ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑﻲ ﻋَﺒﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋُﺜﻤَﺎﻥَ ﺑﻦِ ﺃَﺑﻲ ﺍﻟﻌَﺎﺹِ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃَﻧَّﻪُ ﺷَﻜَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ ﻭَﺟَﻌﺎً ﻳَﺠِﺪُﻩُ ﻓﻲ ﺟَﺴَﺪِﻩِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ : « ﺿَﻊْ ﻳَﺪَﻙَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺄﻟَﻢُ ﻣِﻦْ ﺟَﺴَﺪِﻙَ ﻭَﻗُﻞْ : ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺛَﻼﺛﺎً، ﻭَﻗُﻞْ ﺳَﺒْﻊَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌِﺰَّﺓِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃﺟِﺪُ ﻭَﺃُﺣَﺎﺫِﺭُ ». ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ আবূ আব্দুল্লাহ ‘উসমান ইবনে আবুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ঐ ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি তার দেহে অনুভব করছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, ‘‘তুমি তোমার দেহের ব্যথিত স্থানে হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ এবং সাতবার ‘আ‘উযু বি‘ইয্যাতিল্লাহি অক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা আজিদু অউহাযিরু’ বল।’’ অর্থাৎ আল্লাহর ইজ্জত এবং কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি এবং যা থেকে আমি ভয় করছি। (মুসলিম)
ﻭَﻋَﻦِ ﺍﺑﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨﻬُﻤَﺎ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﷺ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻣَﺮِﻳﻀﺎً ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﻀُﺮْﻩُ ﺃَﺟَﻠُﻪُ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺳَﺒْﻊَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ: ﺃَﺳْﺄَﻝُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢَ، ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺃَﻥْ ﻳَﺸْﻔِﻴَﻚَ، ﺇِﻻَّ ﻋَﺎﻓَﺎﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﻤَﺮَﺽِ » . ﺭﻭﺍﻩ ﺃَﺑُﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : « ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ » ، ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ : « ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻋَﻠَﻰ ﺷﺮﻁ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দো‘আটি বলবে, ‘আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্ফিয়াক’ (অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি), আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাসান সূত্রে, হাকেম, বুখারীর শর্তে সহীহ সূত্রে)
ﻭَﻋَﻨْﻪ : ﺃﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﷺ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻋْﺮَﺍﺑِﻲٍّ ﻳَﻌُﻮْﺩُﻩُ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻳَﻌُﻮْﺩُﻩُ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻻَ ﺑَﺄﺱَ ؛ ﻃَﻬُﻮﺭٌ ﺇﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠﻪُ ». ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক পীড়িত বেদুঈনের সাক্ষাতে গেলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন, ‘‘লা-বা’স, ত্বাহুরুন ইনশাআল্লাহ।’’ অর্থাৎ কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে ইন শাআল্লাহ। (বুখারী)
ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪﺭِﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃَﻥَّ ﺟِﺒﺮِﻳﻞَ ﺃﺗَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒﻲَّ ﷺ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ، ﺍﺷْﺘَﻜَﻴْﺖَ ؟ ﻗَﺎﻝَ : «ﻧَﻌَﻢْ » ﻗَﺎﻝَ : ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠﻪ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ، ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻳُﺆْﺫِﻳﻚَ، ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻴْﻦِ ﺣَﺎﺳِﺪٍ، ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﺸْﻔِﻴﻚَ، ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃُﺭﻗِﻴﻚَ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, জিবরীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ।’’ জিবরীল তখন এই দো‘আটি পড়লেন, ‘বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীকা, অমিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ ‘আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীকা, বিসমিল্লা- হি আরক্বীকা।’ অর্থাৎ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি। (মুসলিম)
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨﻬَﺎ : ﺃﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒﻲَّ ﷺ، ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺷْﺘَﻜَﻰ ﺍﻹﻧْﺴَﺎﻥُ ﺍﻟﺸَّﻲْﺀَ ﻣِﻨْﻪُ، ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺑِﻪِ ﻗَﺮْﺣَﺔٌ ﺃَﻭْ ﺟُﺮْﺡٌ، ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒﻲُّ ﷺ ﺑِﺄُﺻْﺒُﻌِﻪِ ﻫﻜَﺬﺍ – ﻭَﻭَﺿَﻊَ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﻋُﻴَﻴْﻨَﺔ ﺍﻟﺮَّﺍﻭﻱ ﺳَﺒَّﺎﺑَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻷَﺭْﺽِ ﺛُﻢَّ ﺭَﻓَﻌَﻬﺎ- ﻭَﻗَﺎﻝَ : «ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﺗُﺮْﺑَﺔُ ﺃﺭْﺿِﻨَﺎ، ﺑِﺮِﻳﻘَﺔِ ﺑَﻌْﻀِﻨَﺎ، ﻳُﺸْﻔَﻰ ﺑِﻪِ ﺳَﻘِﻴﻤُﻨَﺎ، ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ». ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিজের কোন অসুস্থতার অভিযোগ করত অথবা (তার দেহে) কোন ফোঁড়া কিংবা ক্ষত হত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ আঙ্গুল নিয়ে এ রকম করতেন। (হাদীসের রাবী) সুফ্য়ান তাঁর শাহাদত আঙ্গুলটিকে যমীনের উপর রাখার পর উঠালেন। (অর্থাৎ তিনি এভাবে মাটি লাগাতেন।) অতঃপর দো‘আটি পড়তেনঃ ‘বিসমিল্লাহি তুরবাতু আরদ্বিনা, বিরীক্বাতি বা’যিবনা, য়্যুশফা বিহী সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা।’ অর্থাৎ আল্লাহর নামের সঙ্গে আমাদের যমীনের মাটি এবং আমাদের কিছু লোকের থুতু মিশ্রিত করে (ফোঁড়াতে) লাগালাম। আমাদের প্রতিপালকের আদেশে এর দ্বারা আমাদের রুগী সুস্থতা লাভ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ﻭَﻋَﻨْﻬﺎ : ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌُﻮﺩُ ﺑَﻌْﺾَ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﻳَﻤْﺴَﺢُ ﺑِﻴﺪِﻩِ ﺍﻟﻴُﻤْﻨَﻰ، ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : « ﺍَﻟﻠﻬﻢ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﺃَﺫْﻫِﺐِ ﺍﻟﺒَﺄﺱَ، ﺍِﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ ﻻَ ﺷِﻔَﺎﺀَ ﺇِﻻَّ ﺷِﻔَﺎﺅُﻙَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤﺎً » . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পরিবারের কোন রোগী-দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দো‘আটি পড়তেন, ‘‘আযহিবিল বা’স, রাববান্না-স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﺜَﺎﺑِﺖٍ ﺭَﺣِﻤَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ : ﺃَﻻَ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ ﺑِﺮُﻗْﻴَﺔِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﻠَﻰ، ﻗَﺎﻝَ : « ﺍَﻟﻠﻬﻢ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﻣُﺬْﻫِﺐَ ﺍﻟﺒَﺄﺱِ، ﺍِﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ، ﻻَ ﺷَﺎﻓِﻲَ ﺇِﻻَّ ﺃﻧْﺖَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤﺎً ». ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ)কে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, ‘অবশ্যই।’ আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এই দো‘আ পড়লেন, ‘‘আল্লাহুম্মা রাববান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা- ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা- দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। (বুখারী)
হজরত আইউব আলাইহিস সালাম দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলে সবকিছুই তার শেষ হয়ে যায়। এ অসহায় অবস্থায় তিনি এ দোয়া করেছিলেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে পূর্বের ন্যায় সব কিছুই ফিরিয়ে দেন।
رَبِّ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ- রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রা'হিমিন।
অর্থ- হে আমার প্রভু! আমি দুঃখে কষ্টে পতিত হয়েছি, তুমিইতো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৩)
ﻭَﻋَﻦِ ﺍﺑﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨﻬُﻤَﺎ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﷺ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻣَﺮِﻳﻀﺎً ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﻀُﺮْﻩُ ﺃَﺟَﻠُﻪُ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺳَﺒْﻊَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ: ﺃَﺳْﺄَﻝُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢَ، ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺃَﻥْ ﻳَﺸْﻔِﻴَﻚَ، ﺇِﻻَّ ﻋَﺎﻓَﺎﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﻤَﺮَﺽِ » . ﺭﻭﺍﻩ ﺃَﺑُﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : « ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ » ، ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ : « ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻋَﻠَﻰ ﺷﺮﻁ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দো‘আটি বলবে, ‘আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্ফিয়াক’ (অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি), আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাসান সূত্রে, হাকেম, বুখারীর শর্তে সহীহ সূত্রে)
ﻭَﻋَﻨْﻪ : ﺃﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﷺ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻋْﺮَﺍﺑِﻲٍّ ﻳَﻌُﻮْﺩُﻩُ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻳَﻌُﻮْﺩُﻩُ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻻَ ﺑَﺄﺱَ ؛ ﻃَﻬُﻮﺭٌ ﺇﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠﻪُ ». ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক পীড়িত বেদুঈনের সাক্ষাতে গেলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন, ‘‘লা-বা’স, ত্বাহুরুন ইনশাআল্লাহ।’’ অর্থাৎ কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে ইন শাআল্লাহ। (বুখারী)
ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪﺭِﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃَﻥَّ ﺟِﺒﺮِﻳﻞَ ﺃﺗَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒﻲَّ ﷺ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ، ﺍﺷْﺘَﻜَﻴْﺖَ ؟ ﻗَﺎﻝَ : «ﻧَﻌَﻢْ » ﻗَﺎﻝَ : ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠﻪ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ، ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻳُﺆْﺫِﻳﻚَ، ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻴْﻦِ ﺣَﺎﺳِﺪٍ، ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﺸْﻔِﻴﻚَ، ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃُﺭﻗِﻴﻚَ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, জিবরীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ।’’ জিবরীল তখন এই দো‘আটি পড়লেন, ‘বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীকা, অমিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ ‘আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীকা, বিসমিল্লা- হি আরক্বীকা।’ অর্থাৎ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি। (মুসলিম)
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨﻬَﺎ : ﺃﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒﻲَّ ﷺ، ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺷْﺘَﻜَﻰ ﺍﻹﻧْﺴَﺎﻥُ ﺍﻟﺸَّﻲْﺀَ ﻣِﻨْﻪُ، ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺑِﻪِ ﻗَﺮْﺣَﺔٌ ﺃَﻭْ ﺟُﺮْﺡٌ، ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒﻲُّ ﷺ ﺑِﺄُﺻْﺒُﻌِﻪِ ﻫﻜَﺬﺍ – ﻭَﻭَﺿَﻊَ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﻋُﻴَﻴْﻨَﺔ ﺍﻟﺮَّﺍﻭﻱ ﺳَﺒَّﺎﺑَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻷَﺭْﺽِ ﺛُﻢَّ ﺭَﻓَﻌَﻬﺎ- ﻭَﻗَﺎﻝَ : «ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﺗُﺮْﺑَﺔُ ﺃﺭْﺿِﻨَﺎ، ﺑِﺮِﻳﻘَﺔِ ﺑَﻌْﻀِﻨَﺎ، ﻳُﺸْﻔَﻰ ﺑِﻪِ ﺳَﻘِﻴﻤُﻨَﺎ، ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ». ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিজের কোন অসুস্থতার অভিযোগ করত অথবা (তার দেহে) কোন ফোঁড়া কিংবা ক্ষত হত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ আঙ্গুল নিয়ে এ রকম করতেন। (হাদীসের রাবী) সুফ্য়ান তাঁর শাহাদত আঙ্গুলটিকে যমীনের উপর রাখার পর উঠালেন। (অর্থাৎ তিনি এভাবে মাটি লাগাতেন।) অতঃপর দো‘আটি পড়তেনঃ ‘বিসমিল্লাহি তুরবাতু আরদ্বিনা, বিরীক্বাতি বা’যিবনা, য়্যুশফা বিহী সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা।’ অর্থাৎ আল্লাহর নামের সঙ্গে আমাদের যমীনের মাটি এবং আমাদের কিছু লোকের থুতু মিশ্রিত করে (ফোঁড়াতে) লাগালাম। আমাদের প্রতিপালকের আদেশে এর দ্বারা আমাদের রুগী সুস্থতা লাভ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
ﻭَﻋَﻨْﻬﺎ : ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌُﻮﺩُ ﺑَﻌْﺾَ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﻳَﻤْﺴَﺢُ ﺑِﻴﺪِﻩِ ﺍﻟﻴُﻤْﻨَﻰ، ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : « ﺍَﻟﻠﻬﻢ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﺃَﺫْﻫِﺐِ ﺍﻟﺒَﺄﺱَ، ﺍِﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ ﻻَ ﺷِﻔَﺎﺀَ ﺇِﻻَّ ﺷِﻔَﺎﺅُﻙَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤﺎً » . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পরিবারের কোন রোগী-দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দো‘আটি পড়তেন, ‘‘আযহিবিল বা’স, রাববান্না-স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﺜَﺎﺑِﺖٍ ﺭَﺣِﻤَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ : ﺃَﻻَ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ ﺑِﺮُﻗْﻴَﺔِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﻠَﻰ، ﻗَﺎﻝَ : « ﺍَﻟﻠﻬﻢ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﻣُﺬْﻫِﺐَ ﺍﻟﺒَﺄﺱِ، ﺍِﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ، ﻻَ ﺷَﺎﻓِﻲَ ﺇِﻻَّ ﺃﻧْﺖَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤﺎً ». ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ)কে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, ‘অবশ্যই।’ আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এই দো‘আ পড়লেন, ‘‘আল্লাহুম্মা রাববান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা- ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা- দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। (বুখারী)
হজরত আইউব আলাইহিস সালাম দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলে সবকিছুই তার শেষ হয়ে যায়। এ অসহায় অবস্থায় তিনি এ দোয়া করেছিলেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে পূর্বের ন্যায় সব কিছুই ফিরিয়ে দেন।
رَبِّ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ- রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রা'হিমিন।
অর্থ- হে আমার প্রভু! আমি দুঃখে কষ্টে পতিত হয়েছি, তুমিইতো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৩)