اللہ عَزَّوَجَلَّ যতগুলো নাম আছে সব নামকেই ইসমে আযম বলা হয়। এখন সবার জন্য ইসমে আযম আলাদা আলাদা ভাবে আছে। যদি কেউ নিজের নামের ইসমে আযম জানতে চায় তাহলে তার তরীকা হল এই নিজের নামের অক্ষরগুলোকে আবজাদকামরী থেকে যে সংখ্যা হাসিল হবে এই সংখ্যা অনুযায়ী اسماء الحسنٰی থেকে একটি নাম বা দুটি নাম বা এর বেশি যার সংখ্যা নিজের নামের সংখ্যার সাথে মিলে যাবে তারপর দেখতে হবে যে নিজের নামের প্রথম অক্ষরটি ও اسماء الحسنٰی প্রথম অক্ষর এক হতে হবে। যদি এক রকম اسماء الحسنٰی বের হয়ে যায় সেটি ঐ লোকের জন্য اسماء الحسنٰی ইসমে আযম বলা যাবে। এটি একটি উদাহরন দিয়ে বুঝায়। মনে করেন আমার নাম আসলাম রাযা যেটির আবজাদকামরী সংখ্যা থেকে ১১৩২ সংখ্যা হয়। যার اسماء الحسنٰی
یا اللہ یا ولی یا عظیم ইয়া আল্লাহু, ইয়া ওয়ালিও, ইয়া আযিমো এটিকে ইসমে আযম বলা হয় যার সংখ্যাও ১১৩২। আর اللہ عَزَّوَجَلَّ প্রথম অক্ষরটি আলিফ থেকে শুরু হয়, আর আসলাম রাযার প্রথম অক্ষরটি আলিফ থেকে শুরু হয়। দুটি একই মেজাজেরহুরুফ হলো। এভাবে যে ইসমে আযম তৈরি করে পড়া যাবে সেটি অনেক ফল দায়ক হবে। আর রিযাত হবে না। ইসমে আযম পড়ার তরীকা- অনেক ভাবে পড়ার তরীকা আছে। যেখান থেকে দুইটি সহজ তরীকা দেওয়া হলো।
তরীকা (১)نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم
আবজাদকামরীর সংখ্যা অনুযায়ী আমার নামের সংখ্যা হল ১১৩২, আর اسماء الحسنٰی সংখ্যা হলো ১১৩২। প্রত্যেক দিন ১১৩২ বার পড়তে হবে।
তরীকা (২)
আবজাদকামরী সংখ্যা অনুযায়ী ১১৩২ কে যখন দিগুন করা হয় তখন এর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ২২৬৪, তাহলে ২২৬৪ বার পড়তে হবে। প্রথম তরীকা থেকে দ্বিতীয় তরীকা বেশি শক্তিশালী এটার ফজিলতও বেশী। ইসমে আযম ও যে কোন দোয়া মনোকামনা করার জন্য পড়ার আগে পড়ে দরুদ শরীফ অবশ্যই অবশ্যই পড়তে হবে।
ইসমে আযমের সাথে দরুদ শরীফ পড়ার গোপনীয় তরীকা
আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। আসা করি এই তরীকা আপনাকে বই পত্রতে পাওয়া যাবে না। এটি আমার জাতি তরীকা যেটি আমলের মাধ্যমে এহলামে বা বাশারতে পাওয়া যায়। আর এই বাশারতটি পাওয়ার জন্য অনেক যিকির আযকার করতে হয়। আর কামেল পীর ও মুরশীদের নজর থাকা লাগে। তা না হলে এটা সম্ভব নয়। এখন দরুদ শরীফ পড়ার একটি তরীকা আপনাকে দেওয়া হলো, যেটি সাধারণত তরীকা দরুদ শরীফ পাঠ করার এটি হলো যে কোন দোয়া পড়ার আগে এবং পরে ৩ বার ৭ বার অথবা ১১ বার দরুদ শরীফ পড়তে হয়।
দ্বিতীয় বিশেষ তরীকা বাশারতি
এটি তরীকা হলো এই যে, নামের সংখ্যা ১১৩২ হল, এটাকে মুফরাদাত করে নিতে হবে। মুফরাদাত করার তরীকা ১১৩২=১+১+৩+২+=৭ মুফরাদাতে আমাদের সংখ্যা (৭) হল। ৭ বার দরুদ শরীফ পড়তে হবে। এই ৭ বার দরুদ শরীফ পড়লে আগে ও পরে এটি ইসমে আযম শরীফের ক্বলবী দরুদ শরীফ হয়ে যাবে।
আসমাউল হুসনার সামান্য কিছু ফলাফল দেওয়া হল:
(ইয়াহু یا ھو ) আসমাউল হুসনার ব্যবপারে তানবীরুল আসমাতে লেখা আছে যে, এটি ইসমে আযম খাস। আর আসমাউল হুসনার এটি প্রথম নাম। যদি কোন ব্যক্তি ২৯বার পড়ে তাহলে দোযখের আগুন তার উপরে হারাম করে দেওয়া হবে। আর যার মন আ্খিরাতের হিসাব কিতাব থেকে ভয়ে কাঁপে তাহলে সে ব্যক্তি (আল্লাহু یا اللہ ) যিকির করলে হাশরে তার মন শান্তিময় থাকবে। (আনওয়ারুল আউলিয়া) আনওয়ারুল আসমায়ে লেখা আছ نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন ব্যক্তি বৃহস্পতিবারের দিন রোজা রাখে আর চিনামাটির বাটিতে (লা- ইলাহা ইল্লাহু) লিখে বর্ষার পানি থেকে ধুয়ে এই পানি থেকে ইফতার করিলে যে, ব্যক্তির ভুলে যাওয়া অভ্যাস আছে সে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তির উপরে যাদুমন্ত্র দ্বারা ক্ষতি করা হয়েছে এই পানিটি খেলে ভালো হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি এই ইসমে আযমটি লিখে নিজের কাছে রাখবে সে ব্যক্তি দুনিয়ার সব বিপদ এবং শত্রু থেকে মুক্তি পাবে এবং সম্মান বৃদ্ধি হবে। যদি কোন ব্যক্তি একটানা বসে ( یا اللہ ھو ইয়া আল্লা ইয়াহু) ১২০০০ হাজার বার পড়বে সে ব্যক্তির জন্য জ্বিন , মানুষ পশু ও পাখি, আকাশ ও বাতাস আল্লাহ পাকের যত মাখলুক দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন সবটি মুশ্বাখখির ও কাবু হয়ে যাবে। আর যে, ব্যক্তি উলুমে মুখফিয়াত শিখার আগ্রহ রাখেন তাহলে সে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ১২০০০ হাজার বার পড়িলে اللہ عز وجل গ্যায়েব থেকে সে ব্যক্তির রুহানি বিদ্যা হাসিল করতে পারবেন। ( یا اللہ ইয়া আল্লাহু)
اللہ عز وجل নামের ভিতরে এই নামটি সব নামের মূল অংশ তানবীরুল আসমায়ে লেখা আছে। যে, ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ১০০০ হাজার বার ( یا اللہ ھو ইয়া আল্লাহ) পড়বে সে মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে, সাহেবে দালায়েল এরশাদ করেন যে কেউ প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ বার পড়বে সে সাহেবে বাতিন ও ক্বাশফ হয়ে যাবে। যে, কেউ ৩১২৫ বার লিখে আটার ভিতরে গুলি বানিয়ে নদী তে ফেলে দিবে একটানা ৪০ দিন যে, কোন মনোকামনা থাকলে সেটি পূর্ন হয়ে যাবে। এ আমলটি করার আগে অবশ্যই কোন রুহানি আমিলের দ্বারা এজাজত নিতে হবে।
( یا رحمن ইয়া রাহমানো)
যে, ব্যক্তি নিজের অলসতার কারণে নিজের জীবনের উপর জুলুম করছেন আর নামাজ রোজা ঠিক মতো আদায় করতে পারছেন না। তারা যদি প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ শতবার (ইয়া রাহমানো) পড়েন তাহলে অলসতা শেষ হয়ে যাবে। ইহকাল ও পরকালের আমল ভালো হয়ে যাবে। যে ছেলে ও মেয়ে পড়ালেখা করতে চায় না বা পড়ালেখায় মন বসে না তাহলে বাসার কোন অভিভাবক প্রত্যেক নামাজের পরে ২৯৮ বার (ইয়া রাহমানো) পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ পানিটি খাওয়ালে বাচ্চার পড়ালেখায় মন বসা শুরু হয়ে যাবে। সাহেবে দালায়েল এরশাদ করেন যে কেউ ফজরের নামাজের পরে ২৯৮ বার (ইয়া রাহমানো) পড়বে,
اللہ عز وجل রহমত তার উপরে নাযিল হইবে। আর মনের ময়লা দূর হয়ে যাবে। যদি কারো মৃগি রোগ থাকে বা যদি কোন মৃগি রোগী রোগের সময় ছটপট করে তাহলে এক নিশ্বাসে ৪০ বার (ইয়া রাহমানো) পড়ে রোগীর কানে ফুঁ দিয়ে দিলে মৃগি রোগী সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান ফিরে আসবে। যদি কারো ক্বাশফ হাসিল করার মনোকামনা থাকে তাহলে কোন রুহানি আমিলের দ্বারায় এজাজত নিয়ে পুরো শর্ত অনযায়ী ২৫০০ বার (ইয়া রাহমানো) ৪০দিন পর্যন্ত একটানা আমল করিলে আল্লাহ পাকের সব ইশরার জানতে পারবে ও দেখতে পারবে। যতদুর আল্লাহ তা’আলা তার ভাগ্যে রেখেছেন। (তানবীরুল আসমা)
( یا رحیم ইয়া রাহীমো)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ২৫৮ বার (ইয়া রাহীমো) পড়বে সে দুনিয়ার সব বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং মৃত্যুর সময় ইমানের সাথে মৃত্যু নসীব হবে, আর পুলশিরাত اللہ عز وجل তার জন্য সহজ করেদিবেন।
( یا ملک یا ملیک یا ملک ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো)
اسماء الحسنی এই আসমাউল হুসনাটির একই রকমের অর্থ ও সিফাআত আছে। এই তিনটি নাম থেকে যেকোন একটি তার সংখ্যা অনুযায়ী পড়বে। ইমাম আলীরাযা (রাঃ) এরশাদ করেন সে ব্যক্তি মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে। আর যদি কোন লোক এই তিনটি আসমাউল হুসনা থেকে কোন একটি ৮ হাজার বার পড়ে যে দোয়া করবে সেই দোয়াটি اللہ عزوجل কবুল ও মনজুর করিবে। যদি কোন বে- রোজগার ব্যক্তি ( یا ملک ইয়া মালেকো) ৯০ বার অথবা ( یا ملیک ইয়া মালীকো) ১০০ বার প্রত্যেকদিন পড়বে তাহলে সে রোজগার হয়ে যাবে। আর অভাব অনটন শেষ হয়ে যাবে। (সাহেবে তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি এই তিনটি (ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো) আসমাউল হুসনা সাথে ( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশু) মিলিয়ে পড়ে যেমন- ( یا ملک القدوس ইয়া মালেকুল কুদ্দুশ) ২৬০ বার পড়ে তাহলে সে লোক অনেক সম্মান লাভ করবে ও ব্যবসা বানিজ্যতে লাভবান হবে। চাকরিতে প্রমোশন হবে। আর যদি কেউ ৯০ বার পড়বে তাহলে তার ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। (দালায়েলুল খায়রাত শরীফ)
( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশো)
যদি কোন ব্যক্তি জাওয়ালের সময় ১৭০ বার (ইয়া কুদ্দুশো) পড়েন তাহলে ঐ ব্যক্তির মন ও ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি ( سبوح قدوس সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) মিলিয়ে জুম্মার নামাজের পরে রুটির উপরে লিখে খেলে আল্লাহ তা’আলার জালওয়া দেখতে পাবেন। যখন শত্রুর ভয়ে পালানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা থাকে না তখন খুব বেশী বেশী করে (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) পড়লে আপনার ও শত্রুর মাঝখানে আল্লাহ তা’আলা একটি দেয়াল তৈরি করেদিবেন। যাতে শত্রু আপনাকে দেখতে পারবে না। (দালায়েল জাফার জালিল) যদি কেউ এই দোয়াটি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) ২২০০ বার পড়বে প্রত্যেকদিন তাহলে সে ব্যক্তির اللہ عز وجل অভাব অনটন দূর করে দিবেন। কোন দিন কারো কাছে হাত পাততে হবে না সব রকমের মনোকামনা اللہ عز وجل গায়েব থেকে পূর্ণ করে দিবেন।
( یا مالک یا میلک یا ملک) ‘ ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো)
এই اسماء الحسنیٰ আসমাউল হুসনাটির একই রকমের অর্থ ও সিফাআত আছে। এই তিনটি নাম থেকে যেকোন একটি তার সংখ্যা অনুযায়ী পড়বে। ইমাম আলীরাযা (রাঃ) এরশাদ করেন সে ব্যক্তি মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে। আর যদি কোন লোক এই তিনটি আসমাউল হুসনা থেকে কোন একটি ৮ হাজার বার পড়ে যে দোয়া করবে সেই দোয়াটি اللہ عزوجل কবুল ও মনজুর করিবে। যদি কোন বে-রোজগার ব্যক্তি( یا ملک ইয়া মালেকো) ৯০ বার অথবা ( یا ملیک ইয়া মালীকো) ১০০ বার প্রত্যেকদিন পড়বে তাহলে সে রোজগার হয়ে যাবে। আর অভাব অনটন শেষ হয়ে যাবে। (সাহেবে তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি এই তিনটি (ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো) আসমাউল হুসনা সাথে (ইয়া কুদ্দুশু) মিলিয়ে পড়ে যেমন- ( یا ملک القدوسইয়া মালেকুল কুদ্দুশ) ২৬০ বার পড়ে তাহলে সে লোক অনেক সম্মান লাভ করবে ও ব্যবসা বানিজ্যতে লাভবান হবে। চাকরিতে প্রমোশন হবে। আর যদি কেউ ৯০ বার পড়বে তাহলে তার ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। (দালায়েলুল খায়রাত শরীফ)
( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশো)
যদি কোন ব্যক্তি জাওয়ালের সময় ১৭০ বার (ইয়া কুদ্দুশো) পড়েন তাহলে ঐ ব্যক্তির মন ও ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) মিলিয়ে জুম্মার নামাজের পরে রুটির উপরে লিখে খাইলে আল্লাহ তা’আলার জালওয়া দেখতে পাবেন। যখন শত্রুর ভয় পালানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা তাকে না তখন খুব বেশী বেশী করে ( سبوح قدوس সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) পড়লে আপনার ও শত্রুর মাঝখানে আল্লাহ তা’আলা একটি দেয়াল তৈরি করেদিবেন। যাতে শত্রু আপনাকে দেখতে পারবে না। (দালায়েল জাফার জালিল) যদি কেউ এই দোয়াটি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) ২২০০ বার পড়বে প্রত্যেকদিন তাহলে সে ব্যক্তির আল্লাহ তা’আলা অভাব অনটন দূর করে দিবেন। কোন দিন কারো কাছে হাত পাততে হবে না সব রকমের মনোকামনা اللہ عزوجل গায়েব থেকে পূর্ণ করে দিবেন।
( یا مومین ইয়া মোমিনু)
হযরত ইমাম হাতুম (রাঃ) ইরশাদ করেন যে কেউ প্রত্যেকদিন ১৩৬ বার (ইয়া মোমিনু) পড়বে তার কাল্ব পরিস্কার হয়ে যাবে এবং তার কাল্বে ইমান লে আসবে। শেখ মাগরাবি (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কেউ ১১৩২ বার (ইয়া মোমিনু) পড়ে তাহলে আল্লাহ লোকের বিপদ থেকে বাঁচতে এবং কঠিন রোগ হইতে হেফাজত করেন। শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কেউ শাহুতে নাফস্ ও মন পরিস্কার করে কোন খালি জায়গায় যেখানে কেউ না থাকে। আর এভাবে পড়বে যাতে তার কান শুনতে পায়। পুরো শর্ত তরীকা অনুযায়ী ৪১ দিন যাওয়ার পর দেয়ালে একটি আলোর নূর দেখতে পাবে। যা লেখে বোঝানো মুশকিল। তখন সেই লোক মারফতে এলাহীর জালওয়া দেখতে পাবে। আর সেই লোকের সম্মান এতো বৃদ্ধি হয়ে যাবে যে, বেঈমান লোক উনাকে দেখলে ইমানদার হয়ে যাবে। যে গুনাহগার ব্যক্তি দেখবে সে গুনাহ থেকে তাওবা করবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا مہیمن ইয়া মোহাইমিনু)
এই ইসমে মোবারক اللہ عزوجل অনেক বড় আজমত আছে, আর শত্রুকে মুশাখখির
করার ফজিলত আছে। যার মন খুব কঠিন ও কঠোর লোক সে যদি পড়ে তার মন মোমের মতো নরম হ যাবে। সে কোনরকম বিপদ হোক না কেন সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হবে। (আনওয়ারুল আসমা) যে লোক এটি পড়বে তার কোন শত্রু হবে না এবং কোন লোক তার শত্রু হবে না। (জাফারে জালিল) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে কেউ ৪০ দিন বা ৭০ দিন সকালে গোসলের আগে থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কারো সাথে কোন রকম কথা না বলে এমন কী ইশারাও না করে, তার পর কোন পাক-পবিত্র কাপড় পড়ে ১৮৪৯৬ বার এই ইসমে আযম ( یا مہیمن ইয়া মোহাইমিনু) পড়ে তাহলে ঐ লোকের এমন তাশখির পয়দা হয়ে যাবে যে, সে নিজেই হয়রান হয়ে যাবে। اللہ عزوجل তামাম মাখলুক তাকে ভালো বাসবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا عزیز یا معز ইয়া আযিযো, ইয়া মোইযযো)
এই দুইটি ইসমের একই তরজুমা হয়। শেখ আবুল আব্বাস ইবনে বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন এই ইসমের সাথে আর কোন ইসমে না মিলিয়ে পড়লে ভালো হয়। কেননা এই ইসমে অনেক কিছু গোপন আছে। যদি কেউ ইসমে শরীফ পড়ে তাহলে সে অনেক সম্মান লাভ করবে। ইমাম আহলে সুন্নাত আলা হযরত শাহ্ ইমাম আহম্মাদ রাযা খান মুহাদ্দীসে বারেলবী। সাজরাহ শরীফ কাদেরীয়াতে ফজর নামাজের পরে ইয়া আযীযো ইয়া আল্লাহ ১০০ বার পড়তে বলেন। যা খান্দানে কাদেরীয়াতে এই তরীকাটি সামিল রয়েছে। এটির অনেক ফজিলত আছে। যে, কোন মনোকামনার জন্য পড়া হবে তা পূরণ হবে। (হযরত আল্লামা ইকবাল আহ্ম্মাদ নুরি) যদি কোন ব্যক্তি রুপার আংটিতে (ইয়া আযিযো ইয়া মোইযযো) খোদাই করে পরে তাহলে শত্রুর ওপর বিজয় লাভ করবে। এমন কি বড় লোক হাকিম ও মিনিষ্টার এর কাছেও সম্মান লাভ করবে। (তানবীরুল আসমা)
যদি কেউ ফজরের নামাজের সময় সুন্নাত ও ফরজের মাঝখানে (یا عزیز یا معز ইয়া আযিযো ইয়া মোইযযো) ২১১ বার পড়লে সবাই তাকে সম্মান করবে। আর সবসময় এই লোকের খিদমত করার জন্য প্রস্তুত থাকবে, আর নিজের ব্যবহারও মধুর হয়ে যাবে।
( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু)
যে ব্যক্তি অভাব অনটনে জীবন যাপন করছেন, তারা যদি এই ইসমেটি পড়ে এবং লিখে নিজের কাছে রাখে তাহলে اللہ عزوجل সে ব্যক্তির অভাব অনটন দূর করেদিবেন এবং সে ব্যক্তির সব দিক থেকে ভালো সংবাদ আস শুরু হয়ে যাবে এমনকি সে নিজেই দেখে হয়রান হবেন। যদি কোন ব্যক্তি চাস্ত নামাজের সময় ৭বার ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) সিজদারত অবস্থায় পড়বে আল্লাহ তার সব মনোকামনা দূর করে দিবেন। যদি কোন ব্যক্তি কোন বিশেষ মনোকামনা থাকে তাহলে অর্ধেক রাত্রে পাক পবিত্র হয়ে তিনটি সিজদাহ্ করবেন। আর প্রত্যেক সিজদাহে ১০০ বার (ইয়া ওয়াহ্হাবু) পড়বে হাতের আঙ্গুল উপরে রাখতে হবে দোয়ার মতো। انشاء اللہ عزوجل ইনশাআল্লাহ্ তিন রাত্রের ভিতরে তার ঐ বিষেশ মনোকামনা পূরণ হয়ে যাবে। (জাফর জলিল) হযরত শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন লোকের কোন রকম বিপদ যদি এসে পরে বা কোন মনোকামনা থাকে বা ধারকর্য নিয়ে জীবন-যাপন করছেন এর থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা হচ্ছে না। বা চাকরিতে সমস্যা এরকম যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অর্ধেক রাত্রে পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) এই ইসমে মোবারক এই আমলটি শুক্রবারের রাত্রে থেকে করতে হবে। যখন নামাজ শেষ হয়ে যাবে তখন মাথা থেকে কাপড় নামিয়ে যদি পুরুষ থাকে তাহলে মাথা তেকে টুপি অথবা পাগরি নামিয়ে মাথা খালি করে দোয়ার জন্য হাত তুলে ১০০ বার ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) পড়বে। সে ব্যক্তির যত রকমের মনোকামনা থাকবে اللہ عز وجل সব মনোকামনা পূরণ করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা)
( یا سلام ইয়া সালামু)
যে, কেউ (ইয়া সালামু) ১৩১ বার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ পানি খেলে যেকোন রোগ হইতে মুক্ত পাবেন। ফজরের নামাজের পরে ১০০০বার পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। লোকের কাছে সে ব্যক্তি প্রিয় হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا سلام یا اللہ ইয়া সালামু , ইয়া আল্লাহু)
যে, কোন রোগ হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই দুইটি ইসম শতবারের প্রমাণিত। যে, কোন রোগীর মাথার কাছে বসে ( یا سلام یا اللہ ইয়া সালামু ইয়া আল্লাহু) একটি তশবীহ দ্বারায় পড়তে হবে। তশবীহ যাতে রোগীর মাথায় স্পর্শ করতে থাকে। যখন তশবীহ পড়া শেষ হয়ে যাবে তখন তশবীহটি রোগীর বালিশের নিচে রেখে দিতে হবে, এভাবে তিনদিন একই সময় একটানা করতে হবে। انشاء اللہ عزوجل রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যে কোন মনোকামনার জন্য একা ঘরে বা মসজিদে অর্ধেক রাত্রে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে, তারপর এই আয়াত শরীফ ( سلام قولامن رب الرحیم ) দাঁড়িয়ে এভাবে পড়তে হবে যাতে নিজের কান মুনতে পারে। এভাবে ৪০ দিন এই আমলটি করিলে যাহিরি ও বাতিনি ইলম হাসিল হবে ও পৃথিবীর লোক মুসাখখির হবে। (আনওয়ারুল আসমা)
( یا جبار یا قھار ইয়া জাব্বারু ইয়া কাহ্হারু)
এই দুইটি ইসম জালালি আছে। এটি শত্রু দমন করতে খুবই কার্যকারী। যদি এটা কোন মানুষের নামে এই ইসমেটি থাকে তাহলে সে খুবই রাগি মানুষ হয়। যদি কোন শত্রু দমন করার জন্য এই ইসম পড়া হয় তাহলে খুব কার্যকর হয়। যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি প্রত্যেক দিন পড়বে তার শত্রু সব সময় দমন থাকবে। হযরত ইমাম বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন ৪০ দিন একটানা দশ হাজার বার পড়লে পুরো শর্ত অনুযায়ী তাহলে সে লোক নিজের নাফসের উপর কাবু পেয়ে যাবে। আর দুনিয়ার সব মনোকামনা পূরণ হবে, ও শত্রু দমন হয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত সেক্রা হতে রক্ষা পাবে। যাতে ইমান আমল খারাপ হবে না।
( یا کبیر یا اکبر یا متکبیر ইয়া কাবিরু ইয়া আকবারু ইয়া মোতাকাব্বিরু)
হযরত ইমাম আলী (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কেউ নিজের বউয়ের কাছে সহবাস যাওয়ার আগে দুই বার পড়ে নেয় তাহলে اللہ عزوجل তাকে ছেলে সন্তান দান করবেন। (আনওয়ারুল আসমা) শেখ আব্দুল মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে, এই যিকির সোয়ালেহিন ও আবেদিনের সাথে মিলিত আছে। যে ব্যক্তি এই যিকিরটি পড়বে সে দুনিয়ায় অনেক সম্মান লাভ করবে ও তার সব রকমের শত্রু দমন হয়ে যাবে।
( یا متکبیر ইয়া মোতাকাব্বিরু)
যে ব্যক্তি ফজর নামাজের পরে ৬৩৬বার পড়ে তার মন ও কাল্ব পরিস্কার হযে যাবে।
( یا کبیر ইয়া কাবিরু)
২৩২ বার পড়লে বুজুরগী হাসিল হবে ও সম্মান বৃদ্ধি হবে।
( یا خالق یا باری یا مصور ইয়া খলিকু ইয়া বারিও ইয়া মুসাউয়িরু)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি যিকির করবে তার শিক্ষা ইলম বৃদ্ধি পাবে আর লোকজন তাকে ভালো বাসবে। (আনওয়ারুল আসমা) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তির ছেলে সন্তান হয় না বা অভাব অনটনে জীবন যাপন করে, তারা যদি এই ইসমে টি পড়ে তাহলে ছেলে সন্তান লাভ হবে এবং অভাব অনটন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا خالق ইয়া খালিকু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে আল্লাহ তার জন্যে একটি ফেরেশতা পয়দা করবেন আর সেই ফেরেশতা যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবেন। আর যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে তার চেহারা নূরানী হয়ে যাবে।
( یا باری ইয়া বারিও)
যে, ব্যক্তি শনিবারের দিন ১০০ বার পড়বে আল্লাহ সে ব্যক্তিকে কবর থেকে নিয়ে রেয়াদে রাখেন। আর যার ঘরে সন্তান হয় না সে ব্যক্তি যদি ৭দিন রোজা রাখে আর ইফতারের কিছুক্ষণ আগে
( یا مصور ইয়া মুসাউয়েরু)
১১ বার পড়ে পানির উপরে ফুঁ দিয়ে ঐ পানি নিজের বউকে খাওয়ালে আল্লাহ ছেলে সন্তান দান করবেন, আর সেই সন্তান চরিত্রবান হবে।(জাফারে জালিল)
( یا غفور یا غفار یا عفو ইয়া গাফুরু, ইয়া গাফ্ফারু , ইয়া আফুউ)
ইমাম জাফর সাদিক (রাঃ) এরশাদ করেন যখন মানুষের রোজগার কম হয়ে যায় আর চারিদিক থেকে কষ্ট হতে থাকে আর কোন রাস্তা যদি না পাওয়া যায় তখন পরিস্কার মনে আল্লাহর কাছে তওবা করে এই ইসমেটির যিকির করলে টাকা-পয়সা বৃদ্ধি হয় ও কষ্ট দূর হয়ে যাবে এবং ছেলে সন্তান লাভ হয়, আর সব রকম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ও শত্রু দমন হয়।
( یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু)
টাকা পয়সা মানুষের জীবনে সবচেয়ে জরুরী জিনিস যে,ব্যক্তি
(ইয়ারাজ্জাকু)
৩০৮ বার পড়বে اللہ عزوجل নিজের গায়েব থেকে রুজি ও টাকার ব্যবস্থা করে দিবেন। যে, ব্যক্তি ফজরের নামাজের আগে ঘরের চার দেয়ালের কোনায় দাঁড়িয়ে মুখ কিবলার দিকে করে ১০ বার করে ( یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু) পড়বে সে ঘরে কোনদিন অভাব-অনটন থাকবে না। তরীকা হলো যে কোনায় দাঁড়াবে মুখ কিবলার দিকে থাকবে আর হাতের ডান পার্শ্বের কোনা থেকে শুরু করতে হবে। এটি শত বারের প্রমাণিত। (জাফারে জলিল) যে, ব্যক্তি
(یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু) ৩০৮ বার পড়বে তার রিযিক اللہ عزوجل বৃদ্ধি করে দিবেন।
( یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু)
এই ইসমে মোবারকটি দুনিয়ার যে কোন আফত-বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য ও মুসকিল আসান করার জন্য এটি শতবারের প্রমাণিত। (জাফারে জলিল) যে, ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে দুই হাত বুকের উপর রেখে (یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু) ৭০ বার পড়বে সে ব্যক্তির হৃদয় আয়নার মত পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যারা স্কুল কলেজে পরীক্ষার সময় অথবা কোন নতুন কাজ শুরু করার সময় ৪৮৯ বার পড়বে সে কাজ সফল হবে। শেখ বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন। যে, ব্যক্তি (یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু) বেশি বেশি করে পড়বে তার প্রত্যেক কাজ সফল হবে। এবং অভাব-অনটন শেষ হয়ে যাবে।
(یا علم یا علیم ইয় আলেমো, ইয়া আলিমু)
হযরত ইমাম হাম্মাম আলী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি (یا علم یا علیم ইয় আলেমো, ইয়া আলিমু) নিজের মনে মনে বেশি বেশি করে পড়তে থাকলে সে ব্যক্তিকে اللہ عزوجل বেশি বেশি করে ইলম ও বিদ্যা দান করেন। এই ইসমে থেকে ইশতাখারা করা যায়। যে, রকম মনোকামনা যেমন-কোর্ট-কেশ, কোনো কাজের ভালোমন্দ, ব্যবসায় উন্নতি ও ক্ষতি, বন্ধুত্ব ও শত্রুতা যে কোনো কাজের জন্য ইশতাখারা করার দরকার হলে শুক্রবারের অর্ধেক রাত্রে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। সূরা ফা্তিহার পর ৩ বার সূরা ইখলাস পড়ে নামাজ শেষ করতে হবে। তারপর (یا علم یا علیم ইয়া یا علم یا علیم আলেমো, ইয়া আলিমু) ১৫০ বার পড়ে দোয়া করতে হবে। তারপর ঘুমিয়ে পরতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম আসবে না ততখন পর্যন্ত মনে মনে এই ইসমেটি পড়তে থাকতে হবে। প্রথম রাত্র থেকে ৩য় রাত্রের ভিতরে সবকিছু স্বপ্নেতে দেখতে পাবে। এর জন্য বিছানা ও কাপড় সবকিছু অবশ্যই পাক-পবিত্র হইতে হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قابض ইয়া ক্বাবিদু)
যদি কারো শত্রু এমন হয়ে যায় যে, তার থেকে নিজের জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহেল তিন রাত্র একটানা শত্রুর নিয়ত করে
(یا قابض ইয়া ক্বাবিদু) পড়লে শত্রু দমন হয়ে যাবে। আর যদি কোনো ব্যক্তির কোনো মুশকিল আসানের জন্য যদি পড়ে তার মুশকিল আসান হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি টাকা-পয়সা ও মালামাল দেওয়া- নেওয়ার ক্ষেত্রে (یا قابض ইয়া ক্বাবিদু) পড়ে তার দেওয়া- নেওয়ার কাজে কোনদিন ক্ষয়ক্ষতি বা চিটারি হবে না। (তানবীরুল আসমা)
(یا باسط ইয়া বাশিতু)
ইমাম আযম (রাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে আসমানের দিকে হাত তুলে ১০ বার (ইয়া বাশিতু) পড়বে তারপর হাত নিজের মুখের উপরে বুলিয়ে নিবে اللہ عزوجل সে ব্যক্তিকে কোনদিন কারো সাহায্য প্রয়োজন থাকবে না। আর অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
(তানবীরুল আসমা)
(یا خافض ইয়া খাফিদু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে শত্রু হতে রক্ষা পাবে। যে, ব্যক্তি নিজের নাফ্স হায়ওয়ানি থেকে বেঁচে এই ইসমেটি পড়বে اللہ عزوجل ইস্রার সে ব্যক্তির উপরে নাযিল হয়ে যাবে। আর দুনিয়ার যত বড় জালিম লোক হোকনা কেন এই লোককে দেখলে তার মনে নিজেই ভয় চলে আসবে।
(তানবীরুল আসমা)
(یا رافع ইয়া রাফেও)
যে, ব্যক্তি ৩ দিন রোজা ১১, ১২, ১৩ রাখবে চতুর্থ দিন চাঁদের ১৪ তারিখে রাত্র হবে। এই ১৪ তারিখে রাত্রে ৭০,০০০ হাজার বার (یا رافع ইয়া রাফেও) পড়লে শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে। আর মানুষের ভিতরে এক সম্মানি মানুষ হবে ও টাকা-পয়সা বৃদ্ধি পাবে এবং অভাব-অনটন শেষ হয়ে যাবে। (জাফর জলিল)
(یا مذل ইয় মোযিল্লো)
শেখ জালালউদ্দিন মাহমুদ তাবরেজি (রাঃ) এরশাদ করেন। যদি কোন লোকের শত্রু এমন হয়ে যায় যে, নিজের জীবনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে পুরো পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হইবে। নামাজের শেষে আবার সেজদা করিতে হইবে আর সেই সেজদায়ে গিয়ে ৭৭ বার (یا مذل ইয়া মোযিল্লো) উচ্চস্বরে পড়তে হবে, ঐ শত্রু নিজের হয়রানির শিকার হয়ে যাবে আর এই লোককে ভুলে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا سمیع ইয়া সামিও)
হযরত আলী (রাঃ) এরশাদ করেন। যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে সে মুশতাজাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। তবে শর্ত এই আছে যে, সেই ব্যক্তি যেন কারো গিবত না করে আর গিবত না শুনে মুত্তাকি ও পেরহেজগার হইতে হবে। মুহাম্মাদ আহম্মাদ তামীমি (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কোন ব্যক্তি এই আয়াত শরীফটি فسیکفیکھم اللہ وھوالسمیع العلیم ফজরের নামাজের পরে ৭ বার পড়ে তাহলে সারাদিন اللہ عزوجل তাকে হেফাজত করবেন। আর সব বালামুশিবত থেকে সেই লোক রক্ষা পাবে।
(তানবীরুল আসমা)
( یا بصیر ইয়া বসীরু)
এই ইসমেটি যিকির করলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দেন। উলমায়েএকরামরা বলেন, যারা এই ইসমের যিকির করে আর কারো গীবত যদি না করে তাহলে তার বাতিনী পরিস্কার হয়ে যাবে। এই ইসমের যিকির করে আম্বিয়া আলায়হিস সালামদের اللہ عزوجل মিরাজ নসীব হয়েছে। আর আউলিয়াএকরামরা যিকির করে اللہ عزوجل ভালোবাসা ও মেরাজ নসীব করেছেন। যে, ব্যক্তি শুক্রবারের দিন ফজর ও সুন্নতের মাঝখানে ১০০ বার যদি (ইয়া বাসীরু) পড়ে তাহলে اللہ عزوجل ইশরার এলাহি সফল হবে।
(তানবীরুল আসমা)
(জাফার জালিল) এ লেখা আছে বৃহস্পতি ও শুক্রবারে নামাজ ফজরে সুন্নত ও ফরজের মাঝখানে অথবা আসরের নামাজের সুন্নত ও ফরজের মাঝখানে ( یا بصیر ইয়া বাসীরু) পড়বে আর জামা’আতের সাথে নামাজ আদায় করিবে তাহলে উপরের লেখাগুলো ফলাফল পাবে। (আল্লামা ইকবাল আহম্মদ নুরি)
( یا حاکم یا حکیم ইয়া হাকেমু, ইয়া হাকিমু)
এই ইসমে খুব অদ্ভুত ফজিলত রয়েছে। যদি কোন গীবতের সময় বা কোন কয়দি এটি বেশি বেশি করে পড়বে তো সেই ব্যক্তি বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এবং কয়েদ থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে। আর যদি কোন অভাব-অনটন ওয়ালা ব্যক্তি যদি ( یا حاکم یا حکیم ইয়া হাকেমু ,ইয়া হাকিমু) এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে তাহলে তার অভাব-অনটন দুর হয়ে যাবে। শেখ বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে তাহলে اللہ عزوجل তার জন্যে রহমতের দরজা খুলে দিবেন।
(তানবীরুল আসমা)
(یا عادل یا عدل ইয়া আদেলো, ইয়া আদলো)
যে, মুমিনগণ কবরে ও হাশরের হিসাব কিতাব থেকে ভয় পান তারা যদি এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে সে ব্যক্তির জন্যاللہ عزوجل এরশাদ করেন, আমি সে ব্যক্তিকে আমার রহমতের দ্বারা মাফ করে দিব কিন্তু যদি আমার কোন বান্দার উপরে হক থাকে তাহলে আমি মাফ করব না। যখন পর্যন্ত সে বান্দা মাফ করে না দেয়। যদি কেউ শুক্রবারের রাত্রে ১২টি রুটির টুকরার উপরে লিখে খেয়ে নেয় তাঁর নূর ও ইমান বেশি বেশি হয়ে যাবে। আর তাঁর খারাপ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর যদি কেউ ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে কারো সাথে কথা বলার আগে ৫৩১৬ বার পড়লে তাহলে اللہ عزوجل সে ব্যক্তির শত্রুকে দমন করে দিবেন। আর যে, ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের আগে চার বার আল আদল পড়বে, সে দোয়াএ মুসতাজাব হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তি শুক্রবারের দিন ২০ রুটির টুকরার উপর লিখে খাইলে اللہ عزوجل সব মাখলুক মুশাখখির হয়ে যাবে। (জাফার জলিল)
( یا لطیف ইয়া লাতিফু)
এই ইসমে মোবারকের রহমতে যারা ইলম শিখতে চায় বা কোন বিদ্যা অর্জন করতে চায় তাঁদেরকে اللہ عزوجل ইলম ও বিদ্যা দান করেন। আবেদিন ও মোমেনিনের ইমাল এই ইসমের সদকায় ফেরেশতারা আসমানে নিয়ে যায়ে। যারা এই ইসমের যিকির করবে তাঁদের জন্য শর্ত তারা যেন মানুষকে বেশি বেশি করে ভালো বাসে। যাতে اللہ عزوجل ঐ যিকির করা ব্যক্তিকে রহমতের চোখে দেখেন। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তির রোজগার নেই বা অভাব-অনটনে জীবন-যাপন করছেন বা যাদের মেয়ে আছে বিয়ে দেওয়া সমার্থ নেই বা বিয়ের প্রস্তাব আসছে না তাঁরা ভালোভাবে অজু করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে ১০০ বার ( یا لطیف ইয়া লাতিফু) খুব মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে তারপর اللہ عزوجل কাছে কেদে কেদে দোয়া করতে হবে। তাড়াতাড়ি যে, মোনকামনার জন্য পাঠ করা হয়েছে সেইটি পূরণ হবে। (জাফার জলিল)
(یا خبیر ইয়া খাবিরু)
এই ইসমে আমিল ব্যক্তি স্বপ্নতে ও সজাগ অবস্থা গুপ্ত কথা জানার ক্ষমতা اللہ عزوجل দান করেন। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি দুই রাকাত নামাজ আদায় করে ঐ নামাজের সওয়াব সাইইয়াদুনা গাউসুল আজম (রাঃ) কে পৌছে দিয়ে ১২১ বার এ আজমীয়াতটি পড়বে یا علیم علمنی یا رشید ارشدنی یا خبیر اخبرنی । তাহলে স্বপ্নতে বা ঘুম ঘুম অবস্থায় যে কাজের জন্য এই ইসতেখারাটি পড়ছে সে দেখতে পাবে (মাজমুয়ায় আমাল) যে ব্যক্তি নিজের নাফসের গোলাম হয়ে গেছে। নামাজ ও রোজা করে না সে ব্যক্তি যদি বেশি বেশি করে (ইয়া খাবিরু) পড়ে সে ব্যক্তি ইবাদতগার হয়ে যাবে। (জাফার জলিল)
(یا حلیم ইয়া হালিমু)
উলমারা অনুসন্ধান করে এরশাদ করে যে, এই ইসমেটির বরকতে اللہ عزوجل সকল মাখলুকের পানি ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই ইসমেটির বরকতে সমস্ত দুনিয়া কায়েম আছে। যদি কোন ব্যক্তি ৮৮৩ বার ( یا حلیم ইয়া হালিমু) পড়ে তাহলে দুনিয়ার সমস্ত লোক তাঁর দয়ালু হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি একটি কাগজে ( یا حلیم ইয়া হালিমু) লিখে পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি ফসলের খেতে ছিটালে ফসল বৃদ্ধি হবে ও পোকা-মাকড় হইতে রক্ষা পাবে। (জাফার জলিল) শেখ হাজী নাসরুদ্দিন ও শেখ আব্দুল মাজিদ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন রোগীর মাথার কাছে বসে একবার সূরা ফাতিহা ও দশ বার ( یا حلیم ইয়া হালিমু) পড়লে রোগীর রোগ হইতে আরোগ্য লাভ করবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا عظیم ইয়া আজিমু)
শেখ মাগরাবি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, কোন ব্যক্তি ( یا عظیم ইয়া আজিমু) যিকির করে সে লোক যে কোন ব্যক্তির দিকে তাকালে সেই তাঁর মদদের জন্য দাড়িয়ে পরবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا شکور ইয়া শাকুরু)
اللہ عزوجل এর আউলিয়াগণ এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ( یا شکور ইয়া শাকুরু) বেশি বেশি করে যিকির করবে সে মুসতাজাবুত দাওয়াত হয়ে যাবে। আর اللہ عزوجل তরফ থেকে ইনাম পাবে। আর সে সাহেবে কাশফ হয়ে যাবে। পরকালে তাঁর জন্য নেকির আমল জমা হতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তির চোখের জ্যোতি কম হয়ে গেছে বা কম দেখতে পায় সে ব্যক্তি ৪১ বার (یا شکور ইয়া শাকুরু) পড়ে দুই হাতে পানি নিয়ে মুখ ও চোখ ধুলে চোখের জ্যোতি ভালো হয়ে যাবে।
( یا علی ইয়া আলিও)
যদি কোন ব্যক্তিকে মানুষ মান সম্মানের চোখে দেখে না যেখানে যায় সেখানেই সম্মান হারায় আর অভাব- অনটনে জীবন যাপন করে। সে ব্যক্তি যদি (ইয়া আলিও) ১১০ বার পড়ে আর এই ইসমের আংটি ব্যবহার করে তাহলে মান সম্মান লাভ করবে ও অভাব- অনটন দূর হয়ে যাবে। যে, মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না সেই মেয়ে যদি এই ইসমের আংটি পরে আর বেশি বেশি করে ( یا علی ইয়া আলিও) পড়ে তাহলে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যাবে। আর খুব তাড়াতাড়ি তাঁর বিয়ে হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا حافظ یا حفیظ ইয়া হাফেযো, ইয়া হাফিযো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমের যিকির করবে সে ব্যক্তি জালিম শয়তান ও কীট- পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আর যে, ব্যক্তি বন-জঙ্গলে কাজ করে তারা যদি এই ইসমটি পড়ে তাহলে বন-জঙ্গলের পশু থেকে রক্ষা পাবে। যে, বাচ্চার উপর কোন রকম দ্বৈত্য ভূত ও বদ- জ্বীনের কোন রকমের খারাপ প্রভাব থাকে তাহলে এই ইসমের তাবিজ লিখে বাচ্চার গলায় পড়িয়ে দিলে বাচ্চা হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا مقیت ইয়া মুকিতো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে ব্যক্তি নিজের নাফ্সের উপরে কাবু পেয়ে যাবে। আর নিজের রূহকে মুসাখখির করতে সক্ষম হবে। আর শত্রু দমন হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا حسیب ইয়া হাসিবো)
এই ইসমেটির বরকতে ক্রামান ও কাতেবিন বান্দার আমল দেখতে সক্ষম হন। শত্রুর বদমেজাজ ও খারাপ চরিত্রের মহিলা বা পুরুষ যদি এই ইসমটি সব সময় বেশি বেশি করে পড়ে অথবা বুধবার বা বৃহস্পতিবারে রোজা রাখে আর প্রত্যেক নামাজের পর ৭৭ বার ( یا حسیب یا اللہ ইয়া হাসিবো, ইয়া আল্লাহু) পড়ে তাহলে আল্লাহর রহমতে তাঁর কিছু দিনের ভিতরে সব বদ- অভ্যাস শেষ হয়ে যাবে। আর সব শত্রু তার দমন হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি এই ইনমের সংখ্যা অনুযায়ী প্রত্যেকদিন পড়বে তাঁর সব মনোকামনা পূরণ হবে ও সব বালা- মশিবত থেকে রক্ষা পাবে। (জাফারে জলিল)
( یا جلیل یا ذاالجلال والاکرام ইয়া জালিলো ,ইয়া যুল জালালে ওয়াল একরাম)
এই দুইটি ইসমের একই রকম উপকার রয়েছে। হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন এই দুইটি ইসম থেকে কোন একটি ইসম একটানা ৭দিন রুটির একটি টুকরার উপরে লিখে নিজে খেয়ে বাকি রুটি সদকা করে তাহলে সব মাখলুক তাঁর মুসাখখির হয়ে যাবে আর দুনিয়াতেও খুব সম্মান লাভ করবে ও সব রকমের মনোকামনা পূরণ হবে। যদি কোন ব্যক্তি একটি সাদা কাগজে এই ইসমেটি লিখে ঘরে অথবা দোকানে লাগালে অনেক বরকত লাভ করবে। (জাফারে জলিল) যে, গর্ভবতী মহিলা এই ইসমেটি লিখে নিজের কোমরে পরবে সে মহিলা গর্ভপাত হতে রক্ষা পাবে। আর যদি কোন বাচ্চাকে পরানো হয় সে বাচ্চা দ্বৈত্য ও বদজ্বীন হইতে রক্ষা পাবে।
( یا مقسط ইয়া মুকসিতো)
এই ইসমেটি খুবই শক্তিশালী যে, ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির করবে সে ব্যক্তির কোন শত্রু ক্ষতি করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তির হক বা জায়গা জমিন বা কোন মহিলার স্বামী তাঁর সম্পত্তি দখল করে নেয় তাহলে এই ইসমেটির সংখ্যা অনুযায়ী ৪০ দিন পড়লে নিজের হক ফেরত পাবে। এবং স্বামী সে মহিলাকে ভালোবাসতে শুরু করবে। আর যদি স্বামী স্ত্রীতে মিল না থাকে তাহলে এই ইসমেটি ৪০ দিন যিকির করলে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া- বিবাদ শেষ হয়ে যাবে। আর স্বামী স্ত্রী ভালোবাসার জীবন যাপন করবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا جامع ইয়া জামেও)
এই ইসমেটির বরকতে আল্লাহ হযরত সুলায়ইমান বিন দাউদ (আঃ) এর জন্য সব মাখলুককে মুসাখখির করে দিয়েছেন। (তানবীরুল আসমা) যে, কোন ব্যক্তি বিপদ গ্রহস্থ হয় বা তাঁর কেউ আপনজন তাঁকে ছেড়ে চলে যায় আর তাঁর জন্য মন ব্যাকুল থাকে তাহলে রবিবারের দিন নামাজ চাস্তের সময় গোসল করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। তারপর আসমানের দিকে মুখ করে দুই হাত তুলে ১০ বার ( یا جامع ইয়া জামেও) এই ভাবে পড়তে হবে যখন ১বার পড়বে তখন ডান হাতের ছোট আঙ্গুলটি বন্ধ করবে। এভাবে করে বুড়ো আঙ্গুল পর্যন্ত বন্ধ করবে। এভাবে বাম হাতের ছোট আঙ্গুল থেকে শুরু করে বুড়ো আঙ্গুল পর্যন্ত বন্ধ করবে। তারপর কিছু সময় পর্যন্ত ( یا جامع ইয়া জামেও) পড়তে থাকতে হবে। যখন মন অস্থিরতা হতে থাকবে তখন মুঠ খুলে নিজের চেহারা ও মুখে বুলিয়ে নিতে হবে।انشاء اللہ عزوجل খুব তাড়াতাড়ি যার জন্য এই আমল করা হয়েছে সে আপনার ভালোবাসায় দিওয়ানা হয়ে আপনার কাছে ছুটে আসবে। (জাফারে জলিল) এই আমলটি পর পুরুষ বা পর মহিলার জন্য কোনদিন করবেন না। তাহলে আপনি গুনাহগার হবেন। আর হাশরের ময়দানে আপনাকে হিসাব দিতে হবে। এর জন্যে আমিল দায়ী থাকবে না।
( یا کریم ইয়া করীমো)
শেখ আবুল আব্বাস আহম্মাদ ইবনে আলী বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমের যিকির করবে সে মান-সম্মান লাভ করবে ও মুস্তাজাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। তার অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে। আর যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় ( یا کریم ইয়া করীমো) পড়তে পড়তে ঘুৃমিয়ে যাবে সে ব্যক্তির জন্য সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা দোয়া ও মাগফেরাত করতে থাকবে।
(یا رقیب ইয়া রাকিবো)
এই ইসমেটি যে, পড়বে তার চেহারার সৌন্দর্য বেড়ে যাবে ও সন্তান, ধনসম্পত্তি সে অর্জন করতে পারবে। আর শত্রু তার দমন হয়ে যাবে। হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তির শত্রু অনেক শক্তিশালী হয় যার থেকে নিজের জানমালের ভয় হয়, আর সে তার সাথে মোকাবেলা করার শক্তি যদি না থাকে তাহলে প্রত্যেক নামাজের পরে ৭ বার (ইয়া রাকিবো) পড়লে সেই শত্রু নিজেই নিজেই দমন হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا مجیب ইয়া মুজিবো)
এই ইসমেটির বরকতে হযরত ইসমাঈল যাবীউল্লাহ আলায়হি সালামের উপরে ছুরির ধার কার্যকারী হয় নাই। হযরত ইমাম আলী রাযা আনহা এরশাদ করেন এই ইসমেটি ১০০০ হাজার বার পড়ে যে, কোন দোয়া করবে তার দোয়া কবুল হবে। যদি কোনো দোয়া ও আমলের শেষে ২৬ বার এই ইসমেটি পড়লে সে দোয়া বা আমল খাব তাড়াতাড়ি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। (তানবীরুল আসমা) শেখ সাহাব্বুদ্দীন শহরওয়ার্দী এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি (یا مجیب ইয়া মুজিবো)
তাবিজ লিখে নিজের কাছে রাখবে দুনিয়ার সব রকম বালা-মুশিবত থেকে হেফাজতে থাকবে। যদি কোনো ব্যক্তি এক বসায় ৯০,০০০ হাজার বার পড়বে, সে যা দোয়া করবে আল্লাহর কাছে তা কবুল হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا واسع ইয়া ওয়াশিও)
উলমারা এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ১৩৭ বার প্রত্যেকদিন (ইয়া ওয়াশিও) পড়বে তার উপরে اللہ عزوجل রহমত নাযিল হবে। এবং তার কৃপণতা শেষ হয়ে যাবে আর যদি কোনো ব্যক্তি ১০২৫ বার পড়বে, সে ব্যক্তি দুনিয়া অনেক মানসম্মান লাভ করবে এবং তার অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
(یا ودود ইয়া ওয়াদুদু)
এই ইসমে ভালোবাসার জন্য খুবই জনপ্রিয় আমল। যে, ব্যক্তি ( یا ودود ইয়া ওয়াদুদু) যিকির করে আর মানুষকে ভালোবাসে সে ব্যক্তিকে اللہ عزوجل নিজের মাহবুব বানিয়ে নিবেন। (তানবীরুল আসমা) হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের নাফ্সের গোলাম হয়ে যায় বা মদখোর বা জিনাখোর হয়ে যায়, বা মোমিন মুসলমানের শত্রু হয়ে তবে সে ব্যক্তি যদি ৯৬০ বার (یا ودود ইয়া ওয়াদুদু) পড়ে আর আগে ও পরে এই আয়াত শরীফট انہ ھو یبدی و یعید و ھوالغفور الودود ذوالعرش المجید فعا لمایرید ৫৩ বার পড়ে তার পর নিজের জন্য সে ব্যক্তি কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে ব্যক্তি পুরুষ হোক বা মহিলা اللہ عزوجل তার সব গুনাহকে মাফ করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা)
(یا ماجد یا مجید ইয়া মাজেদো, ইয়া মাজিদো)
যে, ব্যক্তি বেশি বেশি করে ইজ্জত ও সম্মান লাভ করতে চায় এই ইসমেটি যিকির করলে اللہ عزوجل তার ইজ্জত ও সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন ও তার অভাব-অনটন দূর করে দিবেন। যার বিয়ের প্রস্তাব আসে না আর বিয়ের বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে সে মহিলা বা পুরুষ এই ইসমেটি বেশি বেশি পড়লে তার বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যাবে এবং খুব জ্বলদি কোনো ভালো জায়গায় বিয়ে হয়ে যাবে।
(یا باعث ইয়া বাইসো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে তার ক্বলব পরিস্কার হয়ে যাবে এবং শয়তানের শত্রুতা থেকে হেফাজতে থাকবে। যে, ব্যক্তি উত্তেজিৎ, কৃপণ বা ভুলে যাওয়া রোগ থাকে তাহলে রাত্রে ঘুমানোর সময় বুকে হাত রেখে ৫০০ বার (یا با عث ইয়া বাইসো) পড়ে তাহলে তার রোগগুলো ভালো হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ আব্দুল মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, মানুষের জীবনে যে কোনো রকম বালা ও মুশিবত ও শারীরিক মানসিক রোগ থাকে তাহলে এই ইসমেটির যিকির করলে তার রোগ গুলো ভালো হয়ে যাবে। আর তার সাহস বৃদ্ধি পাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا شاہد یا شہید ইয়া সাহিদো, ইয়া সাহেদো)
উলমারা অনুসন্ধান করে এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে আর খারাপ কাজ হতে দূরে থাকবে, আর নিজের জবানের উপর কাবু রাখবে তাহলে সেই ব্যক্তির পুরো পরিবার বালা-মুশিবত হতে اللہ عزوجل হেফাজতে থাকবে। যার বউ ও বাচ্চা অবাধ্য হয়ে যায় তাদের ভাল পথে আনার জন্য তাদের কপালে ডান হাত রেখে (ইয়া সাহিদো ইয়া সাহেদো) ইসমেটি ২১ বার পরে ফুঁ দিলে কয়েকদিনের ভিতরেই তারা বাধ্য হয়ে যাবে এবং ভালো পথে চলে আসবে।
(یا حق ইয়া হাক্বকো)
যদি কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে যায় বা কোনো কিছু দেওয়া নেওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায় বা কোর্ট-কাচারি ও বিচার-শালিষে লোক বিচার করতে জমা হয় আর সে যদি সত্যের পথে থাকে কিন্তু লোকজন বিপক্ষে হয়ে যায় তাহলে, ( یا حق ইয়া হাক্বকো) বেশি বেশি করে যিকির করলে اللہ عزوجل ঐ ব্যক্তির জায়েয ফায়সালা করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোনো ব্যক্তির কোনো জিনিসপত্র হারিয়ে যায় বা কোন লোক হারিয়ে যায়, তাহলে একটি সাদা কাগজের উপরের এক কুনায় (یا حق ইয়া হাক্বকো) লিখে আর অন্য এক কুনায় হারিয়ে যাওয়া জিনিসের নাম বা হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম লিখে যে, ঘর থেকে হারিয় গিয়েছে সে ঘরে ঝুলিয়ে দিতে হবে। হারিয়ে যাওয়া জিনিস পাওয়া যাবে আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে اللہ عزوجل তার বদলে তার থেকে ভালো জিনিস দান করবেন। ও হারিয়ে যাওয়া মানুষের সন্ধান পাওয়া যাবে। (তানবীরুল আসমা) আর জাফার জলিলে লেখা আছে ঐ নাম লেখা কাগজটি হাতে দোয়ার মতো নিয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে (ইয়া হাক্বকো) ১০৮ বার পড়লে, হারিয়ে যাওয়া জিনিস পাওয়া যায়। বা আল্লাহ তার থেকে ভালো জিনিস দান করেন। আর যদি কোনো কয়েদি অর্ধেক রাত্রে মাথায় টুপি ছাড়া ১০৮ বার ( یا حق ইয়া হাক্বকো) পড়বে, তাহলে সেই ব্যক্তির কয়েদ থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে।
(یا وکیل ইয়া ওয়াকিলো)
যারা এই ইসমেটির যিকির করবে সে সব রকমের বিপদ ও ভয় থেকে হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ বুনী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির তিরাওয়াত করবে তার সব রকমের মনোকামনা পূর্ণ হবে, আর সফরে থাকা অবস্থায় যে পড়বে যখন পর্যন্ত সে নিজের দেশে আসবে না তখন পর্যন্ত সে হেফাজতে থাকবে। আর যদি কোন কয়দি বা কর্যদার ব্যক্তি যদি এটা পড়ে ধারকর্য থেকে মুক্তি পাবে এবং কয়দি রেহাই পাবে এবং শত্রু থেকে হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قیوم ইয়া কাওয়িয়ু)
এই ইসমেটি অনেক শক্তিশালী। যে কোন কাজের জন্য এটা পড়া হয় সেটা খুব জলদি পূর্ণ হয়ে যায়। এই ইসমেটি যে পড়বে আর সে ব্যক্তি যদি সৎ থাকে তাহলে পুরো দুনিয়ার লোক ও যদি তার শত্রু হয়ে যায় তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(یا متین ইয়া মাতিনো)
যে, ব্যক্তি এটি পড়বে আর নিজের চোখকে হারাম কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে তাহলে সে দুনিয়ায় অনেক মানসম্মান লাভ করবে এবং তার শত্রু দমন হবে। (তানবীরুল আসমা) যে বাচ্চাকে হাঁটতে দেরি হয় সে বাচ্চাকে এই ইসমেটির তাবিজ পড়ালে সে জলদি হাঁটতে শুরু করবে আর মায়ের দুধ ও তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করবে। (জাফার জলিল)
(یا حامد یا حمید محمود ইয়া হামেদো, ইয়া হামিদো, ইয়া মাহমুদো)
এই ইসম পাকের মত সুনাম করা যায়তত কম। এই ইসমটি যিকির করলে দুনিয়ার সব মনোকামনা পূর্ণ হয়। যদি কেউ বাসা থেকে হারিয়ে যায় বা পালিয়ে যায় তখন এই ইসমটি পড়লে সে খুব জলদি বাসায় ফিরে আসে। আর যদি স্বামী-স্ত্রীতে মিল না থাকে তাহলে এই ইসমটি পড়লে স্বামী-স্ত্রীতে মিল হয়ে যায় এবং ভালবাসার জীবনযাপন করে।
(یا محصی ইয়া মুহসি)
যে, ব্যক্তি এটি বেশি বেশি পড়বে সে ব্যক্তি কবর ও হাশরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে ও اللہ عزوجل আল্লাহর রহমত তার ওপর নাযিল হবে। যে শুক্রবারের দিনে বা রাত্রে ১০০০ বার পড়বে তার হাশরের হিসাব-কিতাব সহজ হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি হিসাব পত্রের কাজ করে বা এমন কোন কাজ করে যেটার ব্রেন থেকে সম্পর্ক বেশি থাকে সে ব্যক্তি যদি এটি বেশি বেশি করে পড়ে তাহলে তার সব কাজ সহজ হয়ে যাবে এবং যেখানে তার ভুল হবে সে দেখতে পাবে আর ভুল সংশোধন করে নিতে পারবে। যে ব্যক্তি স্কুল- কলেজের পরীক্ষার সময় এটি বেশি বেশি করে পড়বে। সে পরীক্ষায় উত্তিীর্ণ হবে
(یا مبدی یا معید ইয়া মুবদিও, ইয়া মুইদো)
যে, ব্যক্তি কোন বিপদের সময় বা নতুন কোন কাজ শুরু করার আগে এই ইসমটি ৫৬ বার যদি পড়ে তাহলে তার কাজ সফল হবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ আব্দুল মাজিদ মাগরবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি পুরুষ ও মহিলার ছেলে সন্তানের আগ্রহ থাকে আর তার ঘরে ছেলে সন্তান জন্ম হয় না যে পুরুষ ও মহিলা দুজনেই মিলিত হওয়া আগে ৫৬ বার এই ইসমটি পড়ার পর মিলিত হবে তার গর্ভে আল্লাহর রহমতে ছেলে সন্তান আসবে। যে গর্ভবতী মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় এই ইসমটির বেশি বেশি করে যিকির করতে থাকবে তাহলে গর্ভবতী মহিলা ও বাচ্চা দুজনই হেফাজতে থাকবে এবং সুস্বাস্থ্য বাচ্চা জন্ম হবে। আর বাচ্চার জন্ম হওয়ার সময় তেমন কোন কষ্ট হবে না।
(یا محیی یا حی ইয়া মুহাইয়ো, ইয়া হাইয়ো)
এই ইসম মোবারকটি যুদ্ধে বা বজরে যাওয়ার সময় কোন সেনা বা সমূদ্রে কাজ করার ব্যক্তি বা কোন ড্রাইভার বা ঐ ব্যক্তি যারা পাহাড়ে ওঠা নামা করে তারা যদি এই ইসমটি বেশি বেশি করে পড়ে তাহলে তার মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে। যে ব্যক্তি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ৯৫ বার এই ইসমটি পড়ে বাসা থেকে বের হলে বাসায় যখন পর্যন্ত ফিরবে না তখন পর্যন্ত সব রকমের বিপদ থেকে اللہ عزوجل আল্লাহর হেফাজতে থাকবে আর যদি ভূমিকম্পের সময় যদি এই ইসমটি পড়া হয় তাহলে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে। (তারবীরুল আসমা)
(یا ممیت ইয়া মুমিতু)
এই ইসমটি যিকিরটা পীর ও মুরিদের দুইজনের জন্য খুবই মূল্যবান যকিরি। এই যিকিরটা করলে নাফস আমবারার ওপরে কাবু পাওয়া যায়। ইলমে জাফার সাদিক (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় বুকের ওপর হাত রেখে ৪৯০ বার এই ইসমটি পড়ে ঘুমালে আল্লাহ সে ব্যক্তি নাফসকে নিজের কাবু করে দেন। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তি এরই ইসমটি বেশি বেশি করে যিকির করবে তার বুদ্ধি খুব বৃদ্ধি পাবে আর সব বিপদ আসান হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
১৪/০৩/১৬
(یا قیوم ইয়া কাইয়ুম)
যারা এই ইসমেটি যিকির করে তার বয়স বৃদ্ধি, তার শত্রু দমন হয় এবং তার নেকমাকসাদ পূরণ হয়। আর লোকের মন জয় হয়, সাইয়েদুনা আমিরুল মোমেনিন হযরত আলী (রাঃ) এরশাদ করেন, আমি যখন দেখতাম কঠিন সময় জানাবে মকবুল হযরত রাসুল (সাঃ) (ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম) পড়তেন আর সঙ্গে সঙ্গে তা সমষ্যা সমাধান হয়ে যেত। যে, ব্যক্তি ইজ্জত লাভ করার জন্য পড়বে তাঁর ইজ্জত লাভ করবে, আর সকল নেকমাকসাদ পূরণ হবে এবং অভাব অনটন দূর হবে। শেখ বুনি (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এর ইসমেটি বেশি বেশি পড়বে আল্লাহর তাঁর জন্য সকল মাখলুককে মোসাক্ষির করেদিবেন। অনেক আউলিয়াএকরাম (ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম) কে ইসমে আযম বলেছেন। (তানবীরুল আসমা)
(یا واجد یا غنی یا مغنی ইয়া ওয়াজিদু, ইয়া গানিও, ইয়া মুগনিয়ু)
যে, ব্যক্তি টাকা পয়সা লাভ করার জন্য এ ইসমেটি বেশি বেশি পড়লে সে ব্যক্তি ধনি হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে কিন্তু ব্যবসায়ে সাফল্যতা না পাওয়া যায়, বা ঘরের সদস্য সংখ্যা বেশি এবং তাদের ভরনপোষণ করতে পারে না, সে যদি এ তিনটি ইসম থেকে যে কোন একটির বেশি বেশি যিকির করে বা তার সংখ্যা অনুযায়ী যিকির করে তবে اللہ عزوجل আল্লাহ্ তাকে গাইব থেকে রিজিক এর ব্যবস্থ করে দিবেন। তাঁর সব অভাব অনটন দূর করে দিবেন। আল্লাহ্ তাকে এত বেি দিবেন যে, সে খরচ করে শেষ করতে পারবে না তাকে সঞ্চয় করে রাখতে হবে।
(یا احد یا واحد یا وحید ইয়া আহাদু, ইয়া ওয়াহেদু, ইয়া ওয়াহিদু)
যে, ব্যক্তি এ তিনটি ইসম থেকে একটি ইসমেটি যিকির করবে তাঁর আত্মা এত শক্তিশালী হয়ে যাবে। যে, কোন বিপদে সে ভয় পাবে না এবং আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন। এমন কি দুনিয়ায় যত বড় জালিম ব্যক্তি হোকনা কেন তাঁর উপর যুলুম করতে পারবে না। এ যিকিরটি যদি উকিল, সৈনিক, পুলিশ, ডাক্তার, রাজনীতিবীদ তাদের জন্য নিয়ামত স্বরুপ এই যিকিরের ফলে তাদের শত্রু দমস হবে, তাদের কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(یا صمد ইয়া সামাদু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে কখনো ক্ষুদার্থ অবস্থায় ঘুমাবে না। অনেক আমেলিন ও কামেলিন (ইয়া আহাদু ইয়া সামাদুকে) ইসমে আযম বলেছেন। শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ইয়া সামাদু ১০০০ বার পড়বে তাঁর রুজি রোজড়ার বৃদ্ধি পাবে এবং তাঁর অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) মিফতাহুল যিনানে লেখা আছে যে, কেউ শুক্রবার রাত্রে ওযু করে ১০০০ বার পড়বে তাঁর হেফজ মক্তি বৃদ্ধি পাবে। ভালো বাসার জন্য চিনি মাটির প্লেটে লিখে পানিতে ধুয়ে যে, ব্যক্তিকে খাওয়ানো হবে সে তাঁর প্রেমে দিওয়ানা হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قادر یا قدیر یا مقتدر ইয়া কাদেরু, ইয়া ক্বাদিরু, ইয়া মুকতাদেরু)
এই ইসম থেকে ,ে কোন একটি ইসম এর যিকির করবে সে ব্যক্তির বড় থেকে বড় সমস্যা আল্লাহ্ আসান করে দিহ্ন। যদি কেউ এমন বিপদের মুহুর্তে চলে আসে যেখানে কেউ আপনÑপর আত্মীয়Ñস্বজন, বন্ধু-বান্ধব উে সাহায্যনা আসে তখন উপরে তিনটি থেকে যে, কোন একটি ইসমেটির যিকির করে তাহলে আল্লাহ্ এই ইসমেটির বরকতে সে اللہ عزوجل আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে আর সে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারবে।
(یا مقدم ইয়া মোকাদ্দিমু)
এই ইসমেটির বরকতে হযরত মুসা (আঃ) তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলতেন। ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় এই ইসমেটি পড়ে ঘুমাবে সে শত্রু পক্ষ হতে এবং চুরি যাকাতি ও ভূমিকম্প হতে মুক্ত থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا موخر ইয়া মুওয়াক্ষির)
শেথ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যখন মানুষের জীবন শেষ প্রান্তে পৌছে যায় আর ভাল আমাল তার জীবনে কিছু যদি থাকে না আর কবর ও হাশরের ময়দান থেকে ভয় লাগে তখন এই ইসমটির বেশি বেশি করে যিকির করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ কের দিবেন এবং তার বয়স বৃদ্ধি করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি কোন কঠিন রোগে ভুগছেন তারা যদি এই ইসমটি যিকির করবেন তাহলে আল্লাহ তাকে যে রোগ থেকে সিফা দান করবেন।
(یا اوَّلُ ইয়া আউওয়ালো)
শেখ মাগরাবি (রা) ইরশাদ করেন, যদি কোন ব্যক্তির সন্তান ও গুপ্তধন আল্লাহর গাইব থেকে মদদ পাওয়ার জন্য ৪০ শুক্রবার জুমআর নামাজের পর যিকির করলে তার নেক মাকসাদ পূর্ণ হয়। শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন, উপরের দেওয়া তরিকা অনুযায়ী যে, ব্যক্তি ৪০ দিন একটানা পড়বে সে ব্যক্তির নেক মাকসাদ পূর্ণ হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا آخر ইয়া আখিরো)
শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমটি বেশি বেশি করে যিকির করবে সে ব্যক্তির হিফস শক্তি বৃদ্ধি হবে ও মানসম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং তার শত্রু দমন হবে। মোকাবেলায় বিজয়ী লাভ করবে। আর যে, ব্যক্তি ইসমের নাম শত্রু ও তার মায়ের নামের সংখ্যা জমা করে শনিবারের দিন সূর্য উদয়ের সময় একটি লোহার তকতিতে লিখে ঐ সংখ্যা অনযায়ী লিখে ঐ তক্তিতে ফুঁ দিয়ে তক্তিটা আগুনে রাখলে তার শত্রু মারা যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا ظاھر یا باطنইয়া যাহিরু, ইয়া বাতিনু)
এই দুটি ইসম আল্লাহর নূরানী খাস বলা হয়। যে, ব্যক্তি এটি বেশি বেশি করে পড়বে তার যাহিরু ও বাতিনু পরিস্কার হয়ে যাবে এবং রুহানী শক্তি অর্জন করতে পারবে। শেখ মাগরাবী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ চাসতের পর ৫০০ বার পড়বে اللہ عزوجل আল্লাহ তার কাল্ব পরিস্কার করে দিবে এবং কাল্ব নূরানী হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যাদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন এমন হয় যেন সুখ বলে একটা মনে রাখে আরেকটা তা থেকে যদি ক্ষতি হয় তখন এই ইসমটা বেশি বেশি করে যিকির করলে اللہ عزوجل আল্লাহ সে ব্যক্তিকে ইসলাহ করে দেন এবং তার মন ও মুখ দুটোই ভাল করে দেন।
(یا والی ইয়া ওয়ালিও)
এই ইসম মোবারক ঐ ব্যক্তির জন্য নিয়ামত যারা অনেক খাটনির কাজ করে তারা যদি এই ইসমটি যিকির করলে তার মেহনতে ফল পাওয়া যাবে এবং ক্লান্তি দূর হবে। আর যে ব্যক্তি এই ইসমটি একটি চিনামাটির প্লেটে লিখে গোলাপ পানি থেকে ধুয়ে ঘরে বা দোকানে ঐ পানি ছিটালে চুরি, ঝড়-তুফান, ভূমিকম্প, বন্যা হতে হেফাযত থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا متعلی ইয়া মুতাআলিও)
ওলমা ইকরামরা ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির খুব সরল মনে রবে এবং নিজেকে সব থেকে তুচ্ছ মনে করবে আল্লাহ সে ব্যক্তির মান সম্মান কুব বৃদ্ধি করে দিবেন। আর اللہ عزوجل আল্লাহ গাইব থেকে তার সমস্ত কাজ হতে থাকবে। কোন মহিলার মিনস বন্ধ হওয়ার পর বা বাচ্চা হওয়ার পর এই ইসমটির যিকির করলে সমস্ত রোগ ব্যধি হতে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে। শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির করবে সে ব্যক্তি যেখানে যাবে সেখানে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا بَرُّ ইয়া বাররো)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) ইরশাদ করেন যদি কোন নাবালক বাচ্চাকে এই ইসমটি মুখস্ত করিয়ে দেওয়া হয় আর সে বাচ্চা যদি বালক অবস্থায় পর্যন্ত পড়তে থাকে তাহলে সে বাচ্চা সব রকমের বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং কখনও বে-রোজগার হবে না। শেখ মাগরাবী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই ইসমটি যিকির করবে তার সমস্ত নেক-মাকসাদ পূর্ণ হবে।
(یا تواب ইয়া তাউওয়াবো)
যে, ব্যক্তি গুনাহের কাজে ল্পিত থাকে বা বিপদগ্রস্থ থাকে সে ব্যক্তি এই ইসমটির ৪০৯ বার যিকির করলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করেদেন। আর বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং সব দো’আ اللہ عزوجل আল্লাহ কবুল করেন, আর যে বাচ্চা অনেক কান্নাকাটি করে ৭০ বার পড়ে সে বাচ্চার ওপর দম করলে সে বাচ্চা কান্নাকাটি থেকে বিরত থাকবে। এ আমলটি লাগাতার কয়েকদিন করতে জবে। (তানবীরুল আসমা)
یا اللہ یا ولی یا عظیم ইয়া আল্লাহু, ইয়া ওয়ালিও, ইয়া আযিমো এটিকে ইসমে আযম বলা হয় যার সংখ্যাও ১১৩২। আর اللہ عَزَّوَجَلَّ প্রথম অক্ষরটি আলিফ থেকে শুরু হয়, আর আসলাম রাযার প্রথম অক্ষরটি আলিফ থেকে শুরু হয়। দুটি একই মেজাজেরহুরুফ হলো। এভাবে যে ইসমে আযম তৈরি করে পড়া যাবে সেটি অনেক ফল দায়ক হবে। আর রিযাত হবে না। ইসমে আযম পড়ার তরীকা- অনেক ভাবে পড়ার তরীকা আছে। যেখান থেকে দুইটি সহজ তরীকা দেওয়া হলো।
তরীকা (১)نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم
আবজাদকামরীর সংখ্যা অনুযায়ী আমার নামের সংখ্যা হল ১১৩২, আর اسماء الحسنٰی সংখ্যা হলো ১১৩২। প্রত্যেক দিন ১১৩২ বার পড়তে হবে।
তরীকা (২)
আবজাদকামরী সংখ্যা অনুযায়ী ১১৩২ কে যখন দিগুন করা হয় তখন এর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ২২৬৪, তাহলে ২২৬৪ বার পড়তে হবে। প্রথম তরীকা থেকে দ্বিতীয় তরীকা বেশি শক্তিশালী এটার ফজিলতও বেশী। ইসমে আযম ও যে কোন দোয়া মনোকামনা করার জন্য পড়ার আগে পড়ে দরুদ শরীফ অবশ্যই অবশ্যই পড়তে হবে।
ইসমে আযমের সাথে দরুদ শরীফ পড়ার গোপনীয় তরীকা
আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। আসা করি এই তরীকা আপনাকে বই পত্রতে পাওয়া যাবে না। এটি আমার জাতি তরীকা যেটি আমলের মাধ্যমে এহলামে বা বাশারতে পাওয়া যায়। আর এই বাশারতটি পাওয়ার জন্য অনেক যিকির আযকার করতে হয়। আর কামেল পীর ও মুরশীদের নজর থাকা লাগে। তা না হলে এটা সম্ভব নয়। এখন দরুদ শরীফ পড়ার একটি তরীকা আপনাকে দেওয়া হলো, যেটি সাধারণত তরীকা দরুদ শরীফ পাঠ করার এটি হলো যে কোন দোয়া পড়ার আগে এবং পরে ৩ বার ৭ বার অথবা ১১ বার দরুদ শরীফ পড়তে হয়।
দ্বিতীয় বিশেষ তরীকা বাশারতি
এটি তরীকা হলো এই যে, নামের সংখ্যা ১১৩২ হল, এটাকে মুফরাদাত করে নিতে হবে। মুফরাদাত করার তরীকা ১১৩২=১+১+৩+২+=৭ মুফরাদাতে আমাদের সংখ্যা (৭) হল। ৭ বার দরুদ শরীফ পড়তে হবে। এই ৭ বার দরুদ শরীফ পড়লে আগে ও পরে এটি ইসমে আযম শরীফের ক্বলবী দরুদ শরীফ হয়ে যাবে।
আসমাউল হুসনার সামান্য কিছু ফলাফল দেওয়া হল:
(ইয়াহু یا ھو ) আসমাউল হুসনার ব্যবপারে তানবীরুল আসমাতে লেখা আছে যে, এটি ইসমে আযম খাস। আর আসমাউল হুসনার এটি প্রথম নাম। যদি কোন ব্যক্তি ২৯বার পড়ে তাহলে দোযখের আগুন তার উপরে হারাম করে দেওয়া হবে। আর যার মন আ্খিরাতের হিসাব কিতাব থেকে ভয়ে কাঁপে তাহলে সে ব্যক্তি (আল্লাহু یا اللہ ) যিকির করলে হাশরে তার মন শান্তিময় থাকবে। (আনওয়ারুল আউলিয়া) আনওয়ারুল আসমায়ে লেখা আছ نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন ব্যক্তি বৃহস্পতিবারের দিন রোজা রাখে আর চিনামাটির বাটিতে (লা- ইলাহা ইল্লাহু) লিখে বর্ষার পানি থেকে ধুয়ে এই পানি থেকে ইফতার করিলে যে, ব্যক্তির ভুলে যাওয়া অভ্যাস আছে সে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তির উপরে যাদুমন্ত্র দ্বারা ক্ষতি করা হয়েছে এই পানিটি খেলে ভালো হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি এই ইসমে আযমটি লিখে নিজের কাছে রাখবে সে ব্যক্তি দুনিয়ার সব বিপদ এবং শত্রু থেকে মুক্তি পাবে এবং সম্মান বৃদ্ধি হবে। যদি কোন ব্যক্তি একটানা বসে ( یا اللہ ھو ইয়া আল্লা ইয়াহু) ১২০০০ হাজার বার পড়বে সে ব্যক্তির জন্য জ্বিন , মানুষ পশু ও পাখি, আকাশ ও বাতাস আল্লাহ পাকের যত মাখলুক দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন সবটি মুশ্বাখখির ও কাবু হয়ে যাবে। আর যে, ব্যক্তি উলুমে মুখফিয়াত শিখার আগ্রহ রাখেন তাহলে সে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ১২০০০ হাজার বার পড়িলে اللہ عز وجل গ্যায়েব থেকে সে ব্যক্তির রুহানি বিদ্যা হাসিল করতে পারবেন। ( یا اللہ ইয়া আল্লাহু)
اللہ عز وجل নামের ভিতরে এই নামটি সব নামের মূল অংশ তানবীরুল আসমায়ে লেখা আছে। যে, ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ১০০০ হাজার বার ( یا اللہ ھو ইয়া আল্লাহ) পড়বে সে মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে, সাহেবে দালায়েল এরশাদ করেন যে কেউ প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ বার পড়বে সে সাহেবে বাতিন ও ক্বাশফ হয়ে যাবে। যে, কেউ ৩১২৫ বার লিখে আটার ভিতরে গুলি বানিয়ে নদী তে ফেলে দিবে একটানা ৪০ দিন যে, কোন মনোকামনা থাকলে সেটি পূর্ন হয়ে যাবে। এ আমলটি করার আগে অবশ্যই কোন রুহানি আমিলের দ্বারা এজাজত নিতে হবে।
( یا رحمن ইয়া রাহমানো)
যে, ব্যক্তি নিজের অলসতার কারণে নিজের জীবনের উপর জুলুম করছেন আর নামাজ রোজা ঠিক মতো আদায় করতে পারছেন না। তারা যদি প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ শতবার (ইয়া রাহমানো) পড়েন তাহলে অলসতা শেষ হয়ে যাবে। ইহকাল ও পরকালের আমল ভালো হয়ে যাবে। যে ছেলে ও মেয়ে পড়ালেখা করতে চায় না বা পড়ালেখায় মন বসে না তাহলে বাসার কোন অভিভাবক প্রত্যেক নামাজের পরে ২৯৮ বার (ইয়া রাহমানো) পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ পানিটি খাওয়ালে বাচ্চার পড়ালেখায় মন বসা শুরু হয়ে যাবে। সাহেবে দালায়েল এরশাদ করেন যে কেউ ফজরের নামাজের পরে ২৯৮ বার (ইয়া রাহমানো) পড়বে,
اللہ عز وجل রহমত তার উপরে নাযিল হইবে। আর মনের ময়লা দূর হয়ে যাবে। যদি কারো মৃগি রোগ থাকে বা যদি কোন মৃগি রোগী রোগের সময় ছটপট করে তাহলে এক নিশ্বাসে ৪০ বার (ইয়া রাহমানো) পড়ে রোগীর কানে ফুঁ দিয়ে দিলে মৃগি রোগী সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান ফিরে আসবে। যদি কারো ক্বাশফ হাসিল করার মনোকামনা থাকে তাহলে কোন রুহানি আমিলের দ্বারায় এজাজত নিয়ে পুরো শর্ত অনযায়ী ২৫০০ বার (ইয়া রাহমানো) ৪০দিন পর্যন্ত একটানা আমল করিলে আল্লাহ পাকের সব ইশরার জানতে পারবে ও দেখতে পারবে। যতদুর আল্লাহ তা’আলা তার ভাগ্যে রেখেছেন। (তানবীরুল আসমা)
( یا رحیم ইয়া রাহীমো)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ২৫৮ বার (ইয়া রাহীমো) পড়বে সে দুনিয়ার সব বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং মৃত্যুর সময় ইমানের সাথে মৃত্যু নসীব হবে, আর পুলশিরাত اللہ عز وجل তার জন্য সহজ করেদিবেন।
( یا ملک یا ملیک یا ملک ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো)
اسماء الحسنی এই আসমাউল হুসনাটির একই রকমের অর্থ ও সিফাআত আছে। এই তিনটি নাম থেকে যেকোন একটি তার সংখ্যা অনুযায়ী পড়বে। ইমাম আলীরাযা (রাঃ) এরশাদ করেন সে ব্যক্তি মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে। আর যদি কোন লোক এই তিনটি আসমাউল হুসনা থেকে কোন একটি ৮ হাজার বার পড়ে যে দোয়া করবে সেই দোয়াটি اللہ عزوجل কবুল ও মনজুর করিবে। যদি কোন বে- রোজগার ব্যক্তি ( یا ملک ইয়া মালেকো) ৯০ বার অথবা ( یا ملیک ইয়া মালীকো) ১০০ বার প্রত্যেকদিন পড়বে তাহলে সে রোজগার হয়ে যাবে। আর অভাব অনটন শেষ হয়ে যাবে। (সাহেবে তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি এই তিনটি (ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো) আসমাউল হুসনা সাথে ( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশু) মিলিয়ে পড়ে যেমন- ( یا ملک القدوس ইয়া মালেকুল কুদ্দুশ) ২৬০ বার পড়ে তাহলে সে লোক অনেক সম্মান লাভ করবে ও ব্যবসা বানিজ্যতে লাভবান হবে। চাকরিতে প্রমোশন হবে। আর যদি কেউ ৯০ বার পড়বে তাহলে তার ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। (দালায়েলুল খায়রাত শরীফ)
( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশো)
যদি কোন ব্যক্তি জাওয়ালের সময় ১৭০ বার (ইয়া কুদ্দুশো) পড়েন তাহলে ঐ ব্যক্তির মন ও ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি ( سبوح قدوس সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) মিলিয়ে জুম্মার নামাজের পরে রুটির উপরে লিখে খেলে আল্লাহ তা’আলার জালওয়া দেখতে পাবেন। যখন শত্রুর ভয়ে পালানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা থাকে না তখন খুব বেশী বেশী করে (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) পড়লে আপনার ও শত্রুর মাঝখানে আল্লাহ তা’আলা একটি দেয়াল তৈরি করেদিবেন। যাতে শত্রু আপনাকে দেখতে পারবে না। (দালায়েল জাফার জালিল) যদি কেউ এই দোয়াটি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) ২২০০ বার পড়বে প্রত্যেকদিন তাহলে সে ব্যক্তির اللہ عز وجل অভাব অনটন দূর করে দিবেন। কোন দিন কারো কাছে হাত পাততে হবে না সব রকমের মনোকামনা اللہ عز وجل গায়েব থেকে পূর্ণ করে দিবেন।
( یا مالک یا میلک یا ملک) ‘ ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো)
এই اسماء الحسنیٰ আসমাউল হুসনাটির একই রকমের অর্থ ও সিফাআত আছে। এই তিনটি নাম থেকে যেকোন একটি তার সংখ্যা অনুযায়ী পড়বে। ইমাম আলীরাযা (রাঃ) এরশাদ করেন সে ব্যক্তি মুশতাজাবুধ দাওয়াত হয়ে যাবে। আর যদি কোন লোক এই তিনটি আসমাউল হুসনা থেকে কোন একটি ৮ হাজার বার পড়ে যে দোয়া করবে সেই দোয়াটি اللہ عزوجل কবুল ও মনজুর করিবে। যদি কোন বে-রোজগার ব্যক্তি( یا ملک ইয়া মালেকো) ৯০ বার অথবা ( یا ملیک ইয়া মালীকো) ১০০ বার প্রত্যেকদিন পড়বে তাহলে সে রোজগার হয়ে যাবে। আর অভাব অনটন শেষ হয়ে যাবে। (সাহেবে তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি এই তিনটি (ইয়া মালেকো, ইয়া মালীকো, ইয়া মালেকো) আসমাউল হুসনা সাথে (ইয়া কুদ্দুশু) মিলিয়ে পড়ে যেমন- ( یا ملک القدوسইয়া মালেকুল কুদ্দুশ) ২৬০ বার পড়ে তাহলে সে লোক অনেক সম্মান লাভ করবে ও ব্যবসা বানিজ্যতে লাভবান হবে। চাকরিতে প্রমোশন হবে। আর যদি কেউ ৯০ বার পড়বে তাহলে তার ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। (দালায়েলুল খায়রাত শরীফ)
( یا قدوس ইয়া কুদ্দুশো)
যদি কোন ব্যক্তি জাওয়ালের সময় ১৭০ বার (ইয়া কুদ্দুশো) পড়েন তাহলে ঐ ব্যক্তির মন ও ক্বালব পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) মিলিয়ে জুম্মার নামাজের পরে রুটির উপরে লিখে খাইলে আল্লাহ তা’আলার জালওয়া দেখতে পাবেন। যখন শত্রুর ভয় পালানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা তাকে না তখন খুব বেশী বেশী করে ( سبوح قدوس সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) পড়লে আপনার ও শত্রুর মাঝখানে আল্লাহ তা’আলা একটি দেয়াল তৈরি করেদিবেন। যাতে শত্রু আপনাকে দেখতে পারবে না। (দালায়েল জাফার জালিল) যদি কেউ এই দোয়াটি (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন) ২২০০ বার পড়বে প্রত্যেকদিন তাহলে সে ব্যক্তির আল্লাহ তা’আলা অভাব অনটন দূর করে দিবেন। কোন দিন কারো কাছে হাত পাততে হবে না সব রকমের মনোকামনা اللہ عزوجل গায়েব থেকে পূর্ণ করে দিবেন।
( یا مومین ইয়া মোমিনু)
হযরত ইমাম হাতুম (রাঃ) ইরশাদ করেন যে কেউ প্রত্যেকদিন ১৩৬ বার (ইয়া মোমিনু) পড়বে তার কাল্ব পরিস্কার হয়ে যাবে এবং তার কাল্বে ইমান লে আসবে। শেখ মাগরাবি (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কেউ ১১৩২ বার (ইয়া মোমিনু) পড়ে তাহলে আল্লাহ লোকের বিপদ থেকে বাঁচতে এবং কঠিন রোগ হইতে হেফাজত করেন। শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কেউ শাহুতে নাফস্ ও মন পরিস্কার করে কোন খালি জায়গায় যেখানে কেউ না থাকে। আর এভাবে পড়বে যাতে তার কান শুনতে পায়। পুরো শর্ত তরীকা অনুযায়ী ৪১ দিন যাওয়ার পর দেয়ালে একটি আলোর নূর দেখতে পাবে। যা লেখে বোঝানো মুশকিল। তখন সেই লোক মারফতে এলাহীর জালওয়া দেখতে পাবে। আর সেই লোকের সম্মান এতো বৃদ্ধি হয়ে যাবে যে, বেঈমান লোক উনাকে দেখলে ইমানদার হয়ে যাবে। যে গুনাহগার ব্যক্তি দেখবে সে গুনাহ থেকে তাওবা করবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا مہیمن ইয়া মোহাইমিনু)
এই ইসমে মোবারক اللہ عزوجل অনেক বড় আজমত আছে, আর শত্রুকে মুশাখখির
করার ফজিলত আছে। যার মন খুব কঠিন ও কঠোর লোক সে যদি পড়ে তার মন মোমের মতো নরম হ যাবে। সে কোনরকম বিপদ হোক না কেন সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হবে। (আনওয়ারুল আসমা) যে লোক এটি পড়বে তার কোন শত্রু হবে না এবং কোন লোক তার শত্রু হবে না। (জাফারে জালিল) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে কেউ ৪০ দিন বা ৭০ দিন সকালে গোসলের আগে থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কারো সাথে কোন রকম কথা না বলে এমন কী ইশারাও না করে, তার পর কোন পাক-পবিত্র কাপড় পড়ে ১৮৪৯৬ বার এই ইসমে আযম ( یا مہیمن ইয়া মোহাইমিনু) পড়ে তাহলে ঐ লোকের এমন তাশখির পয়দা হয়ে যাবে যে, সে নিজেই হয়রান হয়ে যাবে। اللہ عزوجل তামাম মাখলুক তাকে ভালো বাসবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا عزیز یا معز ইয়া আযিযো, ইয়া মোইযযো)
এই দুইটি ইসমের একই তরজুমা হয়। শেখ আবুল আব্বাস ইবনে বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন এই ইসমের সাথে আর কোন ইসমে না মিলিয়ে পড়লে ভালো হয়। কেননা এই ইসমে অনেক কিছু গোপন আছে। যদি কেউ ইসমে শরীফ পড়ে তাহলে সে অনেক সম্মান লাভ করবে। ইমাম আহলে সুন্নাত আলা হযরত শাহ্ ইমাম আহম্মাদ রাযা খান মুহাদ্দীসে বারেলবী। সাজরাহ শরীফ কাদেরীয়াতে ফজর নামাজের পরে ইয়া আযীযো ইয়া আল্লাহ ১০০ বার পড়তে বলেন। যা খান্দানে কাদেরীয়াতে এই তরীকাটি সামিল রয়েছে। এটির অনেক ফজিলত আছে। যে, কোন মনোকামনার জন্য পড়া হবে তা পূরণ হবে। (হযরত আল্লামা ইকবাল আহ্ম্মাদ নুরি) যদি কোন ব্যক্তি রুপার আংটিতে (ইয়া আযিযো ইয়া মোইযযো) খোদাই করে পরে তাহলে শত্রুর ওপর বিজয় লাভ করবে। এমন কি বড় লোক হাকিম ও মিনিষ্টার এর কাছেও সম্মান লাভ করবে। (তানবীরুল আসমা)
যদি কেউ ফজরের নামাজের সময় সুন্নাত ও ফরজের মাঝখানে (یا عزیز یا معز ইয়া আযিযো ইয়া মোইযযো) ২১১ বার পড়লে সবাই তাকে সম্মান করবে। আর সবসময় এই লোকের খিদমত করার জন্য প্রস্তুত থাকবে, আর নিজের ব্যবহারও মধুর হয়ে যাবে।
( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু)
যে ব্যক্তি অভাব অনটনে জীবন যাপন করছেন, তারা যদি এই ইসমেটি পড়ে এবং লিখে নিজের কাছে রাখে তাহলে اللہ عزوجل সে ব্যক্তির অভাব অনটন দূর করেদিবেন এবং সে ব্যক্তির সব দিক থেকে ভালো সংবাদ আস শুরু হয়ে যাবে এমনকি সে নিজেই দেখে হয়রান হবেন। যদি কোন ব্যক্তি চাস্ত নামাজের সময় ৭বার ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) সিজদারত অবস্থায় পড়বে আল্লাহ তার সব মনোকামনা দূর করে দিবেন। যদি কোন ব্যক্তি কোন বিশেষ মনোকামনা থাকে তাহলে অর্ধেক রাত্রে পাক পবিত্র হয়ে তিনটি সিজদাহ্ করবেন। আর প্রত্যেক সিজদাহে ১০০ বার (ইয়া ওয়াহ্হাবু) পড়বে হাতের আঙ্গুল উপরে রাখতে হবে দোয়ার মতো। انشاء اللہ عزوجل ইনশাআল্লাহ্ তিন রাত্রের ভিতরে তার ঐ বিষেশ মনোকামনা পূরণ হয়ে যাবে। (জাফর জলিল) হযরত শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন লোকের কোন রকম বিপদ যদি এসে পরে বা কোন মনোকামনা থাকে বা ধারকর্য নিয়ে জীবন-যাপন করছেন এর থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা হচ্ছে না। বা চাকরিতে সমস্যা এরকম যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অর্ধেক রাত্রে পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) এই ইসমে মোবারক এই আমলটি শুক্রবারের রাত্রে থেকে করতে হবে। যখন নামাজ শেষ হয়ে যাবে তখন মাথা থেকে কাপড় নামিয়ে যদি পুরুষ থাকে তাহলে মাথা তেকে টুপি অথবা পাগরি নামিয়ে মাথা খালি করে দোয়ার জন্য হাত তুলে ১০০ বার ( یا وھاب ইয়া ওয়াহ্হাবু) পড়বে। সে ব্যক্তির যত রকমের মনোকামনা থাকবে اللہ عز وجل সব মনোকামনা পূরণ করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা)
( یا سلام ইয়া সালামু)
যে, কেউ (ইয়া সালামু) ১৩১ বার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ পানি খেলে যেকোন রোগ হইতে মুক্ত পাবেন। ফজরের নামাজের পরে ১০০০বার পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। লোকের কাছে সে ব্যক্তি প্রিয় হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا سلام یا اللہ ইয়া সালামু , ইয়া আল্লাহু)
যে, কোন রোগ হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই দুইটি ইসম শতবারের প্রমাণিত। যে, কোন রোগীর মাথার কাছে বসে ( یا سلام یا اللہ ইয়া সালামু ইয়া আল্লাহু) একটি তশবীহ দ্বারায় পড়তে হবে। তশবীহ যাতে রোগীর মাথায় স্পর্শ করতে থাকে। যখন তশবীহ পড়া শেষ হয়ে যাবে তখন তশবীহটি রোগীর বালিশের নিচে রেখে দিতে হবে, এভাবে তিনদিন একই সময় একটানা করতে হবে। انشاء اللہ عزوجل রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যে কোন মনোকামনার জন্য একা ঘরে বা মসজিদে অর্ধেক রাত্রে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে, তারপর এই আয়াত শরীফ ( سلام قولامن رب الرحیم ) দাঁড়িয়ে এভাবে পড়তে হবে যাতে নিজের কান মুনতে পারে। এভাবে ৪০ দিন এই আমলটি করিলে যাহিরি ও বাতিনি ইলম হাসিল হবে ও পৃথিবীর লোক মুসাখখির হবে। (আনওয়ারুল আসমা)
( یا جبار یا قھار ইয়া জাব্বারু ইয়া কাহ্হারু)
এই দুইটি ইসম জালালি আছে। এটি শত্রু দমন করতে খুবই কার্যকারী। যদি এটা কোন মানুষের নামে এই ইসমেটি থাকে তাহলে সে খুবই রাগি মানুষ হয়। যদি কোন শত্রু দমন করার জন্য এই ইসম পড়া হয় তাহলে খুব কার্যকর হয়। যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি প্রত্যেক দিন পড়বে তার শত্রু সব সময় দমন থাকবে। হযরত ইমাম বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন ৪০ দিন একটানা দশ হাজার বার পড়লে পুরো শর্ত অনুযায়ী তাহলে সে লোক নিজের নাফসের উপর কাবু পেয়ে যাবে। আর দুনিয়ার সব মনোকামনা পূরণ হবে, ও শত্রু দমন হয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত সেক্রা হতে রক্ষা পাবে। যাতে ইমান আমল খারাপ হবে না।
( یا کبیر یا اکبر یا متکبیر ইয়া কাবিরু ইয়া আকবারু ইয়া মোতাকাব্বিরু)
হযরত ইমাম আলী (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কেউ নিজের বউয়ের কাছে সহবাস যাওয়ার আগে দুই বার পড়ে নেয় তাহলে اللہ عزوجل তাকে ছেলে সন্তান দান করবেন। (আনওয়ারুল আসমা) শেখ আব্দুল মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে, এই যিকির সোয়ালেহিন ও আবেদিনের সাথে মিলিত আছে। যে ব্যক্তি এই যিকিরটি পড়বে সে দুনিয়ায় অনেক সম্মান লাভ করবে ও তার সব রকমের শত্রু দমন হয়ে যাবে।
( یا متکبیر ইয়া মোতাকাব্বিরু)
যে ব্যক্তি ফজর নামাজের পরে ৬৩৬বার পড়ে তার মন ও কাল্ব পরিস্কার হযে যাবে।
( یا کبیر ইয়া কাবিরু)
২৩২ বার পড়লে বুজুরগী হাসিল হবে ও সম্মান বৃদ্ধি হবে।
( یا خالق یا باری یا مصور ইয়া খলিকু ইয়া বারিও ইয়া মুসাউয়িরু)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি যিকির করবে তার শিক্ষা ইলম বৃদ্ধি পাবে আর লোকজন তাকে ভালো বাসবে। (আনওয়ারুল আসমা) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তির ছেলে সন্তান হয় না বা অভাব অনটনে জীবন যাপন করে, তারা যদি এই ইসমে টি পড়ে তাহলে ছেলে সন্তান লাভ হবে এবং অভাব অনটন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا خالق ইয়া খালিকু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে আল্লাহ তার জন্যে একটি ফেরেশতা পয়দা করবেন আর সেই ফেরেশতা যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবেন। আর যে, ব্যক্তি এই ইসমে টি পড়বে তার চেহারা নূরানী হয়ে যাবে।
( یا باری ইয়া বারিও)
যে, ব্যক্তি শনিবারের দিন ১০০ বার পড়বে আল্লাহ সে ব্যক্তিকে কবর থেকে নিয়ে রেয়াদে রাখেন। আর যার ঘরে সন্তান হয় না সে ব্যক্তি যদি ৭দিন রোজা রাখে আর ইফতারের কিছুক্ষণ আগে
( یا مصور ইয়া মুসাউয়েরু)
১১ বার পড়ে পানির উপরে ফুঁ দিয়ে ঐ পানি নিজের বউকে খাওয়ালে আল্লাহ ছেলে সন্তান দান করবেন, আর সেই সন্তান চরিত্রবান হবে।(জাফারে জালিল)
( یا غفور یا غفار یا عفو ইয়া গাফুরু, ইয়া গাফ্ফারু , ইয়া আফুউ)
ইমাম জাফর সাদিক (রাঃ) এরশাদ করেন যখন মানুষের রোজগার কম হয়ে যায় আর চারিদিক থেকে কষ্ট হতে থাকে আর কোন রাস্তা যদি না পাওয়া যায় তখন পরিস্কার মনে আল্লাহর কাছে তওবা করে এই ইসমেটির যিকির করলে টাকা-পয়সা বৃদ্ধি হয় ও কষ্ট দূর হয়ে যাবে এবং ছেলে সন্তান লাভ হয়, আর সব রকম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ও শত্রু দমন হয়।
( یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু)
টাকা পয়সা মানুষের জীবনে সবচেয়ে জরুরী জিনিস যে,ব্যক্তি
(ইয়ারাজ্জাকু)
৩০৮ বার পড়বে اللہ عزوجل নিজের গায়েব থেকে রুজি ও টাকার ব্যবস্থা করে দিবেন। যে, ব্যক্তি ফজরের নামাজের আগে ঘরের চার দেয়ালের কোনায় দাঁড়িয়ে মুখ কিবলার দিকে করে ১০ বার করে ( یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু) পড়বে সে ঘরে কোনদিন অভাব-অনটন থাকবে না। তরীকা হলো যে কোনায় দাঁড়াবে মুখ কিবলার দিকে থাকবে আর হাতের ডান পার্শ্বের কোনা থেকে শুরু করতে হবে। এটি শত বারের প্রমাণিত। (জাফারে জলিল) যে, ব্যক্তি
(یا رزاق ইয়া রাজ্জাকু) ৩০৮ বার পড়বে তার রিযিক اللہ عزوجل বৃদ্ধি করে দিবেন।
( یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু)
এই ইসমে মোবারকটি দুনিয়ার যে কোন আফত-বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য ও মুসকিল আসান করার জন্য এটি শতবারের প্রমাণিত। (জাফারে জলিল) যে, ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে দুই হাত বুকের উপর রেখে (یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু) ৭০ বার পড়বে সে ব্যক্তির হৃদয় আয়নার মত পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যারা স্কুল কলেজে পরীক্ষার সময় অথবা কোন নতুন কাজ শুরু করার সময় ৪৮৯ বার পড়বে সে কাজ সফল হবে। শেখ বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন। যে, ব্যক্তি (یا فتاح ইয়া ফাত্তাহু) বেশি বেশি করে পড়বে তার প্রত্যেক কাজ সফল হবে। এবং অভাব-অনটন শেষ হয়ে যাবে।
(یا علم یا علیم ইয় আলেমো, ইয়া আলিমু)
হযরত ইমাম হাম্মাম আলী (রাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি (یا علم یا علیم ইয় আলেমো, ইয়া আলিমু) নিজের মনে মনে বেশি বেশি করে পড়তে থাকলে সে ব্যক্তিকে اللہ عزوجل বেশি বেশি করে ইলম ও বিদ্যা দান করেন। এই ইসমে থেকে ইশতাখারা করা যায়। যে, রকম মনোকামনা যেমন-কোর্ট-কেশ, কোনো কাজের ভালোমন্দ, ব্যবসায় উন্নতি ও ক্ষতি, বন্ধুত্ব ও শত্রুতা যে কোনো কাজের জন্য ইশতাখারা করার দরকার হলে শুক্রবারের অর্ধেক রাত্রে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। সূরা ফা্তিহার পর ৩ বার সূরা ইখলাস পড়ে নামাজ শেষ করতে হবে। তারপর (یا علم یا علیم ইয়া یا علم یا علیم আলেমো, ইয়া আলিমু) ১৫০ বার পড়ে দোয়া করতে হবে। তারপর ঘুমিয়ে পরতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম আসবে না ততখন পর্যন্ত মনে মনে এই ইসমেটি পড়তে থাকতে হবে। প্রথম রাত্র থেকে ৩য় রাত্রের ভিতরে সবকিছু স্বপ্নেতে দেখতে পাবে। এর জন্য বিছানা ও কাপড় সবকিছু অবশ্যই পাক-পবিত্র হইতে হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قابض ইয়া ক্বাবিদু)
যদি কারো শত্রু এমন হয়ে যায় যে, তার থেকে নিজের জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহেল তিন রাত্র একটানা শত্রুর নিয়ত করে
(یا قابض ইয়া ক্বাবিদু) পড়লে শত্রু দমন হয়ে যাবে। আর যদি কোনো ব্যক্তির কোনো মুশকিল আসানের জন্য যদি পড়ে তার মুশকিল আসান হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি টাকা-পয়সা ও মালামাল দেওয়া- নেওয়ার ক্ষেত্রে (یا قابض ইয়া ক্বাবিদু) পড়ে তার দেওয়া- নেওয়ার কাজে কোনদিন ক্ষয়ক্ষতি বা চিটারি হবে না। (তানবীরুল আসমা)
(یا باسط ইয়া বাশিতু)
ইমাম আযম (রাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে আসমানের দিকে হাত তুলে ১০ বার (ইয়া বাশিতু) পড়বে তারপর হাত নিজের মুখের উপরে বুলিয়ে নিবে اللہ عزوجل সে ব্যক্তিকে কোনদিন কারো সাহায্য প্রয়োজন থাকবে না। আর অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
(তানবীরুল আসমা)
(یا خافض ইয়া খাফিদু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে শত্রু হতে রক্ষা পাবে। যে, ব্যক্তি নিজের নাফ্স হায়ওয়ানি থেকে বেঁচে এই ইসমেটি পড়বে اللہ عزوجل ইস্রার সে ব্যক্তির উপরে নাযিল হয়ে যাবে। আর দুনিয়ার যত বড় জালিম লোক হোকনা কেন এই লোককে দেখলে তার মনে নিজেই ভয় চলে আসবে।
(তানবীরুল আসমা)
(یا رافع ইয়া রাফেও)
যে, ব্যক্তি ৩ দিন রোজা ১১, ১২, ১৩ রাখবে চতুর্থ দিন চাঁদের ১৪ তারিখে রাত্র হবে। এই ১৪ তারিখে রাত্রে ৭০,০০০ হাজার বার (یا رافع ইয়া রাফেও) পড়লে শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে। আর মানুষের ভিতরে এক সম্মানি মানুষ হবে ও টাকা-পয়সা বৃদ্ধি পাবে এবং অভাব-অনটন শেষ হয়ে যাবে। (জাফর জলিল)
(یا مذل ইয় মোযিল্লো)
শেখ জালালউদ্দিন মাহমুদ তাবরেজি (রাঃ) এরশাদ করেন। যদি কোন লোকের শত্রু এমন হয়ে যায় যে, নিজের জীবনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে পুরো পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হইবে। নামাজের শেষে আবার সেজদা করিতে হইবে আর সেই সেজদায়ে গিয়ে ৭৭ বার (یا مذل ইয়া মোযিল্লো) উচ্চস্বরে পড়তে হবে, ঐ শত্রু নিজের হয়রানির শিকার হয়ে যাবে আর এই লোককে ভুলে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا سمیع ইয়া সামিও)
হযরত আলী (রাঃ) এরশাদ করেন। যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে সে মুশতাজাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। তবে শর্ত এই আছে যে, সেই ব্যক্তি যেন কারো গিবত না করে আর গিবত না শুনে মুত্তাকি ও পেরহেজগার হইতে হবে। মুহাম্মাদ আহম্মাদ তামীমি (রাঃ) এরশাদ করেন যদি কোন ব্যক্তি এই আয়াত শরীফটি فسیکفیکھم اللہ وھوالسمیع العلیم ফজরের নামাজের পরে ৭ বার পড়ে তাহলে সারাদিন اللہ عزوجل তাকে হেফাজত করবেন। আর সব বালামুশিবত থেকে সেই লোক রক্ষা পাবে।
(তানবীরুল আসমা)
( یا بصیر ইয়া বসীরু)
এই ইসমেটি যিকির করলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দেন। উলমায়েএকরামরা বলেন, যারা এই ইসমের যিকির করে আর কারো গীবত যদি না করে তাহলে তার বাতিনী পরিস্কার হয়ে যাবে। এই ইসমের যিকির করে আম্বিয়া আলায়হিস সালামদের اللہ عزوجل মিরাজ নসীব হয়েছে। আর আউলিয়াএকরামরা যিকির করে اللہ عزوجل ভালোবাসা ও মেরাজ নসীব করেছেন। যে, ব্যক্তি শুক্রবারের দিন ফজর ও সুন্নতের মাঝখানে ১০০ বার যদি (ইয়া বাসীরু) পড়ে তাহলে اللہ عزوجل ইশরার এলাহি সফল হবে।
(তানবীরুল আসমা)
(জাফার জালিল) এ লেখা আছে বৃহস্পতি ও শুক্রবারে নামাজ ফজরে সুন্নত ও ফরজের মাঝখানে অথবা আসরের নামাজের সুন্নত ও ফরজের মাঝখানে ( یا بصیر ইয়া বাসীরু) পড়বে আর জামা’আতের সাথে নামাজ আদায় করিবে তাহলে উপরের লেখাগুলো ফলাফল পাবে। (আল্লামা ইকবাল আহম্মদ নুরি)
( یا حاکم یا حکیم ইয়া হাকেমু, ইয়া হাকিমু)
এই ইসমে খুব অদ্ভুত ফজিলত রয়েছে। যদি কোন গীবতের সময় বা কোন কয়দি এটি বেশি বেশি করে পড়বে তো সেই ব্যক্তি বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এবং কয়েদ থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে। আর যদি কোন অভাব-অনটন ওয়ালা ব্যক্তি যদি ( یا حاکم یا حکیم ইয়া হাকেমু ,ইয়া হাকিমু) এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে তাহলে তার অভাব-অনটন দুর হয়ে যাবে। শেখ বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে তাহলে اللہ عزوجل তার জন্যে রহমতের দরজা খুলে দিবেন।
(তানবীরুল আসমা)
(یا عادل یا عدل ইয়া আদেলো, ইয়া আদলো)
যে, মুমিনগণ কবরে ও হাশরের হিসাব কিতাব থেকে ভয় পান তারা যদি এই ইসমেটি বেশি বেশি করে পড়বে সে ব্যক্তির জন্যاللہ عزوجل এরশাদ করেন, আমি সে ব্যক্তিকে আমার রহমতের দ্বারা মাফ করে দিব কিন্তু যদি আমার কোন বান্দার উপরে হক থাকে তাহলে আমি মাফ করব না। যখন পর্যন্ত সে বান্দা মাফ করে না দেয়। যদি কেউ শুক্রবারের রাত্রে ১২টি রুটির টুকরার উপরে লিখে খেয়ে নেয় তাঁর নূর ও ইমান বেশি বেশি হয়ে যাবে। আর তাঁর খারাপ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর যদি কেউ ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে কারো সাথে কথা বলার আগে ৫৩১৬ বার পড়লে তাহলে اللہ عزوجل সে ব্যক্তির শত্রুকে দমন করে দিবেন। আর যে, ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের আগে চার বার আল আদল পড়বে, সে দোয়াএ মুসতাজাব হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তি শুক্রবারের দিন ২০ রুটির টুকরার উপর লিখে খাইলে اللہ عزوجل সব মাখলুক মুশাখখির হয়ে যাবে। (জাফার জলিল)
( یا لطیف ইয়া লাতিফু)
এই ইসমে মোবারকের রহমতে যারা ইলম শিখতে চায় বা কোন বিদ্যা অর্জন করতে চায় তাঁদেরকে اللہ عزوجل ইলম ও বিদ্যা দান করেন। আবেদিন ও মোমেনিনের ইমাল এই ইসমের সদকায় ফেরেশতারা আসমানে নিয়ে যায়ে। যারা এই ইসমের যিকির করবে তাঁদের জন্য শর্ত তারা যেন মানুষকে বেশি বেশি করে ভালো বাসে। যাতে اللہ عزوجل ঐ যিকির করা ব্যক্তিকে রহমতের চোখে দেখেন। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তির রোজগার নেই বা অভাব-অনটনে জীবন-যাপন করছেন বা যাদের মেয়ে আছে বিয়ে দেওয়া সমার্থ নেই বা বিয়ের প্রস্তাব আসছে না তাঁরা ভালোভাবে অজু করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে ১০০ বার ( یا لطیف ইয়া লাতিফু) খুব মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে তারপর اللہ عزوجل কাছে কেদে কেদে দোয়া করতে হবে। তাড়াতাড়ি যে, মোনকামনার জন্য পাঠ করা হয়েছে সেইটি পূরণ হবে। (জাফার জলিল)
(یا خبیر ইয়া খাবিরু)
এই ইসমে আমিল ব্যক্তি স্বপ্নতে ও সজাগ অবস্থা গুপ্ত কথা জানার ক্ষমতা اللہ عزوجل দান করেন। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি দুই রাকাত নামাজ আদায় করে ঐ নামাজের সওয়াব সাইইয়াদুনা গাউসুল আজম (রাঃ) কে পৌছে দিয়ে ১২১ বার এ আজমীয়াতটি পড়বে یا علیم علمنی یا رشید ارشدنی یا خبیر اخبرنی । তাহলে স্বপ্নতে বা ঘুম ঘুম অবস্থায় যে কাজের জন্য এই ইসতেখারাটি পড়ছে সে দেখতে পাবে (মাজমুয়ায় আমাল) যে ব্যক্তি নিজের নাফসের গোলাম হয়ে গেছে। নামাজ ও রোজা করে না সে ব্যক্তি যদি বেশি বেশি করে (ইয়া খাবিরু) পড়ে সে ব্যক্তি ইবাদতগার হয়ে যাবে। (জাফার জলিল)
(یا حلیم ইয়া হালিমু)
উলমারা অনুসন্ধান করে এরশাদ করে যে, এই ইসমেটির বরকতে اللہ عزوجل সকল মাখলুকের পানি ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই ইসমেটির বরকতে সমস্ত দুনিয়া কায়েম আছে। যদি কোন ব্যক্তি ৮৮৩ বার ( یا حلیم ইয়া হালিমু) পড়ে তাহলে দুনিয়ার সমস্ত লোক তাঁর দয়ালু হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যদি কোন ব্যক্তি একটি কাগজে ( یا حلیم ইয়া হালিমু) লিখে পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি ফসলের খেতে ছিটালে ফসল বৃদ্ধি হবে ও পোকা-মাকড় হইতে রক্ষা পাবে। (জাফার জলিল) শেখ হাজী নাসরুদ্দিন ও শেখ আব্দুল মাজিদ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোন রোগীর মাথার কাছে বসে একবার সূরা ফাতিহা ও দশ বার ( یا حلیم ইয়া হালিমু) পড়লে রোগীর রোগ হইতে আরোগ্য লাভ করবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا عظیم ইয়া আজিমু)
শেখ মাগরাবি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, কোন ব্যক্তি ( یا عظیم ইয়া আজিমু) যিকির করে সে লোক যে কোন ব্যক্তির দিকে তাকালে সেই তাঁর মদদের জন্য দাড়িয়ে পরবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا شکور ইয়া শাকুরু)
اللہ عزوجل এর আউলিয়াগণ এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ( یا شکور ইয়া শাকুরু) বেশি বেশি করে যিকির করবে সে মুসতাজাবুত দাওয়াত হয়ে যাবে। আর اللہ عزوجل তরফ থেকে ইনাম পাবে। আর সে সাহেবে কাশফ হয়ে যাবে। পরকালে তাঁর জন্য নেকির আমল জমা হতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তির চোখের জ্যোতি কম হয়ে গেছে বা কম দেখতে পায় সে ব্যক্তি ৪১ বার (یا شکور ইয়া শাকুরু) পড়ে দুই হাতে পানি নিয়ে মুখ ও চোখ ধুলে চোখের জ্যোতি ভালো হয়ে যাবে।
( یا علی ইয়া আলিও)
যদি কোন ব্যক্তিকে মানুষ মান সম্মানের চোখে দেখে না যেখানে যায় সেখানেই সম্মান হারায় আর অভাব- অনটনে জীবন যাপন করে। সে ব্যক্তি যদি (ইয়া আলিও) ১১০ বার পড়ে আর এই ইসমের আংটি ব্যবহার করে তাহলে মান সম্মান লাভ করবে ও অভাব- অনটন দূর হয়ে যাবে। যে, মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না সেই মেয়ে যদি এই ইসমের আংটি পরে আর বেশি বেশি করে ( یا علی ইয়া আলিও) পড়ে তাহলে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যাবে। আর খুব তাড়াতাড়ি তাঁর বিয়ে হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا حافظ یا حفیظ ইয়া হাফেযো, ইয়া হাফিযো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমের যিকির করবে সে ব্যক্তি জালিম শয়তান ও কীট- পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আর যে, ব্যক্তি বন-জঙ্গলে কাজ করে তারা যদি এই ইসমটি পড়ে তাহলে বন-জঙ্গলের পশু থেকে রক্ষা পাবে। যে, বাচ্চার উপর কোন রকম দ্বৈত্য ভূত ও বদ- জ্বীনের কোন রকমের খারাপ প্রভাব থাকে তাহলে এই ইসমের তাবিজ লিখে বাচ্চার গলায় পড়িয়ে দিলে বাচ্চা হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا مقیت ইয়া মুকিতো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে ব্যক্তি নিজের নাফ্সের উপরে কাবু পেয়ে যাবে। আর নিজের রূহকে মুসাখখির করতে সক্ষম হবে। আর শত্রু দমন হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا حسیب ইয়া হাসিবো)
এই ইসমেটির বরকতে ক্রামান ও কাতেবিন বান্দার আমল দেখতে সক্ষম হন। শত্রুর বদমেজাজ ও খারাপ চরিত্রের মহিলা বা পুরুষ যদি এই ইসমটি সব সময় বেশি বেশি করে পড়ে অথবা বুধবার বা বৃহস্পতিবারে রোজা রাখে আর প্রত্যেক নামাজের পর ৭৭ বার ( یا حسیب یا اللہ ইয়া হাসিবো, ইয়া আল্লাহু) পড়ে তাহলে আল্লাহর রহমতে তাঁর কিছু দিনের ভিতরে সব বদ- অভ্যাস শেষ হয়ে যাবে। আর সব শত্রু তার দমন হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি এই ইনমের সংখ্যা অনুযায়ী প্রত্যেকদিন পড়বে তাঁর সব মনোকামনা পূরণ হবে ও সব বালা- মশিবত থেকে রক্ষা পাবে। (জাফারে জলিল)
( یا جلیل یا ذاالجلال والاکرام ইয়া জালিলো ,ইয়া যুল জালালে ওয়াল একরাম)
এই দুইটি ইসমের একই রকম উপকার রয়েছে। হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন এই দুইটি ইসম থেকে কোন একটি ইসম একটানা ৭দিন রুটির একটি টুকরার উপরে লিখে নিজে খেয়ে বাকি রুটি সদকা করে তাহলে সব মাখলুক তাঁর মুসাখখির হয়ে যাবে আর দুনিয়াতেও খুব সম্মান লাভ করবে ও সব রকমের মনোকামনা পূরণ হবে। যদি কোন ব্যক্তি একটি সাদা কাগজে এই ইসমেটি লিখে ঘরে অথবা দোকানে লাগালে অনেক বরকত লাভ করবে। (জাফারে জলিল) যে, গর্ভবতী মহিলা এই ইসমেটি লিখে নিজের কোমরে পরবে সে মহিলা গর্ভপাত হতে রক্ষা পাবে। আর যদি কোন বাচ্চাকে পরানো হয় সে বাচ্চা দ্বৈত্য ও বদজ্বীন হইতে রক্ষা পাবে।
( یا مقسط ইয়া মুকসিতো)
এই ইসমেটি খুবই শক্তিশালী যে, ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির করবে সে ব্যক্তির কোন শত্রু ক্ষতি করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তির হক বা জায়গা জমিন বা কোন মহিলার স্বামী তাঁর সম্পত্তি দখল করে নেয় তাহলে এই ইসমেটির সংখ্যা অনুযায়ী ৪০ দিন পড়লে নিজের হক ফেরত পাবে। এবং স্বামী সে মহিলাকে ভালোবাসতে শুরু করবে। আর যদি স্বামী স্ত্রীতে মিল না থাকে তাহলে এই ইসমেটি ৪০ দিন যিকির করলে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া- বিবাদ শেষ হয়ে যাবে। আর স্বামী স্ত্রী ভালোবাসার জীবন যাপন করবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا جامع ইয়া জামেও)
এই ইসমেটির বরকতে আল্লাহ হযরত সুলায়ইমান বিন দাউদ (আঃ) এর জন্য সব মাখলুককে মুসাখখির করে দিয়েছেন। (তানবীরুল আসমা) যে, কোন ব্যক্তি বিপদ গ্রহস্থ হয় বা তাঁর কেউ আপনজন তাঁকে ছেড়ে চলে যায় আর তাঁর জন্য মন ব্যাকুল থাকে তাহলে রবিবারের দিন নামাজ চাস্তের সময় গোসল করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতে হবে। তারপর আসমানের দিকে মুখ করে দুই হাত তুলে ১০ বার ( یا جامع ইয়া জামেও) এই ভাবে পড়তে হবে যখন ১বার পড়বে তখন ডান হাতের ছোট আঙ্গুলটি বন্ধ করবে। এভাবে করে বুড়ো আঙ্গুল পর্যন্ত বন্ধ করবে। এভাবে বাম হাতের ছোট আঙ্গুল থেকে শুরু করে বুড়ো আঙ্গুল পর্যন্ত বন্ধ করবে। তারপর কিছু সময় পর্যন্ত ( یا جامع ইয়া জামেও) পড়তে থাকতে হবে। যখন মন অস্থিরতা হতে থাকবে তখন মুঠ খুলে নিজের চেহারা ও মুখে বুলিয়ে নিতে হবে।انشاء اللہ عزوجل খুব তাড়াতাড়ি যার জন্য এই আমল করা হয়েছে সে আপনার ভালোবাসায় দিওয়ানা হয়ে আপনার কাছে ছুটে আসবে। (জাফারে জলিল) এই আমলটি পর পুরুষ বা পর মহিলার জন্য কোনদিন করবেন না। তাহলে আপনি গুনাহগার হবেন। আর হাশরের ময়দানে আপনাকে হিসাব দিতে হবে। এর জন্যে আমিল দায়ী থাকবে না।
( یا کریم ইয়া করীমো)
শেখ আবুল আব্বাস আহম্মাদ ইবনে আলী বুনি (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমের যিকির করবে সে মান-সম্মান লাভ করবে ও মুস্তাজাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। তার অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে। আর যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় ( یا کریم ইয়া করীমো) পড়তে পড়তে ঘুৃমিয়ে যাবে সে ব্যক্তির জন্য সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা দোয়া ও মাগফেরাত করতে থাকবে।
(یا رقیب ইয়া রাকিবো)
এই ইসমেটি যে, পড়বে তার চেহারার সৌন্দর্য বেড়ে যাবে ও সন্তান, ধনসম্পত্তি সে অর্জন করতে পারবে। আর শত্রু তার দমন হয়ে যাবে। হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তির শত্রু অনেক শক্তিশালী হয় যার থেকে নিজের জানমালের ভয় হয়, আর সে তার সাথে মোকাবেলা করার শক্তি যদি না থাকে তাহলে প্রত্যেক নামাজের পরে ৭ বার (ইয়া রাকিবো) পড়লে সেই শত্রু নিজেই নিজেই দমন হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا مجیب ইয়া মুজিবো)
এই ইসমেটির বরকতে হযরত ইসমাঈল যাবীউল্লাহ আলায়হি সালামের উপরে ছুরির ধার কার্যকারী হয় নাই। হযরত ইমাম আলী রাযা আনহা এরশাদ করেন এই ইসমেটি ১০০০ হাজার বার পড়ে যে, কোন দোয়া করবে তার দোয়া কবুল হবে। যদি কোনো দোয়া ও আমলের শেষে ২৬ বার এই ইসমেটি পড়লে সে দোয়া বা আমল খাব তাড়াতাড়ি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। (তানবীরুল আসমা) শেখ সাহাব্বুদ্দীন শহরওয়ার্দী এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি (یا مجیب ইয়া মুজিবো)
তাবিজ লিখে নিজের কাছে রাখবে দুনিয়ার সব রকম বালা-মুশিবত থেকে হেফাজতে থাকবে। যদি কোনো ব্যক্তি এক বসায় ৯০,০০০ হাজার বার পড়বে, সে যা দোয়া করবে আল্লাহর কাছে তা কবুল হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا واسع ইয়া ওয়াশিও)
উলমারা এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ১৩৭ বার প্রত্যেকদিন (ইয়া ওয়াশিও) পড়বে তার উপরে اللہ عزوجل রহমত নাযিল হবে। এবং তার কৃপণতা শেষ হয়ে যাবে আর যদি কোনো ব্যক্তি ১০২৫ বার পড়বে, সে ব্যক্তি দুনিয়া অনেক মানসম্মান লাভ করবে এবং তার অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
(یا ودود ইয়া ওয়াদুদু)
এই ইসমে ভালোবাসার জন্য খুবই জনপ্রিয় আমল। যে, ব্যক্তি ( یا ودود ইয়া ওয়াদুদু) যিকির করে আর মানুষকে ভালোবাসে সে ব্যক্তিকে اللہ عزوجل নিজের মাহবুব বানিয়ে নিবেন। (তানবীরুল আসমা) হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের নাফ্সের গোলাম হয়ে যায় বা মদখোর বা জিনাখোর হয়ে যায়, বা মোমিন মুসলমানের শত্রু হয়ে তবে সে ব্যক্তি যদি ৯৬০ বার (یا ودود ইয়া ওয়াদুদু) পড়ে আর আগে ও পরে এই আয়াত শরীফট انہ ھو یبدی و یعید و ھوالغفور الودود ذوالعرش المجید فعا لمایرید ৫৩ বার পড়ে তার পর নিজের জন্য সে ব্যক্তি কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে ব্যক্তি পুরুষ হোক বা মহিলা اللہ عزوجل তার সব গুনাহকে মাফ করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা)
(یا ماجد یا مجید ইয়া মাজেদো, ইয়া মাজিদো)
যে, ব্যক্তি বেশি বেশি করে ইজ্জত ও সম্মান লাভ করতে চায় এই ইসমেটি যিকির করলে اللہ عزوجل তার ইজ্জত ও সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন ও তার অভাব-অনটন দূর করে দিবেন। যার বিয়ের প্রস্তাব আসে না আর বিয়ের বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে সে মহিলা বা পুরুষ এই ইসমেটি বেশি বেশি পড়লে তার বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যাবে এবং খুব জ্বলদি কোনো ভালো জায়গায় বিয়ে হয়ে যাবে।
(یا باعث ইয়া বাইসো)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে তার ক্বলব পরিস্কার হয়ে যাবে এবং শয়তানের শত্রুতা থেকে হেফাজতে থাকবে। যে, ব্যক্তি উত্তেজিৎ, কৃপণ বা ভুলে যাওয়া রোগ থাকে তাহলে রাত্রে ঘুমানোর সময় বুকে হাত রেখে ৫০০ বার (یا با عث ইয়া বাইসো) পড়ে তাহলে তার রোগগুলো ভালো হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ আব্দুল মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, মানুষের জীবনে যে কোনো রকম বালা ও মুশিবত ও শারীরিক মানসিক রোগ থাকে তাহলে এই ইসমেটির যিকির করলে তার রোগ গুলো ভালো হয়ে যাবে। আর তার সাহস বৃদ্ধি পাবে। (তানবীরুল আসমা)
( یا شاہد یا شہید ইয়া সাহিদো, ইয়া সাহেদো)
উলমারা অনুসন্ধান করে এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটি পড়বে আর খারাপ কাজ হতে দূরে থাকবে, আর নিজের জবানের উপর কাবু রাখবে তাহলে সেই ব্যক্তির পুরো পরিবার বালা-মুশিবত হতে اللہ عزوجل হেফাজতে থাকবে। যার বউ ও বাচ্চা অবাধ্য হয়ে যায় তাদের ভাল পথে আনার জন্য তাদের কপালে ডান হাত রেখে (ইয়া সাহিদো ইয়া সাহেদো) ইসমেটি ২১ বার পরে ফুঁ দিলে কয়েকদিনের ভিতরেই তারা বাধ্য হয়ে যাবে এবং ভালো পথে চলে আসবে।
(یا حق ইয়া হাক্বকো)
যদি কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে যায় বা কোনো কিছু দেওয়া নেওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায় বা কোর্ট-কাচারি ও বিচার-শালিষে লোক বিচার করতে জমা হয় আর সে যদি সত্যের পথে থাকে কিন্তু লোকজন বিপক্ষে হয়ে যায় তাহলে, ( یا حق ইয়া হাক্বকো) বেশি বেশি করে যিকির করলে اللہ عزوجل ঐ ব্যক্তির জায়েয ফায়সালা করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা) শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন, যদি কোনো ব্যক্তির কোনো জিনিসপত্র হারিয়ে যায় বা কোন লোক হারিয়ে যায়, তাহলে একটি সাদা কাগজের উপরের এক কুনায় (یا حق ইয়া হাক্বকো) লিখে আর অন্য এক কুনায় হারিয়ে যাওয়া জিনিসের নাম বা হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম লিখে যে, ঘর থেকে হারিয় গিয়েছে সে ঘরে ঝুলিয়ে দিতে হবে। হারিয়ে যাওয়া জিনিস পাওয়া যাবে আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে اللہ عزوجل তার বদলে তার থেকে ভালো জিনিস দান করবেন। ও হারিয়ে যাওয়া মানুষের সন্ধান পাওয়া যাবে। (তানবীরুল আসমা) আর জাফার জলিলে লেখা আছে ঐ নাম লেখা কাগজটি হাতে দোয়ার মতো নিয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে (ইয়া হাক্বকো) ১০৮ বার পড়লে, হারিয়ে যাওয়া জিনিস পাওয়া যায়। বা আল্লাহ তার থেকে ভালো জিনিস দান করেন। আর যদি কোনো কয়েদি অর্ধেক রাত্রে মাথায় টুপি ছাড়া ১০৮ বার ( یا حق ইয়া হাক্বকো) পড়বে, তাহলে সেই ব্যক্তির কয়েদ থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে।
(یا وکیل ইয়া ওয়াকিলো)
যারা এই ইসমেটির যিকির করবে সে সব রকমের বিপদ ও ভয় থেকে হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ বুনী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির তিরাওয়াত করবে তার সব রকমের মনোকামনা পূর্ণ হবে, আর সফরে থাকা অবস্থায় যে পড়বে যখন পর্যন্ত সে নিজের দেশে আসবে না তখন পর্যন্ত সে হেফাজতে থাকবে। আর যদি কোন কয়দি বা কর্যদার ব্যক্তি যদি এটা পড়ে ধারকর্য থেকে মুক্তি পাবে এবং কয়দি রেহাই পাবে এবং শত্রু থেকে হেফাজতে থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قیوم ইয়া কাওয়িয়ু)
এই ইসমেটি অনেক শক্তিশালী। যে কোন কাজের জন্য এটা পড়া হয় সেটা খুব জলদি পূর্ণ হয়ে যায়। এই ইসমেটি যে পড়বে আর সে ব্যক্তি যদি সৎ থাকে তাহলে পুরো দুনিয়ার লোক ও যদি তার শত্রু হয়ে যায় তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(یا متین ইয়া মাতিনো)
যে, ব্যক্তি এটি পড়বে আর নিজের চোখকে হারাম কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে তাহলে সে দুনিয়ায় অনেক মানসম্মান লাভ করবে এবং তার শত্রু দমন হবে। (তানবীরুল আসমা) যে বাচ্চাকে হাঁটতে দেরি হয় সে বাচ্চাকে এই ইসমেটির তাবিজ পড়ালে সে জলদি হাঁটতে শুরু করবে আর মায়ের দুধ ও তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করবে। (জাফার জলিল)
(یا حامد یا حمید محمود ইয়া হামেদো, ইয়া হামিদো, ইয়া মাহমুদো)
এই ইসম পাকের মত সুনাম করা যায়তত কম। এই ইসমটি যিকির করলে দুনিয়ার সব মনোকামনা পূর্ণ হয়। যদি কেউ বাসা থেকে হারিয়ে যায় বা পালিয়ে যায় তখন এই ইসমটি পড়লে সে খুব জলদি বাসায় ফিরে আসে। আর যদি স্বামী-স্ত্রীতে মিল না থাকে তাহলে এই ইসমটি পড়লে স্বামী-স্ত্রীতে মিল হয়ে যায় এবং ভালবাসার জীবনযাপন করে।
(یا محصی ইয়া মুহসি)
যে, ব্যক্তি এটি বেশি বেশি পড়বে সে ব্যক্তি কবর ও হাশরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে ও اللہ عزوجل আল্লাহর রহমত তার ওপর নাযিল হবে। যে শুক্রবারের দিনে বা রাত্রে ১০০০ বার পড়বে তার হাশরের হিসাব-কিতাব সহজ হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি হিসাব পত্রের কাজ করে বা এমন কোন কাজ করে যেটার ব্রেন থেকে সম্পর্ক বেশি থাকে সে ব্যক্তি যদি এটি বেশি বেশি করে পড়ে তাহলে তার সব কাজ সহজ হয়ে যাবে এবং যেখানে তার ভুল হবে সে দেখতে পাবে আর ভুল সংশোধন করে নিতে পারবে। যে ব্যক্তি স্কুল- কলেজের পরীক্ষার সময় এটি বেশি বেশি করে পড়বে। সে পরীক্ষায় উত্তিীর্ণ হবে
(یا مبدی یا معید ইয়া মুবদিও, ইয়া মুইদো)
যে, ব্যক্তি কোন বিপদের সময় বা নতুন কোন কাজ শুরু করার আগে এই ইসমটি ৫৬ বার যদি পড়ে তাহলে তার কাজ সফল হবে। (তানবীরুল আসমা) শেখ আব্দুল মাজিদ মাগরবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি পুরুষ ও মহিলার ছেলে সন্তানের আগ্রহ থাকে আর তার ঘরে ছেলে সন্তান জন্ম হয় না যে পুরুষ ও মহিলা দুজনেই মিলিত হওয়া আগে ৫৬ বার এই ইসমটি পড়ার পর মিলিত হবে তার গর্ভে আল্লাহর রহমতে ছেলে সন্তান আসবে। যে গর্ভবতী মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় এই ইসমটির বেশি বেশি করে যিকির করতে থাকবে তাহলে গর্ভবতী মহিলা ও বাচ্চা দুজনই হেফাজতে থাকবে এবং সুস্বাস্থ্য বাচ্চা জন্ম হবে। আর বাচ্চার জন্ম হওয়ার সময় তেমন কোন কষ্ট হবে না।
(یا محیی یا حی ইয়া মুহাইয়ো, ইয়া হাইয়ো)
এই ইসম মোবারকটি যুদ্ধে বা বজরে যাওয়ার সময় কোন সেনা বা সমূদ্রে কাজ করার ব্যক্তি বা কোন ড্রাইভার বা ঐ ব্যক্তি যারা পাহাড়ে ওঠা নামা করে তারা যদি এই ইসমটি বেশি বেশি করে পড়ে তাহলে তার মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে। যে ব্যক্তি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ৯৫ বার এই ইসমটি পড়ে বাসা থেকে বের হলে বাসায় যখন পর্যন্ত ফিরবে না তখন পর্যন্ত সব রকমের বিপদ থেকে اللہ عزوجل আল্লাহর হেফাজতে থাকবে আর যদি ভূমিকম্পের সময় যদি এই ইসমটি পড়া হয় তাহলে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে। (তারবীরুল আসমা)
(یا ممیت ইয়া মুমিতু)
এই ইসমটি যিকিরটা পীর ও মুরিদের দুইজনের জন্য খুবই মূল্যবান যকিরি। এই যিকিরটা করলে নাফস আমবারার ওপরে কাবু পাওয়া যায়। ইলমে জাফার সাদিক (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় বুকের ওপর হাত রেখে ৪৯০ বার এই ইসমটি পড়ে ঘুমালে আল্লাহ সে ব্যক্তি নাফসকে নিজের কাবু করে দেন। (তানবীরুল আসমা) যে, ব্যক্তি এরই ইসমটি বেশি বেশি করে যিকির করবে তার বুদ্ধি খুব বৃদ্ধি পাবে আর সব বিপদ আসান হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
১৪/০৩/১৬
(یا قیوم ইয়া কাইয়ুম)
যারা এই ইসমেটি যিকির করে তার বয়স বৃদ্ধি, তার শত্রু দমন হয় এবং তার নেকমাকসাদ পূরণ হয়। আর লোকের মন জয় হয়, সাইয়েদুনা আমিরুল মোমেনিন হযরত আলী (রাঃ) এরশাদ করেন, আমি যখন দেখতাম কঠিন সময় জানাবে মকবুল হযরত রাসুল (সাঃ) (ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম) পড়তেন আর সঙ্গে সঙ্গে তা সমষ্যা সমাধান হয়ে যেত। যে, ব্যক্তি ইজ্জত লাভ করার জন্য পড়বে তাঁর ইজ্জত লাভ করবে, আর সকল নেকমাকসাদ পূরণ হবে এবং অভাব অনটন দূর হবে। শেখ বুনি (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এর ইসমেটি বেশি বেশি পড়বে আল্লাহর তাঁর জন্য সকল মাখলুককে মোসাক্ষির করেদিবেন। অনেক আউলিয়াএকরাম (ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম) কে ইসমে আযম বলেছেন। (তানবীরুল আসমা)
(یا واجد یا غنی یا مغنی ইয়া ওয়াজিদু, ইয়া গানিও, ইয়া মুগনিয়ু)
যে, ব্যক্তি টাকা পয়সা লাভ করার জন্য এ ইসমেটি বেশি বেশি পড়লে সে ব্যক্তি ধনি হয়ে যাবে। যে, ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে কিন্তু ব্যবসায়ে সাফল্যতা না পাওয়া যায়, বা ঘরের সদস্য সংখ্যা বেশি এবং তাদের ভরনপোষণ করতে পারে না, সে যদি এ তিনটি ইসম থেকে যে কোন একটির বেশি বেশি যিকির করে বা তার সংখ্যা অনুযায়ী যিকির করে তবে اللہ عزوجل আল্লাহ্ তাকে গাইব থেকে রিজিক এর ব্যবস্থ করে দিবেন। তাঁর সব অভাব অনটন দূর করে দিবেন। আল্লাহ্ তাকে এত বেি দিবেন যে, সে খরচ করে শেষ করতে পারবে না তাকে সঞ্চয় করে রাখতে হবে।
(یا احد یا واحد یا وحید ইয়া আহাদু, ইয়া ওয়াহেদু, ইয়া ওয়াহিদু)
যে, ব্যক্তি এ তিনটি ইসম থেকে একটি ইসমেটি যিকির করবে তাঁর আত্মা এত শক্তিশালী হয়ে যাবে। যে, কোন বিপদে সে ভয় পাবে না এবং আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন। এমন কি দুনিয়ায় যত বড় জালিম ব্যক্তি হোকনা কেন তাঁর উপর যুলুম করতে পারবে না। এ যিকিরটি যদি উকিল, সৈনিক, পুলিশ, ডাক্তার, রাজনীতিবীদ তাদের জন্য নিয়ামত স্বরুপ এই যিকিরের ফলে তাদের শত্রু দমস হবে, তাদের কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(یا صمد ইয়া সামাদু)
যে, ব্যক্তি এই ইসমেটির যিকির করবে সে কখনো ক্ষুদার্থ অবস্থায় ঘুমাবে না। অনেক আমেলিন ও কামেলিন (ইয়া আহাদু ইয়া সামাদুকে) ইসমে আযম বলেছেন। শেখ মাগরাবী (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ইয়া সামাদু ১০০০ বার পড়বে তাঁর রুজি রোজড়ার বৃদ্ধি পাবে এবং তাঁর অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) মিফতাহুল যিনানে লেখা আছে যে, কেউ শুক্রবার রাত্রে ওযু করে ১০০০ বার পড়বে তাঁর হেফজ মক্তি বৃদ্ধি পাবে। ভালো বাসার জন্য চিনি মাটির প্লেটে লিখে পানিতে ধুয়ে যে, ব্যক্তিকে খাওয়ানো হবে সে তাঁর প্রেমে দিওয়ানা হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا قادر یا قدیر یا مقتدر ইয়া কাদেরু, ইয়া ক্বাদিরু, ইয়া মুকতাদেরু)
এই ইসম থেকে ,ে কোন একটি ইসম এর যিকির করবে সে ব্যক্তির বড় থেকে বড় সমস্যা আল্লাহ্ আসান করে দিহ্ন। যদি কেউ এমন বিপদের মুহুর্তে চলে আসে যেখানে কেউ আপনÑপর আত্মীয়Ñস্বজন, বন্ধু-বান্ধব উে সাহায্যনা আসে তখন উপরে তিনটি থেকে যে, কোন একটি ইসমেটির যিকির করে তাহলে আল্লাহ্ এই ইসমেটির বরকতে সে اللہ عزوجل আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে আর সে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারবে।
(یا مقدم ইয়া মোকাদ্দিমু)
এই ইসমেটির বরকতে হযরত মুসা (আঃ) তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলতেন। ইমাম আলী রাযা (রাঃ) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি ঘুমানোর সময় এই ইসমেটি পড়ে ঘুমাবে সে শত্রু পক্ষ হতে এবং চুরি যাকাতি ও ভূমিকম্প হতে মুক্ত থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا موخر ইয়া মুওয়াক্ষির)
শেথ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যখন মানুষের জীবন শেষ প্রান্তে পৌছে যায় আর ভাল আমাল তার জীবনে কিছু যদি থাকে না আর কবর ও হাশরের ময়দান থেকে ভয় লাগে তখন এই ইসমটির বেশি বেশি করে যিকির করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ কের দিবেন এবং তার বয়স বৃদ্ধি করে দিবেন। (তানবীরুল আসমা) যে ব্যক্তি কোন কঠিন রোগে ভুগছেন তারা যদি এই ইসমটি যিকির করবেন তাহলে আল্লাহ তাকে যে রোগ থেকে সিফা দান করবেন।
(یا اوَّلُ ইয়া আউওয়ালো)
শেখ মাগরাবি (রা) ইরশাদ করেন, যদি কোন ব্যক্তির সন্তান ও গুপ্তধন আল্লাহর গাইব থেকে মদদ পাওয়ার জন্য ৪০ শুক্রবার জুমআর নামাজের পর যিকির করলে তার নেক মাকসাদ পূর্ণ হয়। শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন, উপরের দেওয়া তরিকা অনুযায়ী যে, ব্যক্তি ৪০ দিন একটানা পড়বে সে ব্যক্তির নেক মাকসাদ পূর্ণ হবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا آخر ইয়া আখিরো)
শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমটি বেশি বেশি করে যিকির করবে সে ব্যক্তির হিফস শক্তি বৃদ্ধি হবে ও মানসম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং তার শত্রু দমন হবে। মোকাবেলায় বিজয়ী লাভ করবে। আর যে, ব্যক্তি ইসমের নাম শত্রু ও তার মায়ের নামের সংখ্যা জমা করে শনিবারের দিন সূর্য উদয়ের সময় একটি লোহার তকতিতে লিখে ঐ সংখ্যা অনযায়ী লিখে ঐ তক্তিতে ফুঁ দিয়ে তক্তিটা আগুনে রাখলে তার শত্রু মারা যাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا ظاھر یا باطنইয়া যাহিরু, ইয়া বাতিনু)
এই দুটি ইসম আল্লাহর নূরানী খাস বলা হয়। যে, ব্যক্তি এটি বেশি বেশি করে পড়বে তার যাহিরু ও বাতিনু পরিস্কার হয়ে যাবে এবং রুহানী শক্তি অর্জন করতে পারবে। শেখ মাগরাবী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ চাসতের পর ৫০০ বার পড়বে اللہ عزوجل আল্লাহ তার কাল্ব পরিস্কার করে দিবে এবং কাল্ব নূরানী হয়ে যাবে। (তানবীরুল আসমা) যাদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন এমন হয় যেন সুখ বলে একটা মনে রাখে আরেকটা তা থেকে যদি ক্ষতি হয় তখন এই ইসমটা বেশি বেশি করে যিকির করলে اللہ عزوجل আল্লাহ সে ব্যক্তিকে ইসলাহ করে দেন এবং তার মন ও মুখ দুটোই ভাল করে দেন।
(یا والی ইয়া ওয়ালিও)
এই ইসম মোবারক ঐ ব্যক্তির জন্য নিয়ামত যারা অনেক খাটনির কাজ করে তারা যদি এই ইসমটি যিকির করলে তার মেহনতে ফল পাওয়া যাবে এবং ক্লান্তি দূর হবে। আর যে ব্যক্তি এই ইসমটি একটি চিনামাটির প্লেটে লিখে গোলাপ পানি থেকে ধুয়ে ঘরে বা দোকানে ঐ পানি ছিটালে চুরি, ঝড়-তুফান, ভূমিকম্প, বন্যা হতে হেফাযত থাকবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا متعلی ইয়া মুতাআলিও)
ওলমা ইকরামরা ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির খুব সরল মনে রবে এবং নিজেকে সব থেকে তুচ্ছ মনে করবে আল্লাহ সে ব্যক্তির মান সম্মান কুব বৃদ্ধি করে দিবেন। আর اللہ عزوجل আল্লাহ গাইব থেকে তার সমস্ত কাজ হতে থাকবে। কোন মহিলার মিনস বন্ধ হওয়ার পর বা বাচ্চা হওয়ার পর এই ইসমটির যিকির করলে সমস্ত রোগ ব্যধি হতে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে। শেখ বুনী (রাঃ) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি এই ইসমটির যিকির করবে সে ব্যক্তি যেখানে যাবে সেখানে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। (তানবীরুল আসমা)
(یا بَرُّ ইয়া বাররো)
হযরত ইমাম আলী রাযা (রাঃ) ইরশাদ করেন যদি কোন নাবালক বাচ্চাকে এই ইসমটি মুখস্ত করিয়ে দেওয়া হয় আর সে বাচ্চা যদি বালক অবস্থায় পর্যন্ত পড়তে থাকে তাহলে সে বাচ্চা সব রকমের বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং কখনও বে-রোজগার হবে না। শেখ মাগরাবী (রাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই ইসমটি যিকির করবে তার সমস্ত নেক-মাকসাদ পূর্ণ হবে।
(یا تواب ইয়া তাউওয়াবো)
যে, ব্যক্তি গুনাহের কাজে ল্পিত থাকে বা বিপদগ্রস্থ থাকে সে ব্যক্তি এই ইসমটির ৪০৯ বার যিকির করলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করেদেন। আর বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং সব দো’আ اللہ عزوجل আল্লাহ কবুল করেন, আর যে বাচ্চা অনেক কান্নাকাটি করে ৭০ বার পড়ে সে বাচ্চার ওপর দম করলে সে বাচ্চা কান্নাকাটি থেকে বিরত থাকবে। এ আমলটি লাগাতার কয়েকদিন করতে জবে। (তানবীরুল আসমা)