বেকারকে কাজ দিবে। আমি (আবারও) বললাম, এ-ও যদি না পারি? তিনি বললেন, মানুষকে
তোমার অনিষ্টতা থেকে মুক্ত রাখবে। বস্তুতঃ এটা তোমার নিজের জন্য তোমার পক্ষ থেকে
সাদকা।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৪. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর কুদরতের)
বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশকালে গোলাম আযাদ করা মুস্তাহাব
২৩৫৩।
মূসা ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় গোলাম আযাদ করার নির্দেশ
দিয়েছেন। আলী (রহঃ) দরাওয়ারদী (রহঃ) সূত্রে হিশাম (রহঃ) হাদীস বর্ণনায় মূসা ইবনু
মাসউদ (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৪. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর
কুদরতের) বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশকালে গোলাম আযাদ করা মুস্তাহাব
২৩৫৪।
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) ... আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সূর্য
গ্রহণের সময় আমাদেরকে গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দেওয়া হতো।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন
গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
২৩৫৫।
আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সালিমের পিতা [ইবনু উমর (রাঃ)] থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি দু’জনের মালিকানাধীন গোলাম আযাদ
করে, সে সচ্ছল হলে প্রথমে
গোলামের মূল্য নির্ধারণ করা হবে,
তারপর
আযাদ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন
গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
২৩৫৬।
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, কেউ যদি কোন গোলাম থেকে
নিজের অংশ আযাদ করে আর গোলামের মূল পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে গোলামের নায্যমূল্য
নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং গোলামটি তার
পক্ষ থেকে আযাদ হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ)
না থাকলে তারপক্ষ থেকে ততটুকুই আযাদ হবে। যতটুকু সে আযাদ করেছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন
গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
২৩৫৭।
উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ
কোন (শরীকী) গোলাম থেকে নিজের অংশ আযাদ করলে ঐ গোলামের সম্পূর্ণটা আযাদ করা তার
জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়বে, যদি তার কাছে সেই গোলামের
মূল্য পরিমাণ অর্থ থাকে। আর যদি তার কাছে কোন অর্থ না থাকে তাহলে তার দায়িত্ব হবে
আযাদ কৃত (গোলামের) নায্যমূল্য নির্ধারণ করা এতে আযাদকারীর পক্ষ থেকে ততটুকুই আযাদ
হবে, যতটুকু সে আযাদ করেছে।
মুসাদ্দাদ
(রহঃ) বিশর ইবনু মুফাদ্দাল (রহঃ) সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রহঃ) উক্ত হাদীসটি সংক্ষিপ্ত
বর্ণিত আছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন
গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
২৩৫৮।
আবূ নু’মান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ
কোন (শরীকী) গোলাম থেকে নিজের অংশ বা হিসসা আযাদ করে দিলে এবং গোলামে নায্যমূল্য
পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকলে,
সেই
গোলাম সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে যাবে। নাফি’ (রহঃ) বলেন, আর
সেই পরিমাণ অর্থ না থাকলে যতটুকু সে আযাদ করেছে তারপক্ষ থেকে ততটুকুই আযাদ হবে।
রাবী আইউব (রহঃ) বলে, আমি জানিনা, এটা কি নাফি (রহঃ) নিজ থেকে বলেছেন না এটাও
হাদীসের অন্তর্ভূক্ত।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন
গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
২৩৫৯।
আহমদ ইবনু মিকদাম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি শরীকী গোলাম বা বাঁদী সম্পর্কে ফাতওয়া
দিতেন যে, শরীকী গোলাম শরীকদের কেউ
নিজের অংশ আযাদ করে দিলে তিনি বলতেন, সম্পূর্ণ
গোলামটাই আযাদ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে। যদি আযাদকারীর কাছে গোলামের মূল
পরিমাণ অর্থ থাকে, তাহলে সে অর্থ থেকে
গোলামের নায্যমূল্য নির্ণয় করা হবে এবং শরীকদের তাদের প্রাপ্য হিসসা পরিশোধ করা
হবে, আর আযাদকৃত গোলাম পূর্ণ
আযাদ হয়ে যাবে। বক্তব্যটি ইবনু উমর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
থেকে বর্ণনা করেন, এবং লায়ছ, ইবনু আবূ যি’ব, ইবনু
ইসহাক জওয়াইরিয়া, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ও
ইসমাঈল ইবনু উমাইয়া (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) এর মাধ্যমে ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৬. কেউ গোলামের নিজের অংশ আযাদ
করে দিলে এবং তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকলে চুক্তিবদ্ধ গোলামের মত তাকে অতিরিক্ত
কষ্ট না দিয়ে উপার্জন করতে বলা হবে।
২৩৬০।
আহমদ ইবনু আবূ রাজা (রহঃ) ও মুসাদ্দদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, কেউ শরীকী গোলাম থেকে
নিজের ভাগ বা অংশ (রাবীর দ্বিধা) আযাদ করে দিলে নিজ অর্থে ব্যয়ে সেই গোলামকে রেহাই
করা তার উপর কর্তব্য, যদি তার কাছে প্রয়োজনীয়
অর্থ থাকে। অন্যথায় তার নায্যমূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং তাকে অতিরিক্ত কষ্ট না
দিয়ে উপার্জন করতে বলা হবে।
হাজ্জাজ
ইবনু হাজ্জাজ, আবান ও মূসা ইবনু খালফ
(রহঃ) কাতাদা (রহঃ) থেকে হাদীসি সাঈদ ইবনু আবূ আরুবা (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
হাদীসটি শু’বা (রহঃ) সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৭. ভুলবশত অথবা অনিচ্ছায় গোলাম
আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন
উদ্দেশ্যে গোলাম আযাদ করা যায় না। নবী (সা) বলেছেন, প্রত্যেক
ব্যক্তি তাই পাবে, যা যে নিয়্যত করে। এবং যে
ব্যক্তি অনিচ্ছায় বা ভুল বশত কিছু বলে, তার
কোন নিয়্যত থাকে না।
২৩৬১।
হুমায়দী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার
উম্মতের অন্তরে উদিত ওযাসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ
পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৭. ভুলবশত অথবা অনিচ্ছায় গোলাম
আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন
উদ্দেশ্যে গোলাম আযাদ করা যায় না। নবী (সা) বলেছেন, প্রত্যেক
ব্যক্তি তাই পাবে, যা যে নিয়্যত করে। এবং যে
ব্যক্তি অনিচ্ছায় বা ভুল বশত কিছু বলে, তার
কোন নিয়্যত থাকে না।
২৩৬২।
মুহাম্মদ ইবনু কাছীর (রহঃ) ... উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমলসমূহ নিয়্যতের সাথে সম্পৃক্ত। আর মানুষ
তাই পাবে, যা যে সে নিয়্যত করবে।
কাজেই কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করে থাকলে তার সে হিজরত আল্লাহ ও
তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে বলেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত হবে দুনিয়া হাসিলের উদ্দেশ্য
অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার মতলবে,
তার
হিজরত সে উদ্দেশ্যে বলেই গণ্য হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৮. আযাদ করার নিয়্যতে কোন
ব্যক্তি নিজের গোলাম সম্পর্কে সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বলা এবং আযাদ করার
ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৩৬৩।
মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমাইর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছায় আপন গোলামকে সাথে
নিয়ে (মদিনায়) আসছিলেন। পথে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। পরে গোলামটি এসে
পৌছলো। আবূ হুরায়রা (রাঃ) সে সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে
বসাছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ হুরায়রা! দেখো, তোমার গোলাম এসে গেছে। তখন তিনি বললেন, শুনুন! আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, সে আযাদ! রাবী বলেন, (মদিনায়) পৌছে তিনি বলতেনঃ কত দীর্ঘ আর
কষ্টদায়কই না ছিলো হিজরতের সে রাত-তবুও তা আমাকে দারুল কুফর থেকে মুক্তি দিয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৮. আযাদ করার নিয়্যতে কোন
ব্যক্তি নিজের গোলাম সম্পর্কে সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বলা এবং আযাদ করার
ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৩৬৪।
উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবীজীর
খিদমতে আগমনকালে আমি পথে পথে (কবিতা) বলতামঃ হিজরতের সে রাত কতনা দীর্ঘ আর
কষ্টদায়ক ছিল, তবুও তা আমাকে দারুল কুফর
থেকে মুক্তি দিযেছে। তিনি বলেন,
পথে
আমার এক গোলাম পালিয়ে গিয়েছিলো। যখন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
খিদমতে এসে তাঁর (হাতে) বায়আত হলাম। আমি তাঁর খিদমতেই ছিলাম, এ সময় গোলামটি এসে হাযির হল। তখন রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ
হুরায়রা! এই যে, তোমার গোলাম! আমি বললাম, সে আল্লাহর ওয়াস্তে আযাদ। এই বলে তাকে আযাদ
করে দিলাম।
আবূ
আবদুল্লাহ (বুখারী) (রহঃ) বলেন,
আবূ
কুরায়ব (রহঃ) আবূ উসামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতেحُرٌّ
শব্দটি বলেন নি।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৮. আযাদ করার নিয়্যতে কোন
ব্যক্তি নিজের গোলাম সম্পর্কে সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বলা এবং আযাদ করার
ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৩৬৫
শিহাব ইবনু আব্বাদ (রহঃ) ... কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর গোলামকে সাথে করে
ইসলামে উদ্দেশ্যে (মদিনা) আগমনকালে পথিমধ্যে তারা একে অপরকে হারিয়ে ফেললেন এবং
তিনি (আবূ হুরায়রা) বললেন, শুনুন! আমি আপনাকে সাক্ষী
রেখে বলছি, সে আল্লাহর জন্য।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮৯. উম্মু ওয়ালাদ প্রসঙ্গ। আবূ
হুরায়রা (রা.) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের
একটি আলামতের একটি আলামত এই যে,
বাঁদী
তার মুনিবকে প্রসব করবে।
২৩৬৬
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, উতবা ইবনু আবূ ওয়াককাস আপন
ভাই সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাসকে ওসীয়্যত করেছিলেন, তিনি
যেন যাম’আর দাসীর গর্ভজাত পুত্রকে গ্রহণ করেন (কারণ স্বরূপ) উতবা বলেছিলেন, সে আমার (ঔরসজাত) পুত্র। মক্কা বিজয়কালে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় তাশরীফ আনলেন, তখন সাদ যাম’আর দাসীর পুত্রকে নিয়ে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে আসলেন এবং তার সাথে আবদ
ইবনু যাম’আকে নিয়ে আসলেন। সাদ বললেন, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! এতো আমার ভাতিজা। আমার ভাই বলেছেন যে, সে
তার ছেলে। আবদ ইবনু যাম’আর বললেন,
ইয়া
রাসূলাল্লাহ! এ আমার ভাই, যাম’আর পুত্র। তার
শয্যাতেই এ জন্ম নিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন যাম’আর দাসীর পুত্রের দিকে তাকালেন। দেখলেন, উতবার সাথেই তার (আদলের) সর্বাধিক মিল। তবু রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে
আবদ ইবনু যামা’আ! এ-তোমারই (ভাই),
কেননা-এ
তার (আবদ ইবনু যামআর) শয্যাতে জন্ম গ্রহণ করেছে। তারপররাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাওদা বিনতে যামআ! তুমি
এ থেকে পর্দা করবে। কেননা তিনি উতবার সাথেই তার (চেহারার) মিল দেখতে পেয়েছিলেন।
সাওদা ছিলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯০. মুদাববার বিক্রি করা।
২৩৬৭।
আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের
একজন তার এক গোলামকে মুদাব্বাররূপে আযাদ ঘোষণা করল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সেই গোলামকে ডেকে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিলেন। জাবির (রাঃ) বলেন, গোলামটি সে বছরই মারা গিয়েছিলো।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯১. গোলামের অভিভাবকত্ব বিক্রি
বা দান করা।
২৩৬৮।
আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম গোলামের অভিভাবকত্ব বিক্রি করতে এবং তা দান করতে নিষেধ করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯১. গোলামের অভিভাবকত্ব বিক্রি বা
দান করা।
২৩৬৯।
উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরাকে
আমি (আযাদ করার নিয়্যতে) খরিদ করলাম, তখন
তার (পূর্বতন) মালিক অভিভাবকত্বের শর্তারোপ করলো। প্রসঙ্গটি আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উত্থাপন করলাম। তিনি বললেন, তুমি তাকে আযাদ করে দাও। অভিভাবকত্ব সেই লাভ
করবে, যে অর্থ ব্যয় করবে। তখন
আমি তাকে আযাদ করে দিলাম। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে
তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দিলেন। বারীরা (রাঃ) বললেন, যদি সে আমাকে এতো সম্পদও দেয় তবু আমি তার
কাছে থাকবো না। অবশেষে তিনি তার ইখতিয়ার প্রয়োগ করলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯২. কারো মুশরিক ভাই বা চাচা
বন্দী হলে কি তাদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে ? আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, আব্বাস (রা.) নবী (ﷺ)-কে বলেছিলেন, আমি
নিজের ও আকীলে মুক্তিপণ আদায় করচি। এদিকে আলী ইবন আবী তালিব (রা.) তার ভাই আকীল ও
চাচা আব্বাসের মুক্তিপণ বাবদ প্রাপ্ত গনীমাতের অংশ পেয়েছিলেন।
২৩৭০।
ইসমাঈল ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদিনার
কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা
করে বলল, আপনি অনুমতি দিলে আমরা
আমাদের বোনপো আব্বাসের মুক্তিপণ ছেড়ে দিবো। কিন্তু তিনি বললেন, তোমরা তার (মুক্তপণের) একটি দিরহামও ছাড়তে
পারো না।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৩. মুশরিক কর্তৃক গোলাম আযাদ
করা।
২৩৭১।
উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমার পিতা আমাকে অবগত করলেন যে, হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) জাহিলী যুগে একশ
গোলাম আযাদ করেছিলেনে এবং আরোহণের জন্য একশ উট দিয়েছিলেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ
করলেন, তখনও একশ’ উট বাহন হিসাবে
দান করেন এবং একশ’ গোলাম আযাদ করলেন। তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহেলী যুদে কল্যাণের
উদ্দেশ্যে যে কাজগুলো আমি করতাম,
সেগুলো
সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেন, তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার
পিছনের আমলগুলোর কল্যাণেই তো তুমি ইসলাম গ্রহণ করেছো।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী
গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা
বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন
অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের,
যে
কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে
তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে।
তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর
প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা
জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭২।
ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনু মাখরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন (অভ্যর্থনার জন্য) এরপর তারা অর্থ-সম্পদ ও বন্দীদেরক ফিরিয়ে
দেওয়ার আবেদন জানালো। তখন তিনি বললেন, তোমরা
দেখছো, আমার সাথে আরো, ‘সাহাবী আছেন। আর সত্য ভাষণই আমার নিকট প্রিয়।
কাজেই অর্থ-সম্পদ ও বন্দী এ দু’টির যে কোন একটি তোমরা বেছে নাও। বন্দীদের বণ্টনের
ব্যাপারে আমি বিলম্বও করেছিলাম। (রাবী বলেন) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তায়েফ থেকে ফিরে প্রায় দশরাত তাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন। যখন প্রতিনিধি
দলের কাছে সুষ্পষ্ট হয় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দু’টির যে কোন একটি ফেরত দিবেন, তখন
তারা বলল, তবে আমরা আমাদের বন্দীদেরই
পছন্দ করছি।
তখন
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবার সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযোগ্য
প্রশংসা করার পর বললেন, তোমাদের ভাইয়েরা তাওবা করে
আামদের কাছে এসেছে। এমতাবস্থায় আমি তাদেরকে তাদের বন্দীদের ফেরত দিতে মনস্থ করেছি।
কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে
তা পছন্দ করে, তারা যেন তাই করে। আর যারা
তাদের নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে। তা এভাবে যে, প্রথম
যে ‘ফায় আল্লাহপাক আমাকে দান করবেন, সেখান
থেকে আমি তাদের যে হিসসা আদায় করে দিবো। সে যেন তা করে। তখন সবাই বললো, আমরা আপনার জন্য সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে রাযি
আছি।
তিনি
বললেন, আমি বুঝতে পারছি না, তোমাদের মুখপাত্ররা তোমাদের মতামত আমার কাছে
উত্থাপন করুক। তারপর সবাই ফিরে গেলো আর তাদের মুখপাত্ররা তাদের সাথে আলোচনা সেরে
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ফিরে এসে জানালেন যে তারা সকলেই
সন্তুস্টচিত্তে সম্মতি প্রকাশ করেছে। (ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন) হাওযাযিন
গোত্রের যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে এতটুকুই আমাদের কাছে পৌছেছে। আনাস (রাঃ) বলেন, আব্বাস (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বললেন (বদর যুদ্ধে) আমি (একাই) নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী
গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা
বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন
অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের,
যে
কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে
তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে।
তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর
প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা
জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৩।
আলী ইবনু হাসান ইবনু শাকীক (রহঃ) ... ইবনু আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
নাফি’ (রহঃ) কে পত্রে লিখলাম,
তিনি
জওয়াবে আমাকে লিখলেন যে, বনী মুস্তালিক গোত্রেরে
উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো
হচ্ছিলো। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিন
জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন) কে লাভ করেন। (নাফি’ (রহঃ) বলেন) আবদুল্লাহ ইবনু উমর
(রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী
গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা
বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন
অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের,
যে
কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে
তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে।
তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর
প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা
জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৪
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
আবূ সাঈদ (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে
আমরা বনী মুস্তালিক যুদ্ধে কিছু আরব যুদ্ধ বন্দী আমাদের হস্তগত হল। তখন আমাদের
স্ত্রীদের কথা মনে পড়ে (কেননা) দূর-নিঃসঙ্গ জীবন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে পড়েছিল।
(সে সময়) আমরা আযল করতে চাইলাম (বাঁদী ব্যবহার করে)। এ সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এরুপ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না।
কেননা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত রয়েছে, তারা
আসবেই।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী
গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা
বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন
অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের,
যে
কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে
তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে।
তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর
প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা
জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৫।
যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনটি কথা শোনার পর থকে বনী তামীম গোত্রকে
আমি ভালোবেসে আসছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, দাজ্জালের
মুকাবিলায় আমার উম্মতের মধ্যে এরাই হবে অধিকতর কঠোর। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার তাদের পক্ষ থেকে সাদকার মাল আসলো। তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ
যে আমার কওমের সাদকা। ‘আয়িমা (রাঃ)-এর হাতে তাদের এক বন্দিনী ছিল। তা দেখে নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে
আযাদ করে দাও। কেননা সে ঈসমাইলের বংশধর।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৫. আপন বাঁদীকে জ্ঞান ও
শিষ্টাচার শিখানোর ফযীলত।
২৩৭৬।
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কারো
যদি একটি বাঁদী থাকে আর সে তাকে প্রতিপালন করে, তার
সাথে ভাল আচরণ করে এবং তাকে মুক্তি দিয়ে বিয়ে করে, তাহলে
সে দ্বিগুন সাওয়াব লাভ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৬. নবী (ﷺ)-এর ইরশাদ, তোমাদের
গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। কাজেই তোমরা যা খাবে তা থেকে তাদেরকেও খাওয়াবে। (এ
সম্পর্কে) আল্লাহ তা’আলার বাণী: আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তার
শরীক করবে না এবং পিতা-মাতা,আত্মীয়-স্বজন,ইয়াতীম,অভাবগ্রস্থ,নিকট প্রতিবেশী, দূরপ্রতিবেশী, সংগী-সাথী,পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের
প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। দাম্ভিক,আত্মগর্বীকে। (৪ঃ ৩৬)
২৩৭৭।
আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... মারূর ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একবার আমি আবূ যার গিফারী (রাঃ) এর
দেখা পেলাম। তার গায়ে তখন একজোড়া কাপড় আর তার গোলামের গায়েও (অনুরূপ) এক জোড়া কাপড়
ছিলো। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, একবার
এক ব্যাক্তিকে আমি গালি দিয়েছিলাম। সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে
বললেন, তুমি তার মার প্রতি কটাক্ষ
করে তাকে লজ্জা দিলে? তারপর তিনি বললেন, তোমদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ
তাদেরকে তোমাদের অধীনস্ত করেছেন,
কাজেই
কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে তবে সে যা খায়, তা
থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা
থেকে যেন পরিধান করায়। এবং তাদের সাধ্যাতীত কোন কাজে বাধ্য কর না। তোমরা যদি তাদের
শক্তির উর্দ্ধে কোন কাজ তাদের দাও তবে তাদের সহযোগীতা কর।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার
প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
২৩৭৮।
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, গোলাম যদি তার মনিবের
হিতাকাংক্ষী হয় এবং তার প্রতিপালকের উত্তমরূপে ইবাদত করে, তাহলে তার সাওয়াব হবে দ্বিগুণ।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার
প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
২৩৭৯
মুহাম্মদ ইবনু কাছীর (রহঃ) ... আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, লোক
তাঁর বাঁদীকে উত্তমরুপে জ্ঞান ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেয় এবং তাকে আযাদ করে ও বিয়ে
করে, সে দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ
করবে। আর যে গোলাম আল্লাহর হক আদায় করে এবং মনিবেরও হক আদায় করে, সেও দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার
প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
২৩৮০।
বিশর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরারয়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ
ক্রীতদাসের সাওয়াব দ্বিগুণ। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, যার
হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, আল্লাহর পথে জিহাদ, হাজ্জ (হজ্জ) এবং আমার মায়ের সেবার মত উত্তম
কাজ যদি না থাকত তাহলে ক্রীতদাসরূপে মৃত্যুবরণ করাই আমি পছন্দ করতাম।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার
প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
২৩৮১।
ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কত
ভাগ্যবান সে, যে উত্তমরূপে আপন
প্রতিপালকের ইবাদত করে এবং মনিবের হিতাকাংক্ষী হয়।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮২।
মুসাদ্দদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গোলাম যদি আপন মনিবের হিতাকাংক্ষী হয় এবং আপন
প্রতিপালকের উত্তম ইবাদাত করে,
তাহলে
তার সাওয়াব হবে দ্বিগুণ।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮৩।
মুহাম্মদ ইবনু আলা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে গোলাম আপন প্রতিপালকের উত্তমরূপে ইবাদত
করে এবং আপন মনিবের যে হক আছে তা আদায় করে, তার
কল্যাণ কামনা করে আর তার আনুগত্য করে, সে
দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮৪।
মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের
কেউ যেন এমন কথা না বলে “তোমার প্রভুকে আহার করাও “তোমার প্রভুকে উযূ
(ওজু/অজু/অযু) করাও “তোমরা প্রভুকে পান করাও” আর যেন (গোলাম বাঁদীরা)-এরূপ বলে, “আমার মনিব”, আমার
অভিভাবক, ”তোমাদের কেউ যেন এরূপ না
বলে “আমার দাস, আমার দাসী। বরং বলবে-‘আমার
বালক’ ‘আমার বালিকা’ ‘আমার খাদিম’।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮৫।
আবূ নু’মান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কোন (শরীকী) গোলাম
থেকে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে এবং তার কাছে সেই গোলামের মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকলে
তার নায্যমূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং তার সম্পদ থেকেই সেই গোলাম সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে
যাবে, অন্যথায় সে যতটুকু আযাদ
করেছে ততটুকুই আযাদ হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮৬।
মুসাদ্দদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই
প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্তদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। যেমন- জনগণের শাসক তাদের
দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে
জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবার পরিজনদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী
স্বামীর ঘরের এবং তার সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই
সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। আর গোলাম আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী।
কাজেই সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। শোন! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই
প্রত্যেকেই আপন অধীনস্তদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা
এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপসন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের
গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক
গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ
২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
তোমাদের
ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা
তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
২৩৮৭।
মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বাঁদী যিনায় লিপ্ত হলে তাকে চাবুক লাগাবে।
আবার যিনার করলে আবারও চাবুক লাগাবে। তৃতীয়বার বা চতুর্থবার বরেছেন, একগাছি রশির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে
ফেলবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৯. খাদিম যখন খাবার পরিবেশন
করে।
২৩৮৮।
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো খাদিম খাবার নিয়ে হাযির হলে
তাকেও নিজের সাথে বসানো উচিত। তাকে সাথে না বসালে দু’ এক লোকমা কিংবা দু’ এক গ্রাস
তাকে দেওয়া উচিত। কেননা সে এর জন্য পরিশ্রম করেছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৬০০. গোলাম আপন মনিবের সম্পদের
রক্ষণাবেক্ষণকারী। নবী (ﷺ) সম্পদকে মনিবের সাথে সম্পর্কিত করেছেন।
২৩৮৯।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকে
দায়িত্বশীল এবং নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে সে জিজ্ঞাসিত হবে। ইমাম (শাসক) একজন
দায়িত্বশীল। কাজেই আপন অধীনস্থদের বিষয়ে সে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার
পরিবারের দায়িত্বশীল। কাজেই সে তার অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার
স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল। কাজেই সে তার অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, আর খাদিম তার মনিবের সম্পদের
রক্ষণাবেক্ষণকারী, কাজেই সে তার দায়িত্বাধীন
বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।
আবদুল্লাহ
ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এদের সম্পর্কে (নিশ্চিতভাবেই) শুনেছি। তবে আমার ধারণা; নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো
বলেছেন, আর সন্তান তার পিতার
সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। কাজেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। মোটকথা
তোমাদের প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১৬০১. গোলামের মুখমন্ডলে আঘাত করবে
না।
২৩৯০।
মুহাম্মদ ইবনু উবায়দুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন
লড়াই করবে, তখন সে যেন মুখমন্ডলে আঘাত
করা থেকে বিরত থাকে। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন, ইবনু
হারব (রহঃ) বলেছেন, ইবনু ফুলান কথাটি ইবনু
ওয়াহব (রহঃ) বলেছেন এবং ইবনু ফুলান হলেন ইবনু সাম’আন (রহঃ)।