জুলুম ও কিসাস

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৫. অপরাধের দন্ড

بَابقِصَاصِ الْمَظَالِمِوَالْغَصْبِ

وَقَوْلِاللَّهِ تَعَالَىوَلَا تَحْسَبَنَّاللَّهَ غَافِلًاعَمَّا يَعْمَلُالظَّالِمُونَإِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْلِيَوْمٍ تَشْخَصُفِيهِ الْأَبْصَارُمُهْطِعِينَمُقْنِعِيرُءُوسِهِمْرَافِعِيالْمُقْنِعُوَالْمُقْمِحُوَاحِدٌ وَقَالَمُجَاهِدٌمُهْطِعِينَمُدِيمِي النَّظَرِوَيُقَالُمُسْرِعِينَلَا يَرْتَدُّإِلَيْهِمْطَرْفُهُمْوَأَفْئِدَتُهُمْهَوَاءٌ يَعْنِيجُوفًا لَاعُقُولَ لَهُمْوَأَنْذِرْالنَّاسَ يَوْمَيَأْتِيهِمْالْعَذَابُفَيَقُولُالَّذِينَظَلَمُوا رَبَّنَاأَخِّرْنَاإِلَى أَجَلٍقَرِيبٍ نُجِبْدَعْوَتَكَوَنَتَّبِعْالرُّسُلَأَوَلَمْ تَكُونُواأَقْسَمْتُمْمِنْ قَبْلُمَا لَكُمْمِنْ زَوَالٍوَسَكَنْتُمْفِي مَسَاكِنِالَّذِينَظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْوَتَبَيَّنَلَكُمْ كَيْفَفَعَلْنَابِهِمْ وَضَرَبْنَالَكُمْ الْأَمْثَالَوَقَدْ مَكَرُوامَكْرَهُمْوَعِنْدَ اللَّهِمَكْرُهُمْوَإِنْ كَانَمَكْرُهُمْلِتَزُولَمِنْهُ الْجِبَالُفَلَا تَحْسِبَنَّاللَّهَ مُخْلِفَوَعْدِهِ رُسُلَهُإِنَّ اللَّهَعَزِيزٌ ذُوانْتِقَامٍ

১৫২৪. পরিচ্ছেদঃ যুলম ও ছিনতাই।

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ্‌ গাফিল। তিনি তাদেরকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থীর, ভীত বিহবল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূণ্য (সূরা ইব্‌রাহীমঃ ৪২-৪৩)।

مُقْنِعِرُءُوسِهِمْ অর্থ উপরের দিকে তাদের মাথা তুলে। الْمُقْنِعُ এবং الْمُقْمِحُ সমার্থক শব্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مُهْطِعِينَ অর্থ দৃষ্টি অবনত করে। هَوَاءٌ শব্দের অর্থ জ্ঞাণশূণ্য।

(আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ) যে দিন তাদের শাস্তি আসবে, সেদিন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করুন। তথায় জালিমরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কিছু কালের জন্য অবকাশ দিন। আমরা তোমার ডাকে সাড়া দিব এবং রাসূলদের অনুসরণ করব .... আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, দন্ডবিধায়ক (সূরা ইব্‌রাহীম)।

________________________________________

২২৭৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মু’মিনগণ যখন জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে এক পুলের উপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা জুলুম ও অন্যায় ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেরূপ চিনত, তার চাইতে অধিক তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ সাবধান! জালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত (১১:১৮)।

২২৭৯। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... সাফওয়ান ইবনু মুহরিয আল- মাযিনী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি ইবনু উমর (রাঃ) এর সাথে তাঁর হাত ধরে চলছিলাম। এ সময় এক ব্যাক্তি এসে বলল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর মু’মিন বান্দার একান্তে কথাবার্তা সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কি বলতে শুনেছেন? তখন তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা’আলা মু’মিন ব্যাক্তিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন এবং তার উপর স্বীয় আবরণ দ্বারা তাকে ঢেকে নিবেন। তারপর বলবেন, অমুক পাপের কথা কি তুমি জানো? তখন সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। এভাবে তিনি তার কাছ থেকে তার পাপগুলো স্বীকার করিয়ে নিবেন। আর সে মনে করবে যে, তার ধ্বংস অনিবার্য। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, আমি পৃথিবীতে তোমার পাপ গোপন করে রেখেছিলাম। আর আজ আমি তা মাফ করে দিব। তারপর তার নেকের আমলনামা তাকে দেওয়া হবে। কিন্তু কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কে স্বাক্ষীরা বলবে, এরাই তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল। সাবধান, জালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৭. মুসলমান মুসলমানের প্রতি জুলুম করবে না এবং তাকে অপমানিতও করবে না

২২৮০। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পুরণ করবে আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যাক্তি (পৃথিবীতে) কোন মুসলমানের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যাক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৮. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক বা মাযলুম

২২৮১। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে জালিম হোক অথবা মাজলুম (অর্থাৎ জালিম ভাইকে জুলুম থেকে বিরত রাখবে এবং মাজলুম ভাইকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করবে)।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৮. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক বা মাযলুম

২২৮২। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে জালিম হোক অথবা মাজলুম। তিনি (আনাস) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মাজলুমকে সাহায্য করব, তা তো বুঝলাম। কিন্তু জালিমকে কি করে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে (অর্থাৎ তাকে যুলুম করতে দিবে না)।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৯. মাজলুমকে সাহায্য করা

২২৮৩। সাঈদ ইবনু রাবী (রহঃ) ... বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তারপর তিনি উল্লেখ করেলেন, পীড়িতের খোঁজখবর নেওয়া, জানাযার অনুসরণ করা, হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ্‌ বলা, সালামের জওয়াব দেওয়া, মাজলুমকে সাহায্য করা, আহবানকারীর প্রতি সাড়া দেওয়া, কসমকারীকে দায়িত্ব মুক্ত করা।

পরিচ্ছেদঃ ১৫২৯. মাজলুমকে সাহায্য করা

২২৮৪। মুহাম্মদ ইবনু আলা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মু’মিন আর এক মু’মিনের জন্য ইমারত তুল্য, যার এক অংশ আর এক অংশকে সুদৃঢ় করে। আর তিনি তাঁর এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করিয়ে দেখালেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩২. যুলম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারন করবে

بَابالِانْتِصَارِمِنْ الظَّالِمِ

لِقَوْلِهِجَلَّ ذِكْرُهُلَا يُحِبُّاللَّهُ الْجَهْرَبِالسُّوءِمِنْ الْقَوْلِإِلَّا مَنْظُلِمَ وَكَانَاللَّهُ سَمِيعًاعَلِيمًا وَالَّذِينَإِذَا أَصَابَهُمْالْبَغْيُهُمْ يَنْتَصِرُونَقَالَ إِبْرَاهِيمُكَانُوا يَكْرَهُونَأَنْ يُسْتَذَلُّوافَإِذَا قَدَرُواعَفَوْا

১৫৩০. পরিচ্ছেদঃ জালিম থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ।

আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ মন্দ কথা প্রচারণা আল্লাহ্‌ পসন্দ করেন না, তবে যার উপর জুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ্‌ শ্রবণকারী, জ্ঞানী। (৪ঃ ১৪৮) এবং যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে (৪২ঃ ৩৯) ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) অপমানিত হওয়াকে পসন্দ করতেন না, তবে ক্ষমতা লাভ করলে মাফ করে দিতেন।

________________________________________

بَابعَفْوِ الْمَظْلُومِ

لِقَوْلِهِتَعَالَى إِنْتُبْدُوا خَيْرًاأَوْ تُخْفُوهُأَوْ تَعْفُواعَنْ سُوءٍفَإِنَّ اللَّهَكَانَ عَفُوًّاقَدِيرًا وَجَزَاءُسَيِّئَةٍسَيِّئَةٌمِثْلُهَافَمَنْ عَفَاوَأَصْلَحَفَأَجْرُهُعَلَى اللَّهِإِنَّهُ لَايُحِبُّ الظَّالِمِينَوَلَمَنْ انْتَصَرَبَعْدَ ظُلْمِهِفَأُولَئِكَمَا عَلَيْهِمْمِنْ سَبِيلٍإِنَّمَا السَّبِيلُعَلَى الَّذِينَيَظْلِمُونَالنَّاسَ وَيَبْغُونَفِي الْأَرْضِبِغَيْرِ الْحَقِّأُولَئِكَلَهُمْ عَذَابٌأَلِيمٌ وَلَمَنْصَبَرَ وَغَفَرَإِنَّ ذَلِكَلَمِنْ عَزْمِالْأُمُورِوَتَرَى الظَّالِمِينَلَمَّا رَأَوْاالْعَذَابَيَقُولُونَهَلْ إِلَىمَرَدٍّ مِنْسَبِيلٍ

১৫৩১. পরিচ্ছেদঃ মাযলুমকে মাফকরে দেওয়া।

আল্লাহ্‌ তা’য়ালার বাণীঃ তোমরা সৎকর্ম প্রকাশ্যে করলে অথবা গোপনে করলে অথবা দোষ ক্ষমা করলে আল্লাহ্‌ও দোষ মোছনকারী, শক্তিমান (৪ঃ ১৪৯)। মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, কিন্তু যে মাফ করে দেয় এবং আপোষ নিস্পত্তি করে, তার পুরষ্কার আল্লাহ্‌র নিকটই রয়েছে। তিনি জালিমদের পছন্দ করেন না। তবে অত্যাচারিত হওয়ার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না। কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের উপর যুলম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহচরণ করে বেড়ায়। এদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। অবশ্য যে ধৈর্য ধারণ করে এবং মাফ করে দেয়, এতো হবে দৃঢ়সংকল্পেরই কাজ। আল্লাহ্‌ যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন এবং পর তার জন্য কোনো অভিবাবক নেই। জালিমরা (কিয়ামতের দিন) যখন শাস্তি দেখবে, তখন আপনি তাদের বলতে শুনবেন প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ আছে কি? (৪২ঃ ৪০-৪৪)।

________________________________________

২২৮৫। আহ্‌মদের ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুলম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারন করবে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৩. মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করা এবং তা থেকে বেঁচে থাকা

২২৮৬। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুআয (রাঃ) কে ইয়মানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৪. মাযলুম জালিমকে মাফ করে দিল; এমতাবস্থায় সে জালিমের যুলমের কথা প্রকাশ করতে পারবে কি?

২২৮৭। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রম হানী বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করায়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোনো সৎকর্ম থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।

আবূ আবদুল্লাহ‌ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, ইসমাঈল ইবনু উয়াইস (রহঃ) বলেছেন, সাঈদ আল-মাকবুরী (রহঃ) কবরস্থানে পার্শ্বে অবস্থান করতেন বলে তাকে আল-মাকবুরী বলা হত। আবূ আবদুল্লাহ‌ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) এও বলেছেন, সাঈদ আল-মাকবুরী হলেন, বনূ লাইসের আযাদকৃত গোলাম। ইনি হলেন সাঈদ ইবনু আবূ সাঈদ। আর আবূ সাঈদের নাম হলো কায়সান।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৫. যদি কেউ কারো যুলম মাফ করে দেয়, তবে সে যুলমের জন্য পুনরায় তাকে দায়ী করা চলবে না

২২৮৮। মুহাম্মদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, কোন স্ত্রী যদি স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশংকা করে (৪ঃ ১২৮) আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি (আয়িশা) বলেন, এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর কাছে বেশী যাওয়া-আসা করত না বরং তাকে আলাদা অর্থাৎ তালাক দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করত। এ অবস্তায় স্ত্রী বলল, আমি তোমাকে আমার ব্যাপারে দায়মুক্ত করে দিলাম। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এই আয়াতটি নাযিল হয়।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তাকে মাফ করে, কিন্তু কি পরিমাণ মাফ করল তা ব্যক্ত করেনি

২২৮৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... সালাহ ইবনু সা’দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু পানীয় দ্রব্য আনা হল। তিনি তার কিছুটা পান করলেন। তাঁর ডান দিকে বসা ছিল একটি বালক আর বাম দিকে ছিলো বয়োজ্যেষ্ঠরা। তিনি বলাকটিকে বললেন, এ বয়োজ্যেষ্ঠেদেরকে দেওয়ার জন্য তুমি আমাকে অনুমতি দিবে কি? তখণ বালকটি বলল, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, আমি আপনার কাছ থেকে প্রাপ্য আমার অংশে কাউকে অগ্রাধিকার দিব না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির পেয়ালাটা তার হাতে ঠেলে দিলেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৭. যে ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ যুল্‌ম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ

২২৯০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি কারো জমির অংশ জুলুম করে কেড়ে নেয়, কিয়ামতের দিন এর সাত তবক যমীন তার গলায় লটকিয়ে দেওয়া হবে।

         

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৭. যে ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ যুল্‌ম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ

২২৯১। আবূ মা’মার (রহঃ) ... আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর এবং কয়েকজন লোকের মধ্যে একটি বিবাদ ছিল। আয়িশা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, হে আবূ সালামা! জমির ব্যাপারে সতর্ক থাক। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি এক বিঘত জমি অন্যায়ভাবে নিয়ে নেয়, (কিয়ামতের দিন) এর সাত তবক জমি তার গলায় লটকিয়ে দেওয়া হবে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৭. যে ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ যুল্‌ম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ

২২৯২। মুসলিম ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ... সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি অন্যায়ভাবে সামাণ্য পরিমাণ জমিও নিয়ে নিবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক যমীনের নীচ পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে।

আবূ আবদুল্লাহ‌ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ‌ ইবনু মুরারক (রহঃ) কর্তৃক খুরাসানে রচিত হাদীসগ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। এ হাদীসটি বসরায় লোকজনকে শোনানো হয়েছে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৮. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা জায়িয

২২৯৩। হাফ্‌স ইবনু উমর (রহঃ) ... জাবালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা মদিনায় কিছু সংখ্যক ইরাকী লোকের সঙ্গে ছিলাম। একবার আমরা দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হই, তখন ইবনু যুবাইর (রাঃ) আমাদেরকে খেজুর খেতে দিতেন। ইবনু উমর (রাঃ) আমাদের কাছ দিয়ে যেতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে তার ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া এক সাথে দুটো করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৮. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা জায়িয

২২৯৪। আবূ নু’মান (রহঃ) ... আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ শুয়াইব (রাঃ) নামক এক আনসারীর গোশত বিক্রেতা একজন গোলাম ছিল। একদিন আবূ শুয়াইব (রাঃ) তাকে বললেন, আমার জন্য পাঁচ জন লোকের খাবার তৈরী কর। আমি আশা করছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দাওয়াত করব। আর তিনি হলেন উক্ত পাঁচজনের একজন। উক্ত আনসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারায় ক্ষুধার ছাপ লক্ষ্য করেছিলেন। কাজেই তিনি তাঁকে দাওয়াত করলেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আরেকজন লোক আসলেন, যাকে দাওয়াত করা হয়নি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আনসারীকে) বললেন, এ আমাদের পিছে পিছে চলে এসেছেন। তুমি কি তাকে অনুমতি দিচ্ছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৩৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণী- প্রকৃত পক্ষে সে কিন্তু অতি ঝগড়াটে (২:২০৪)

২২৯৫। আবূ আসিম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশী ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪০. যে ব্যক্তি জেনে শুনে না হক বিষয়ে ঝগড়া করে, তার অপরাধ

২২৯৬। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন তিনি তাঁর ঘরের দরজার নিকটে ঝগড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন। (তাঁর কাছে বিচার চাওয়া হল) তিনি বললেন, আমি তো একজন মানুষ। আমার কাছে (কোন কোন সময়) ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের চাইতে অধিক বাকপটু। তখন আমি মনে করি যে, সে সত্য বলেছে। তাই আমি তার পক্ষে রায় দেই। বিচারে যদি আমি ভুলবশত অন্য কোন মুসলমানের হক তাকে দিয়ে থাকি, তবে তা দোযখের টুকরা। এখন সে তা গ্রহন করুক বা ত্যাগ করুক।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪১. ঝগড়া করার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার

২২৯৭। বিশর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে, এ চারটি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। (১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে (৩) যখন চুক্তি করে তা লংঘন করে (৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪২. জালিমের মাল যদি মাজলুমের হস্তগত হয়, তবে তা থেকে সে নিজের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে। ইব্‌ন সীরীন (র) বলেন, তার প্রাপ্য যতটুকু, ততটুকু গ্রহণ করতে পারে এবং তিনি (কুরআনুল কারীমের এ আয়াত) পাঠ করেনঃ যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক যতখানি করবে, যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে (১৬:২৬)

২২৯৮। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন উতবা ইবনু রবীআর কন্যা হিন্দা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমার স্বামী) আবূ সুফিয়ান কৃপণ লোক। তার সম্পদ থেকে যদি আমার সন্তাদের খেতে দেই, তা হলে আমার কোন গুনাহ্‌ হবে কি? তখন তিনি বললেন, যদি তুমি তাদেরকে ন্যায়সঙ্গতভাবে খেতে দাও তা হলে কোন তোমার গুনাহ হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪২. জালিমের মাল যদি মাজলুমের হস্তগত হয়, তবে তা থেকে সে নিজের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে। ইব্‌ন সীরীন (র) বলেন, তার প্রাপ্য যতটুকু, ততটুকু গ্রহণ করতে পারে এবং তিনি (কুরআনুল কারীমের এ আয়াত) পাঠ করেনঃ যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক যতখানি করবে, যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে (১৬:২৬)

২২৯৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, আপনি যখন আমাদের কোন অভিযানে পাঠান, আর আমরা এমন কাওমের কাছে অবতরণ করি, যারা আমাদের মেহমানদারী করে না। এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি আমাদের বললেন, যদি তোমরা কোন কাওমের কাছে অবতরণ কর এবং তোমাদের জন্য যদি উপযুক্ত মেহমানদারীর আয়োজন করা হয়, তবে তোমরা তা গ্রণ করবে, আর যদি তা না করে তবে তাদের কাছ থেকে মেহমানের হক আদায় করে নিবে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৩. ছায়া-ছাউনী প্রসঙ্গে। রাসূলুল্লাহ্ () ও তাঁর সাহাবীগণ বণূ সাঈদার ছায়া ছাউনীতে বসেছিলেন

২৩০০। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর সান্নিধ্যে উঠিয়ে নিলেন, তখন আনসারগণ বনূ সাঈদা গোত্রের ছায়া ছাউনীতে গিয়ে সমবেত হলেন। আমি আবূ বকর (রাঃ) কে বললাম, আমাদের সঙ্গে চলুন। এরপর আমরা তাদের নিকট সাকীফাহ বনূ সাঈদাতে গিয়ে পৌঁছলাম।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৪. কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে বাঁধা না দেয়

২৩০১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে নিষেধ না করে। তারপর আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, কি হল, আমি তোমাদেরকে এ হাদীস থেকে উদাসীন দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহর কসম, আমি সব সময় তোমাদেরকে এ হাদীস বলতে থাকব।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৫. রাস্তায় মদ ঢেলে দেওয়া

২৩০২। মুহাম্মদ ইবনু আবদু রাহীম আবূ ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি আবূ তালহার বাড়িতে লোকজনকে শরাব পান করাচ্ছিলাম। সে সময় লোকেরা ফাযীখ শরাব ব্যবহার করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে আদেশ করলেন, যেন সে এ মর্মে ঘোষণা দেয় যে, সাবধান, শরাব এখন থেকে হারাম করে দেওয়া হয়েছে। আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, বাইরে যাও এবং সমস্ত শরাব ঢেলে দাও। আমি বাইরে গেলাম এবং সমস্ত শরাব রাস্তায় ঢেলে দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, সে দিন মদিনার অলিগলিতে শরাবের প্লাবন বয়ে গিয়েছিল। তখন কেউ কেউ বলল, একদন লোক নিহত হয়েছে, অথচ তাদের পেটে শরাব ছিল। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা পূর্বে যা কিছু পানাহার করেছে তার জন্য তাদের কোন গুনাহ হবে না। (৫ঃ ৯৩)।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৬. ঘরের আঙ্গিনা ও তাতে বসা এবং রাস্তার উপর বসা।

وَقَالَتْعَائِشَةُفَابْتَنَىأَبُو بَكْرٍمَسْجِدًابِفِنَاءِدَارِهِ، يُصَلِّيفِيهِ، وَيَقْرَأُالْقُرْآنَفَيَتَقَصَّفُعَلَيْهِ نِسَاءُالْمُشْرِكِينَوَأَبْنَاؤُهُمْ،يَعْجَبُونَمِنْهُ، وَالنَّبِيُّصَلَّى اللَّهُعَلَيْهِ وَسَلَّمَيَوْمَئِذٍبِمَكَّةَ

আয়িশা (রাঃ) বলেন, আবু বকর (রাঃ) তার বাড়ীর আঙ্গিনায় মসজিদ বানালেন। সেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন ও কুরআন তেলওয়াত করতেন। এতে মুশরিকদের স্ত্রীরা ও তাদের সন্তানেরা তার কাছে ভীড় জমাতে লাগল। তারা আবু বকরের অবস্থা দেখে বিস্মিত হত। সে সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় ছিলেন।

________________________________________

২৩০৩। মুআয ইবনু ফাযাল (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা রাস্তার উপর বসা ছেড়ে দাও। লোকজন বলল, এ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। কেননা, এটাই আমাদের উঠাবসার জায়গা এবং এখানেই আমরা কথাবার্তা বলে থাকি। তিনি বলেন, যদি তোমাদের সেখানে বসতেই হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করবে। তারা বলল, রাস্তার হক কি? তিনি বললেন, দৃষ্টি অবনমিত রাখা, কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকা, সালামের জওয়াব দেওয়া, সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎকাজে নিষেধ করা।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৭. রাস্তায় কূপ খনন করা, যদি তাতে কারো কষ্ট না হয়

২৩০৪। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একদিন এক ব্যাক্তি রাস্তায় চলার পথে অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হল। তারপর একটি কুপ দেখতে পেয়ে তাতে সে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। উপরে উঠে এসে সে দেখতে পেলো, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে আর পিপাসার দরুন ভিজে মাটি চেটে খাচ্ছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, এ কুকুরটির তেমনি পিপাসা পেয়েছে, যেমনি আমার পিপাসা পেয়েছিল। তারপর সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজেরা মোজা পানি ভর্তি করে এনে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তার এ কাজ কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। সাহাবীগণ বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! পশুদের ব্যাপারেও কি আমাদের জন্য সাওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, প্রাণী মাত্রের সেবার মধ্যেই সাওয়াব রয়েছে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৯. ছাদ ইত্যাদির উপর উঁচু বা নীচু চিলেকোঠা ও কক্ষ নির্মাণ করা

بَابُإِمَاطَةِالأَذَى

وَقَالَهَمَّامٌ عَنْأَبِي هُرَيْرَةَرَضِيَ اللَّهُعَنْهُ عَنِالنَّبِيِّصَلَّى اللَّهُعَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُمِيطُ الأَذَىعَنِ الطَّرِيقِصَدَقَةٌ

১৫৪৮. পরিচ্ছেদঃ কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা।

হাম্মাম (রহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা সদকাস্বরূপ।

________________________________________

২৩০৫। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার এক টিলার উপর উঠে বললেন, আমি যা দেখছি তোমরা কি তা দেখতে পাচ্ছো? যে তোমাদের ঘরগুলোতে বৃষ্টি বর্ষণের মত ফিতনা বর্ষিত হচ্ছে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৯. ছাদ ইত্যাদির উপর উঁচু বা নীচু চিলেকোঠা ও কক্ষ নির্মাণ করা

২৩০৬। ইয়াহইযা ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের মধ্যে ঐ দু’সহধর্মিণী সম্পর্কে উমর (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করতে সব সময় আগ্রহী ছিলাম, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ যদি তোমরা দু’জনে তাওবা কর (তাহলে সেটাই হবে কল্যাণকর)। কেননা তোমাদের অন্তর বাঁকা হয়ে গেছে। একবার আমি তাঁর (উমর (রাঃ) এর) সঙ্গে হাজ্জে রওয়ানা করলাম। তিনি রাস্তা থেকে সরে গেলেন। আমিও একট পানির পাত্র নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতি পরিবর্তন করলাম। তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে এলেন। আমি পানির পাত্র থেকে তাঁর দু’হাতে পানি ঢাললাম, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন।

আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের মধ্যে দু’সহধর্মিনী কারা ছিলেন, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ যদি তোমরা দু’জন তাওবা কর (তবে সেটাই হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর) কেননা তোমাদের অন্তর বাঁকা হয়ে গেছে’।

তিনি বললেন, হে ইবনু আব্বাস! এটা তোমার জন্য তাজ্জবের বিষয় যে, তুমি তা জানো না। তারা দু’জন হলেন আয়িশা ও হাফসা (রাঃ) (অতঃপর উমর (রাঃ) পুরো ঘটনা বলতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, আমি ও আমার এক আনসারী প্রতিবেশী মদিনার অদূরে বনূ উমাইয়া ইবনু যায়দের মহল্লায় বসবাস করতাম। আমরা দু’জন পালাক্রমে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হতাম। একদিন তিনি যেতেন, আরেকদিন আমি যেতাম, আমি যেদিন যেতাম সে দিনের খবর (ওয়াহী) ইত্যাদি বিষয় তাঁকে অবহিত করতাম। আর তিনি যে দিন যেতেন, তিনিও অনুরূপ করতেন। আর আমরা কুরায়শ গোত্রের লোকেরা মহিলাদের উপর কর্তৃত্ব করতাম। কিন্তু আমরা যখন মদিনায় আনসারদের কাছে আসলাম তখন তাদেরকে এমন পেলাম, যাদের নারীরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করে থাকে।

ধীরে ধীরে আমাদের মহিলারাও আনসারী মহিলাদের রীতিনীতি গ্রহণ করতে লাগল। একদিন আমি আমার স্ত্রীকে ধমক দিলাম। সে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিউত্তর করল। তার এই প্রতিউত্তর আমার পছন্দ হল না। তখন সে আমাকে বলল, আমার প্রতিউত্তরে তুমি অসন্তুষ্ট হও কেন? আল্লাহর কসম! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীরাও তো তাঁর কথার প্রতিউত্তর করে থাকেন এবং তাঁর কোন কোন সহধর্মিণী রাত পর্যন্ত পুরো দিন তাঁর কাছ থেকে আলাদা থাকেন। একথা শুনে আমি ঘাবড়ে গেলাম। বললাম, যিনি এরূপ করেছেন তিনি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তারপর আমি জামা কাপড় পরে (আমার মেয়ে) হাফসা (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বললাম, হে হাফসা, তোমাদের কেউ কেউ নাকি রাত পর্যন্ত পুরো দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অসন্তুষ্ট রাখ?

সে বলল, হ্যাঁ। আমি বললাম, তবে তো সে বরবাদ এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তোমার কি ভয় হয় না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলে আল্লাহও অসন্তুষ্ট হবেন। এর ফলে তুমি বরবাদ হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বাড়াবাড়ি করো না এবং তাঁর কোন কথার প্রতিউত্তর দিও না এবং তাঁর থেকে পৃথক থেকেো না। তোমার কোন কিছুর দরকার হয়ে থাকলে আমাকে বলবে। আর তোমার প্রতিবেশী তোমার চাইতে অধিক সুন্দরী এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিক প্রিয় এ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে। তিনি উদ্দেশ্য করেছেন আয়িশা (রাঃ)-কে।

সে সময় আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছিলো যে, গাসসানের লোকেরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ঘোড়াগুলিকে প্রস্তুত করেছে। একদিন আমার সাথী তার পালার দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন এবং ইশার সময় এসে আমার দরজায় খুব জোরে করাঘাত করলেন এবং বললেন, তিনি [উমর (রাঃ)] কি ঘুমিয়েছেন? তখন আমি ঘাবড়িয়ে তাঁর কাছে বেরিয়ে এলাম। তিনি বললেন, সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে গেছে। আমি বললাম, সেটা কি? গাসসানের লোকেরা কি এসে গেছে? তিনি বললেন, না, বরং তার চাইতেও বড় ঘটনা ও বিরাট ব্যাপার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সহধর্মিণীদের তালাক দিয়েছেন। উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তো হাফসার সর্বনাশ হয়েছে এবং সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার তো ধারণা ছিল যে, এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। আমি কাপড় পরে বেরিয়ে এসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম।

সালাত (নামায/নামাজ) শেষে তিনি তাঁর কোঠায় প্রবেশ করে একাকী বসে থাকলেন। তখন আমি হাফসা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে দেখি সে কাঁদছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কাঁদছ কেন? আমি কি তোমাকে আগেই সতর্ক করে দেইনি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে তালাক দিয়েছেন? সে বলল, আমি জানিনা। তিনি তাঁর ঐ কোঠায় আছেন। আমি বের হয়ে মিম্বরের কাছে আসলাম, দেখি যে লোকজন মিম্বরের চারপাশ জুড়ে বসে আছেন এবং কেউ কাঁদছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বসলাম। তারপর আমার উদ্যোগ প্রবল হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোঠায় ছিলেন, আমি কোঠার কাছে আসলাম।

আমি তাঁর এক কালো গোলামকে বললাম, উমরের জন্য অনুমতি গ্রহণ কর। সে প্রবেশ করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আলাপ করে বেরিয়ে এসে বলল, আমি আপনার কথা তাঁর কাছে উল্লেখ করেছি, কিন্তু তিনি নীরব রইলেন। আমি ফিরে এলাম এবং মিম্বরের পাশে বসা লোকদের কাছে গিয়ে বসে পড়লাম।

কিছুক্ষণ পর আমার আবার উদ্বেগ প্রবল হল। তাই আমি আবার এসে গোলামকে বললাম। সে এসে আগের মতোই বলল। আমি আবার মিম্বরের কাছে উপবিষ্ট লোকদের সাথে গিয়ে বসলাম। তারপর আমার উদ্বেগ আবার প্রবল হল। আমি গোলামের কাছে এসে বললাম, (উমরের জন্য অনুমতি গ্রহণ কর) এবারও সে আগের মতই বলল।

তারপর যখন আমি ফিরে আসছিলাম, গোলাম আমাকে ডেকে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। এখন আমি তাঁর নিকট প্রবেশ করে দেখি, তিন খেজুরের পাতায় তৈরী ছোবড়া ভর্তি একটা চামড়ার বালিশে হেলান নিয়ে খালি চাটাই এর উপর কাত হয়ে শুয়ে আছেন। তাঁর শরীর ও চাটাই এর মাঝখানে কোন ফরাশ ছিলো না। ফলে তাঁর শরীরের পার্শ্বে চাটাইয়ের দাগ পড়ে গিয়েছে। আমি তাঁকে সালাম দিলাম এবং দাঁড়িয়েই আবার আরয করলাম আপনি কি আপনার সহধর্মিণীদেরকে তালাক দিয়েছেন? তখন তিনি আমার দিকে চোখ তুলে তাকালেন এবং বললেন, না। তারপর আমি (থমথমে ভাব কাটিয়ে) অনুকূলভাব সৃষ্টির জন্য দাঁড়িয়ে থেকেই বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেখুন, আমরা কুরায়েশ গোত্রের লোকেরা নারীদের উপর কর্তৃত্ব করতাম। তারপর যখন আমরা এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট এলাম, যাদের উপর তাদের নারীরা কর্তৃত্ব করছে। তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করলেন। এতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাঁসলেন।

তারপর আমি বললাম, আপনি হয়তো লক্ষ্য করছেন, আমি হাফসার ঘরে গিয়েছি এবং তাকে বলেছি, তোমাকে একথা যেন ধোঁকায় না ফেলে যে, তোমার প্রতিবেশীণী (সতীন) তোমার চাইতে অধিক আকর্ষণীয় এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিক প্রিয়। এ কথা দ্বারা তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বুঝিয়েছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার মুচকি হাঁসলেন। তাঁকে একা দেখে আমি বসে পড়লাম। তারপর আমি তাঁর ঘরের ভিতর এদিক সেদিক দৃষ্টি করলাম। কিন্তু তাঁর ঘরে তিনটি কাঁচা চামড়া ব্যতীত দৃষ্টিপাত করার মত আর কিছুই দেখতে পেলাম না, তখন আমি আরয করলাম, আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ করুন, তিন যেন আপনার উম্মাতকে পার্থিব স্বচ্ছলতা দান করেন। কেননা পারস্য ও রোমের অধিবাসীদেরেকে স্বচ্ছলতা দান করা হয়েছে এবং তাদেরকে পার্থিব (অনেক প্রাচুর্য) দেওয়া হয়েছে, অথব তারা আল্লাহর ইবাদত করে না। তিনি তখন হেলান দিয়ে ছিলেন।

তিনি বললেন, হে ইবনু খাত্তাব, তোমার কি এতে সন্দেহ রয়েছে যে, তারা তো এমন এক জাতি, যাদেরকে তাদের ভাল কাজের প্রতিদান দুনিয়ার জীবনেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য ক্ষমা করার দু’আ করুন। হাফসা (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) এর কাছে এ কথা প্রকাশ করলেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণীদের থেকে আলাদা হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল্লাহর কসম! আমি একমাস তাদের কাছে যাবো না। তাঁদের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভীষণ রাগের কারণেই তা হয়েছিল। যেহেতু আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

যখন ঊনত্রিশ রাত কেটে গেলো, তিন সর্বপ্রথম আয়িশা (রাঃ) এর কাছে এলেন। আয়িশা (রাঃ) তাঁকে বললেন, আপনি কসম করেছেন যে, এক মাসের মধ্যে আমাদের কাছে আসবেন না। আর এ পর্যন্ত আমরা ঊনত্রিশ রাত অতিবাহিত করেছি, যা আমি ঠিক ঠিক গণনা করে রেখেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। আর মূলতঃ এ মাসটি ঊনত্রিশ দিনেরই ছিল। আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন ইখতিয়ারে আয়াত নাযিল হল, তখন তিনি তাঁর সহধর্মিণীদের মধ্যে সর্বপ্রথম আমার কাছে আসলেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একটি কথা বলতে চাই, তবে তোমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ না করে এর জওয়াবে তাড়াহুড়া করবে না।

আয়িশা (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা জানতেন যে, আমার পিতা মাতা তাঁর থেকে আলাদা হওয়ার পরামর্শ আমাকে কখনো দিবেন না। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে নাবী, আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন ...... মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। (৩৩ঃ ২৮,২৯)। আমি বললাম, এ ব্যাপারে আমি আমার পিতামাতার কাছে কি পরামর্শ নিব? আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি এবং পরকালীন (সাফল্য) পেতে চাই। তারপর তিনি তাঁর অন্য সহধর্মিণীদেরকেও ইখতিয়ার দিলেন এবং প্রত্যেকে সে একই জবাব দিলেন, যা আয়িশা (রাঃ) দিয়েছিলেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৪৯. ছাদ ইত্যাদির উপর উঁচু বা নীচু চিলেকোঠা ও কক্ষ নির্মাণ করা

২৩০৭। ইবনু সালাম (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস তাঁর সহধর্মিণীদের কাছে যাবেন না বলে কসম করেন। এ সময় তাঁর পা মচকে গিয়েছিলো। তাই তিনি একটি চিলেকোঠায় অবস্থান করেন। একদিন উমর (রাঃ) এসে বললেন, আপনি কি আপনার সহধর্মিণীদের তালাক দিয়েছেন? তিনি বললেন, না তবে আমি একমাস তাদের কাছে যাবো না; বলে আমি কসম করেছি। তিনি উনত্রিশ দিন সেখানে অবস্থান করেন এরপর তিনি অবতরণ করলেন এবং নিজের সহধর্মিণীদের কাছে আসেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫০. যে তার উট মসজিদের আঙ্গিনায় কিংবা মসজিদের দরজায় বেঁধে রাখে

২৩০৮। মুসলিম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। আমি উটটাকে মসজিদের আঙ্গিনার পাশে বেঁধে রেখে তাঁর কাছে গেলাম এবং বললাম, এটা আপনার উট। তিনি বেরিয়ে এলেন এবং উটের পাশে ঘুরাফিরা করতে লাগলেন। তারপর বললেন, উট ও তার মূল্য দু’টোই তোমার।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫১. লোকজনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে দাঁড়ানো ও পেশাব করা

২৩০৯। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি। (রাবী বলেন) অথবা তিন বলেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন লোকদের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে এরপর তিনি দাঁড়িয়ে পেশাব করলে। (বিশেষ কারণে)।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫২. যে ব্যক্তি ডালপালা এবং মানুষকে কষ্ট দেয় এমন বস্তু রাস্তা থেকে তুলে তা অন্যত্র ফেলে দেয়

২৩১০। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ব্যাক্তি রাস্তা দিয়ে চলার সময় কাঁটাদার গাছের একটি ডাল রাস্তায় পেল, তখন সেটাকে রাস্তা থেকে অপসারণ করল, আল্লাহ তার এ কাজকে কবূল করলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৩. লোকজনের চলাচলের প্রশস্ত রাস্তায় মালিকরা কোন কিছু নির্মাণ করতে চাইলে এবং এতে মতানৈক্য করলে রাস্তার জন্য সাত হাত জায়গা ছেড়ে দিবে

২৩১১। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মালিকেরা রাস্তার ব্যাপারে পরস্পর বিবাদ করল, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তার জন্য সতা হাত জমি ছেড়ে দেওয়ার ফয়সালা দেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৪. মালিকের অনুমতি ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া। উবাদা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর কাছে এ মর্মে বায়আত করেছি যে, আমরা লুটপাট করব না

২৩১২। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... ‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) বলেন, তিনি তাঁর নানা আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুটতারাজ করতে এবং জীবকে বিকলাঙ্গ করতে নিষেধ করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৪. মালিকের অনুমতি ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া। উবাদা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর কাছে এ মর্মে বায়আত করেছি যে, আমরা লুটপাট করব না

২৩১৩। সাঈদ ইবনু উফায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। কোন মদ্যপায়ী মু'মিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোন চোর মু'মিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন লুটতরাজকারী মু’মিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে।

সাঈদ ও আবূ সালাম আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত, তবে তাতে লুটতরাজের উল্লেখ নেই। ফিরাবরী (রহঃ) বলেন, আমি আবূ জা’ফর (রহঃ) এর লেখা পান্ডুলিপিতে পেয়েছি যে, আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, এর অর্থ হল, তার থেকে ঈমানের নূর ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৫. ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলা ও শূকর হত্যা করা

২৩১৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ইবনু মারয়াম [ঈসা (আঃ)] তোমাদের মাঝে ন্যায়বিচারক হয়ে অবতরণ না করা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। তিনি এসে ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন এবং জিযয়া কর তুলে দিবেন। তখন ধন-সম্পদের এত প্রাচুর্য হবে যে, তা গ্রহণ করার মত কেউ থাকবে না।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৬. যে মটকায় মদ রয়েছে, তা কি ভেঙ্গে ফেলা হবে অথবা মশকে ছিদ্র করা হবে কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দিয়ে মূর্তি কিংবা ক্রুশ বা তান্বুরা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে। শুরাইহ (রহঃ) এর কাছে তান্বুরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য মামলা দায়ের করা হলে তিনি এর জন্য কোন জরিমানার ফয়সালা দেন নি।

২৩১৫। আবূ আসিম যাহহাক ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধে আগুন প্রজ্বলিত দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, এ আগুন কেন জ্বালানো হচ্ছে? সাহাবীগণ বললেন, গৃহপালিত গাধার গোশত রান্না করার জন্য। তিনি বললেন, পাত্রটি ভেঙ্গে দাও এবং গোশত ফেলে দাও। তাঁরা বললেন, আমরা গোশত ফেলে দিয়ে পাত্রটি ধুয়ে নিব কি? তিনি বললেন, ধুয়ে নাও।

আবূ আবদুল্লাহ (বুখারী) (রহঃ) বলেন, ইবনু আবূ উয়াইস বললেন যে,الأنسية শব্দটি আলিফ ও নুনে যবর হবে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৬. যে মটকায় মদ রয়েছে, তা কি ভেঙ্গে ফেলা হবে অথবা মশকে ছিদ্র করা হবে কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দিয়ে মূর্তি কিংবা ক্রুশ বা তান্বুরা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে। শুরাইহ (রহঃ) এর কাছে তান্বুরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য মামলা দায়ের করা হলে তিনি এর জন্য কোন জরিমানার ফয়সালা দেন নি।

২৩১৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (বিজয়ীর বেশে) মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন কা’বা শরীফের চারপাশে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতের লাঠি দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে থাকেন আর বলতে থাকেনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, (আয়াতের শেষ পর্যন্ত (১৭ঃ ৮১)।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৬. যে মটকায় মদ রয়েছে, তা কি ভেঙ্গে ফেলা হবে অথবা মশকে ছিদ্র করা হবে কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দিয়ে মূর্তি কিংবা ক্রুশ বা তান্বুরা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে। শুরাইহ (রহঃ) এর কাছে তান্বুরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য মামলা দায়ের করা হলে তিনি এর জন্য কোন জরিমানার ফয়সালা দেন নি।

২৩১৭। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার (কামরার) তাকের সম্মুখে একটি পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন, যাতে ছিল প্রাণীর ছবি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ছিড়ে ফেললেন। এরপর আয়িশা (রাঃ) তা দিয়ে দু’খানা গদি তৈরী করেন। এই গদি দু’খানা ঘরেই ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর বসতেন।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৭. মাল রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়

২৩১৮। আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে দিয়ে নিহত হয়, সে শহীদ।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৮. যদি কেউ অন্য কারুর পিয়ালা বা কোন জিনিস ভেঙ্গে ফেলে

২৩১৯। মুসাদ্দদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন সহধর্মিণীর কাছে ছিলেন। উম্মুল মু’মিনীনদের অপর একজন খাদিমের মারফত এক পাত্রে খাবার পাঠালেন। তিনি তার হাতের আঘাতে পাত্রটি ভেঙ্গে ফেলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জোড়া লাগিয়ে তাতে খাবার রাখলেন এবং (সাথীদেরকে) বললেন, তোমরা খাও। যে পর্যন্ত তাঁরা খাওয়া শেষ না করলেন, সে পর্যন্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাত্রটি ও প্রেরিত খাদেমকে আটকিয়ে রাখলেন। তারপর তিনি ভাঙ্গা পাত্রটি রেখে দিয়ে একটি ভাল পাত্র ফেরত দিলেন।

ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে।

পরিচ্ছেদঃ ১৫৫৯. যদি কেউ (কারো) দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে, তা হলে সে অনুরূপ দেয়াল তৈরি করে দিবে

২৩২০। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বনী ইসরাঈলের মধ্যে জুরায়জ নামক একজন লোক ছিলেন। একদিন তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন। এমন সময় তাঁর মা তাকে ডাকলেন। কিন্তু তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন না। তিনি বললেন, সালাত আদায় করব, না কি তার জবাব দেব। তারপর মা তাঁর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তাকে মৃত্যু দিও না যে পর্যন্ত তুমি তাকে কোন বেশ্যার মুখ না দেখাও।

একদিন জুরায়জ তার ইবাদত খানায় ছিলেন। এমন সময় এক মহিলা বললেন, আমি জুরায়জকে ফাসিয়ে ছাড়ব। তখন সে তার নিকট গেল এবং তার সাথে কথাবার্তা বলল। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। তারপর সে মহিলা এক রাখালের কাছে এসে স্বেচ্ছায় নিজেকে তার হাতে সঁপে দিল। তার কিছুদিন পর সে একটি ছেলে প্রসব কর। তখন সে বলে বেড়াতে লাগল যে, এ ছেলে জুরায়জের! একথা শুনে লোকেরা জুরায়জের নিকট এলো এবং তার ইবাদতখানা ভেঙ্গে তাকে বের করে দিল এবং তাকে গালিগালাজ করল।

এরপর তিনি (জুরায়জ) উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি ছেলেটির কাছে এসে বললেন, হে ছেলে, তোমার পিতা কে? সে জবাব দিল, রাখাল। তখন লোকেরা বলল, আমরা তোমার ইবাদত খানাটি সোনা দিয়ে তৈরী করে দিব। জুরায়জ বললেন, না মাটি দিয়েই তৈরী করে দাও। (যেমনটা পূর্বে ছিল)।

নাম

আর্টিকেল,25,ডাউনলোড,1,বুখারী,81,মাসায়ালা,16,মুসলিম,54,
ltr
item
সহী আকীদা: জুলুম ও কিসাস
জুলুম ও কিসাস
সহী আকীদা
https://soheeaqida.blogspot.com/2020/09/blog-post_22.html
https://soheeaqida.blogspot.com/
http://soheeaqida.blogspot.com/
http://soheeaqida.blogspot.com/2020/09/blog-post_22.html
true
2725583972515071055
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy