“ইসমে আজম” কি?
যে নামের উসিলা দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ পাক দোয়া কবুল না করলে লজ্জা পান।
ইসম অর্থ নাম, আজম অর্থ হচ্ছে মহান, শ্রেষ্ঠ, the greatest.
আল্লাহর অনেক নাম রয়েছে, এক হাদীসে ৯৯টি নাম বলা হলেও অন্য হাদীসে আছে এর বাইরে অন্য আরো নাম রয়েছে, যা কোন মানুষকে জানানো হয় নাই, অথবা আসলে কেউই জানেনা, এক আল্লাহ ছাড়া। এই সবগুলো নামের মাঝে যেই নামগুলো দিয়ে আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সবচাইতে বেশী প্রকাশিত হয় সেই নামগুলোকে ইসমে আজম বলা হয়, অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নাম সমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ নামগুলো। বিভিন্ন হাদীসে এই নামগুলোর কিছু কিছু উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, আমাদের দেশের প্রচলিত অযীফার বইগুলোতে অনেক বানোয়াট নাম আল্লাহর উপর করা হয়েছে যেইগুলো ইসমে আজম নয়। এই সমস্ত ভুল ও বিদাতপূর্ণ বই-পত্র থেকে সাবধান থাকবেন, কারণ দলীল ছাড়া কোন ইবাদত আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না।
ইসমে আযমের ফযীলতঃ
ইসমে আযমের গুরত্ব হচ্ছে, এই নামে বা এই নামের ওসীলা দিয়ে আল্লাহকে ডাকলে বা তাঁর কাছে দুয়া করলে আল্লাহ সবচাইতে বেশি খুশি হন, এবং বান্দার দুয়া কবুল করে নেন।
ইসমে আযমের উসীলা দিয়ে কোন দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেনঃ নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে নামাযে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন। নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন।
আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, ত্বাবারানী ও ইবনে মান্দাহ “আত-তাওহীদ” গ্রন্থসহ (৪৪/২, ৬৭/১, ৭০/১-২), একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক!
***মুনাজাতের মাঝে উপরের ইসমে আজমের দুয়া পড়ে এর পরে নিজের ইচ্ছামতো যেকোন দুয়া করতে হবে, বাংলা বা আরবীতে যা ইচ্ছা।
=> ইসমে আজমের এই দুয়াটা আপনারা হিসনুল মুসলিম বইয়ের সালাম ফেরানোর পূর্বে পঠিত দুয়া অধ্যায়ের ১০০-১০১ পৃষ্ঠায় পাবেন।
আয়াতুল কুরসীতে রয়েছে ইসমে আজম
=========================
আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে, আর আমাদেরকে সে নামগুলোর মাধ্যমে তাকে ডাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে বরকতময় নামগুলোর মাঝে রয়েছে এসমে আজম; যে নামের মাধ্যমে (অসীলায়) চাইলে দেয়া হয়, এবং তার মাধ্যমে প্রার্থনা করলে গ্রহণ করা হয়। এ সম্পর্কে মহা সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নবী সাঃ সংবাদ দিয়েছেন: নিশ্চয়ই এসমে আজম কুরআনের কতিপয় আয়াতে রয়েছে। আয়াতুল কুরসী সেই আয়াতগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ, আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃকে বলতে শুনেছি; اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা বাক্বারা ২৫৫।) এবং ألم اللّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوم “আলিফ, লাম, মীম, আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা আলে ইমরান ১-২।) এ আয়াত দুটিতে এসমে আজম রয়েছে।( মুসনাদে ইমাম আহমদ এর তারতীব আল ফাতহুর রাব্বানী, কুরআনের ফযীলত ও তার তাফসীর ও অবতীর্ণের পটভুমি অধ্যায়, আয়াতুল কুরসীর ফযীলত পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ১৯৬, ১৮/৯২।
শায়খ আহমাদ আব্দুর রহমান আল বান্না বলেন: এ থেকে জানা গেল যে, এসমে আজম হলো: اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ এ সম্পর্কে আল্লাহই অধিক অবগত। দেখন: বুলুগুল আমানী ১৮/৯২।) এবং ইমাম হাকেম, আল-কাসেম বিন আব্দুর রহমান হতে, তিনি আবু উমামা হতে, তিনি নবী সাঃ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এসমে আজম তিনটি সূরাতে রয়েছে; সূরা বাক্বারায়, সূরা আলে ইমরানে ও সূরায়ে ত্বাহা-তে।
তিনি বলেন (অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনাকারী আল-কাসেম বিন আব্দুর রহমান। দেখুন: শায়খ আলবানী (রা) এর সহীহ হাদীস সিরিজ: ২/৩৮৩।): তা আমি সূরা বাক্বারাতে পেয়েছি, আর তা হলো আয়াতুল কুরসী: اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা বাক্বারা ২৫৫।) এবং সূরায়ে আলে ইমরানে পেয়েছি: ألم اللّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ “আলিফ, লাম, মীম। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা আলে ইমরান ১-২।) এবং সূরা ত্বাহাতে পেয়েছি: وَعَنَتِ الْوُجُوهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّومِ অর্থাৎ চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সকলেই হবে অধোমুখী। (সূরা ত্বাহা: ১১১) (আলমুসতাদরাক আলা সহীহায়ন, প্রার্থনা অধ্যায় ১/৫০৬।)
অতএব, যে ব্যক্তি এসমে আজমের মাধ্যমে প্রার্থনা করবে, তার প্রার্থনা কবুল করা হবে।
সুতরাং আয়াতুল কুরসীতে যা বর্ণিত হয়েছে, তার মাধ্যমে যেন সে দোয়া প্রার্থনা করে:
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক।( সূরা বাক্বারা ২৫৫।)
হে আল্লাহ! তুমি তোমার এসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করার তাওফীক দান কর এবং তা কবুল কর। আমীন ইয়া হাইয়্যূল কায়্যূম। ( শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ এর মতে: এসমে আজম হলো (الحي) আল-হাইয়্যূ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: আল-হাইয়্যূতে সকল গুণগুলো বিরাজমান, এবং এটাই হল তার মূল। এ কারণেই কুরআনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত আয়াত হলো:
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ) سورة البقرة(
অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। এটাই হলো এসমে আজম। কেননা প্রত্যেক সৃষ্টিজীবই হায়াত কামনা করে। এজন্যই তা সকল গুণ সম্বলিত। যদি সকল গুণ একটি গুণ দ্বারা প্রকাশ করা হত, তবে আল-হাইয়ূ দ্বারা প্রকাশ করাই যথেষ্ট হত। (মাজমূউ ফাতাওয়া ১৮/৩১১।)
ইবনে কাইয়্যূম আল-জাউযীয়াহ (রা)এর মতে: এসমে আজম হলো: আল-হাউয়্যূল কায়্যূম। তিনি বলেন: এসমে আজম আল্লাহ তায়ালার এমন নাম; যার উসিলায় প্রার্থনা করা হলে, কবূল করেন এবং সে নামের অসীলায় চাওয়া হলে দেয়া হয়। আর তা হলো: আল-হাইয়্যূল কাইয়্যূম। (যাদুল মায়াদ: ৩/১৩০।)
যে নামের উসিলা দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ পাক দোয়া কবুল না করলে লজ্জা পান।
ইসম অর্থ নাম, আজম অর্থ হচ্ছে মহান, শ্রেষ্ঠ, the greatest.
আল্লাহর অনেক নাম রয়েছে, এক হাদীসে ৯৯টি নাম বলা হলেও অন্য হাদীসে আছে এর বাইরে অন্য আরো নাম রয়েছে, যা কোন মানুষকে জানানো হয় নাই, অথবা আসলে কেউই জানেনা, এক আল্লাহ ছাড়া। এই সবগুলো নামের মাঝে যেই নামগুলো দিয়ে আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সবচাইতে বেশী প্রকাশিত হয় সেই নামগুলোকে ইসমে আজম বলা হয়, অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নাম সমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ নামগুলো। বিভিন্ন হাদীসে এই নামগুলোর কিছু কিছু উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, আমাদের দেশের প্রচলিত অযীফার বইগুলোতে অনেক বানোয়াট নাম আল্লাহর উপর করা হয়েছে যেইগুলো ইসমে আজম নয়। এই সমস্ত ভুল ও বিদাতপূর্ণ বই-পত্র থেকে সাবধান থাকবেন, কারণ দলীল ছাড়া কোন ইবাদত আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না।
ইসমে আযমের ফযীলতঃ
ইসমে আযমের গুরত্ব হচ্ছে, এই নামে বা এই নামের ওসীলা দিয়ে আল্লাহকে ডাকলে বা তাঁর কাছে দুয়া করলে আল্লাহ সবচাইতে বেশি খুশি হন, এবং বান্দার দুয়া কবুল করে নেন।
ইসমে আযমের উসীলা দিয়ে কোন দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেনঃ নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে নামাযে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন। নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন।
আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, ত্বাবারানী ও ইবনে মান্দাহ “আত-তাওহীদ” গ্রন্থসহ (৪৪/২, ৬৭/১, ৭০/১-২), একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক!
***মুনাজাতের মাঝে উপরের ইসমে আজমের দুয়া পড়ে এর পরে নিজের ইচ্ছামতো যেকোন দুয়া করতে হবে, বাংলা বা আরবীতে যা ইচ্ছা।
=> ইসমে আজমের এই দুয়াটা আপনারা হিসনুল মুসলিম বইয়ের সালাম ফেরানোর পূর্বে পঠিত দুয়া অধ্যায়ের ১০০-১০১ পৃষ্ঠায় পাবেন।
আয়াতুল কুরসীতে রয়েছে ইসমে আজম
=========================
আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে, আর আমাদেরকে সে নামগুলোর মাধ্যমে তাকে ডাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে বরকতময় নামগুলোর মাঝে রয়েছে এসমে আজম; যে নামের মাধ্যমে (অসীলায়) চাইলে দেয়া হয়, এবং তার মাধ্যমে প্রার্থনা করলে গ্রহণ করা হয়। এ সম্পর্কে মহা সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নবী সাঃ সংবাদ দিয়েছেন: নিশ্চয়ই এসমে আজম কুরআনের কতিপয় আয়াতে রয়েছে। আয়াতুল কুরসী সেই আয়াতগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ, আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃকে বলতে শুনেছি; اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা বাক্বারা ২৫৫।) এবং ألم اللّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوم “আলিফ, লাম, মীম, আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা আলে ইমরান ১-২।) এ আয়াত দুটিতে এসমে আজম রয়েছে।( মুসনাদে ইমাম আহমদ এর তারতীব আল ফাতহুর রাব্বানী, কুরআনের ফযীলত ও তার তাফসীর ও অবতীর্ণের পটভুমি অধ্যায়, আয়াতুল কুরসীর ফযীলত পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ১৯৬, ১৮/৯২।
শায়খ আহমাদ আব্দুর রহমান আল বান্না বলেন: এ থেকে জানা গেল যে, এসমে আজম হলো: اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ এ সম্পর্কে আল্লাহই অধিক অবগত। দেখন: বুলুগুল আমানী ১৮/৯২।) এবং ইমাম হাকেম, আল-কাসেম বিন আব্দুর রহমান হতে, তিনি আবু উমামা হতে, তিনি নবী সাঃ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এসমে আজম তিনটি সূরাতে রয়েছে; সূরা বাক্বারায়, সূরা আলে ইমরানে ও সূরায়ে ত্বাহা-তে।
তিনি বলেন (অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনাকারী আল-কাসেম বিন আব্দুর রহমান। দেখুন: শায়খ আলবানী (রা) এর সহীহ হাদীস সিরিজ: ২/৩৮৩।): তা আমি সূরা বাক্বারাতে পেয়েছি, আর তা হলো আয়াতুল কুরসী: اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা বাক্বারা ২৫৫।) এবং সূরায়ে আলে ইমরানে পেয়েছি: ألم اللّهُ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ “আলিফ, লাম, মীম। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। ( সূরা আলে ইমরান ১-২।) এবং সূরা ত্বাহাতে পেয়েছি: وَعَنَتِ الْوُجُوهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّومِ অর্থাৎ চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সকলেই হবে অধোমুখী। (সূরা ত্বাহা: ১১১) (আলমুসতাদরাক আলা সহীহায়ন, প্রার্থনা অধ্যায় ১/৫০৬।)
অতএব, যে ব্যক্তি এসমে আজমের মাধ্যমে প্রার্থনা করবে, তার প্রার্থনা কবুল করা হবে।
সুতরাং আয়াতুল কুরসীতে যা বর্ণিত হয়েছে, তার মাধ্যমে যেন সে দোয়া প্রার্থনা করে:
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক।( সূরা বাক্বারা ২৫৫।)
হে আল্লাহ! তুমি তোমার এসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করার তাওফীক দান কর এবং তা কবুল কর। আমীন ইয়া হাইয়্যূল কায়্যূম। ( শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ এর মতে: এসমে আজম হলো (الحي) আল-হাইয়্যূ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: আল-হাইয়্যূতে সকল গুণগুলো বিরাজমান, এবং এটাই হল তার মূল। এ কারণেই কুরআনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত আয়াত হলো:
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ) سورة البقرة(
অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরপরিচালক। এটাই হলো এসমে আজম। কেননা প্রত্যেক সৃষ্টিজীবই হায়াত কামনা করে। এজন্যই তা সকল গুণ সম্বলিত। যদি সকল গুণ একটি গুণ দ্বারা প্রকাশ করা হত, তবে আল-হাইয়ূ দ্বারা প্রকাশ করাই যথেষ্ট হত। (মাজমূউ ফাতাওয়া ১৮/৩১১।)
ইবনে কাইয়্যূম আল-জাউযীয়াহ (রা)এর মতে: এসমে আজম হলো: আল-হাউয়্যূল কায়্যূম। তিনি বলেন: এসমে আজম আল্লাহ তায়ালার এমন নাম; যার উসিলায় প্রার্থনা করা হলে, কবূল করেন এবং সে নামের অসীলায় চাওয়া হলে দেয়া হয়। আর তা হলো: আল-হাইয়্যূল কাইয়্যূম। (যাদুল মায়াদ: ৩/১৩০।)